দাওয়াহর ক্ষেত্রে ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা কী? ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগক্ষেত্র হলো, দাওয়াহর বিস্তৃত ময়দান। প্রতিটি মুসলিম একজন দায়ি। জীবনের বাঁকে বাঁকে তিনি যখনই সময় পাবেন ইসলামের দাওয়াত প্রচার করবেন, তাওহীদের বাণী ছড়িয়ে দিবেন। এই দাওয়াতের কাজ করতে তার যে ক-টি জিনিসের প্রয়োজন হবে তার মধ্যে একটি হলো ইতিহাস। ইতিহাস এক বিস্তৃত মহাসমুদ্র। এখানে আছে নানা জাতি ও সভ্যতার উত্থান-পতনের গল্প, আছে সম্রাট ও জ্ঞানীদের জীবনকাহিনি, আছে সেনাপতিদের রণ সংগ্রাম। একজন অমুসলিমের কাছে কিংবা দ্বীন সম্পর্কে গাফেল একজন মুসলিমের কাছেও আমরা যখন দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে যাব, তখন ইতিহাস আমাদের কাজে আসবে। ধরুন, আমরা দাওয়াত নিয়ে গেলাম এমন এক মুসলিমের কাছে, যিনি সেক্যুলার…
Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া
ফিজিওলজি নামক বিজ্ঞানের আবিষ্কারক কে? ফিজিওলজি জীবন বিজ্ঞানের একটি শাখা। জীবন বিজ্ঞানকে মোটামোটি তিনটি শাখায় বিভক্ত করা হয়। যেমন- ১। প্রাণী বিজ্ঞান। (যাকে ইংলিশে বলা হয় Zoology)২। উদ্ভিদ বিজ্ঞান। (যাকে ইংলিশে বলা হয় Botany)৩। শারীর বিজ্ঞান। (যাকে ইংলিশে বলা হয় Human Physiology).মূলত হিউম্যান ফিজিওলজি শব্দটির অর্থ “শরীরবৃত্ত”। “উইলিয়াম থার্ভে” ফিজিওলজি নামক বিজ্ঞানের আবিষ্কর্তা। ১৫৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়নের জন্য পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তখন তিনি বিশ্ববিখ্যাত শল্যচিকিৎসক ফাব্রিসাস এর কাছে অধ্যয়নের সৌভাগ্য লাভ করেন। ফাব্রিসাস তখন প্রাণীর শিরায় যে এক প্রকার ভাল্ব…
প্রিয়ম, আবেগমাখা শব্দমালায় আমায় আর গাঁথো না কেন? ব্যস্ততার ভীড় ঠেলে আমার জন্য কি কয়েক মুহূর্ত রাখা যায় না? আর কিছু নয়, শুধু কয়েক লাইনের চিরকুট। যাপিত জীবনের কোলাহলে তুমি হারিয়ে গিয়েছো। তোমার অভ্যাসে আর আমি নেই। কেন বলতে পার? বিয়ের পর রোজ সকালে ড্রেসিংটেবিল বসতেই চোখে পড়তো তোমার চিরকুট। ভাঁজ খুলে দেখতাম তুমি লিখেছো, ” প্রিয়া, আজ চোখ রাঙাবা গাঢ় কাজলে। ঘুম জড়ানো চোখ খুলেই যেন দেখতে পাই তোমার কাজল রাঙা আঁখি।” দুপুরে একসাথে একই প্লেটে খেতাম দু’জনে। খাওয়া শেষে তুমিই আগে উঠে যেতে। পরে প্লেট উঠাতেই দেখি প্লেটের নিচে চিরকুট। ভাঁজ খুলতেই টুপ করে পরে যেত পাঁচশত টাকার…
হতাশার বৃষ্টি মাখি না সে অনেক..দিন হবে,মন ছিল চঞ্চল চড়ুই পাখির মতদিনমান তার কত অস্থিরতা, কত উড়ে চলা।অবারিত আকাশে ছোট্ট দুই ডানা মেলেঘুরতো সে পরমানন্দে। চোখে চিকচিক করতো ভরশার হাসিডার্ক সার্কেলও ছুটি নিয়েছিল বহুকাল আগে।ঠোঁটের কোণে সবসময়ই থাকতোপৌষের মিষ্টি রোদের মতোএক চিলতে সত্যিকারের হাসি।না, সে হাসি মেকি নয়।ভুবনজয়ী সেই হাসি ছিল বেশ ছোঁয়াচে।কষ্টের ক্ষতে নিপুণভাবে এঁকে দিতসুখের হিম শীতল পরশ। কপট সুখের অভিনয় করতে করতেএক সময় ছিঁড়ে গিয়েছিল শঠতার সূতো।জীবন আকাশের পশ্চিম কোণেদেখা দিল গোধূলিরাঙা আবিরের বহুলতা।মুগ্ধ আঁখিজোড়া ছিল পুলকিত।আদিত্যতেজে অতিষ্ঠ আমি ভেবেছিলামএই বুঝি দহনের পোড়া কাঠের পরিসমাপ্তি।সুখের স্বর্গলিপিতে বোধ হয়লিখব নিজের নাম। হুহ্! না। তা আর হয়ে ওঠেনি।বিভাবসু ডুবে…
আপনি জানেন আইসক্রিম কীভাবে থকথকে ও ঘন হয়? ছোট-বড় সবারই একটি পছন্দের খাবার হলো আইসক্রিম। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা বা অন্য কোনো মারাত্মক অসুবিধা না থাকলে, শিশু থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের মানুষের পছন্দের তালিকায় আইসক্রিম থাকবেই। আইসক্রিম মূলত ঘন এবং থকথকে ধরণের হয়ে থাকে। এ কারণেই মূলত আইসক্রিম খেতে অন্যরকম একটা স্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু আইসক্রিম গলে গেলে সেই থকথকে ভাবটা আর থাকে না। ফলে সেই আইসক্রিম খেতে তেমন একটা তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তো চলুন জেনে নিই, আইসক্রিম কীভাবে থকথকে ও ঘন হয়। আইসক্রিম নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণায় লিপ্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গবেষণাকেন্দ্র “ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটউট অব টেকনোলজি” এর বায়ো কেমিক্যাল…
আজ আমরা দুইটি আয়াত নাযিলের ঘটনা সম্পর্কে জানবো।যে আয়াত দু’টির শানে নুযূল দুইটি। তার মধ্যে একটি শানে নুযূল ইতিপূর্বেই বর্ণনা করেছি। ২য় শানে নুযূল বোঝার সুবিধার্থে সূরা নাযি’আতের ৪০ নং ও ৪১ নং আয়াত দু’টি আবারও উল্লেখ করা হলো। وَ اَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ وَ نَہَی النَّفۡسَ عَنِ الۡہَوٰی ﴿ۙ۴۰﴾ পক্ষান্তরে যে স্বীয় রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কুপ্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে, فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی ﴿ؕ۴۱﴾ জান্নাতই হবে তার অবস্থিতি স্থান। শানে নুযূল-২: হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে অপর এক বর্ণনা রয়েছে যে, আলোচ্য আয়াতদ্বয় আবূ জাহল বিন হিশাম ও মুসআব বিন উমায়ের (রা.) সম্পর্কে…
খেয়াল-খুশির বিরোধিতা কেন করবেন? যেসব বিষয় প্রকাশ্য গোনাহ্, সেসব বিষয়ে খেয়াল-খুশির বিরোধিতার চেষ্টা করলে যে কেউ নিজে নিজেই সাফল্য অর্জন করতে পারে। কিছু কিছু খেয়াল-খুশি এমনও রয়েছে, যেগুলো ইবাদত ও সৎ কর্মে শামিল হয়ে যায়। রিয়া, নাম-যশ, আত্মপ্রীতি এমন সূক্ষ্ম গোনাহ্ ও খেয়াল-খুশি, যাতে মানুষ প্রায়শই ধোঁকা খেয়ে নিজের কর্মকে সঠিক ও বিশুদ্ধ মনে করতে থাকে। বলা বাহুল্য, এই খেয়াল-খুশির বিরোধিতা করাই সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক জরুরী। খেয়াল-খুশি বিরোধিতার স্তরসমূহ: খেয়াল-খুশি বিরোধিতা করার তিনটি স্তর নিয়ে আলোচনা করব, ইন শা আল্লহ। যা কাযী সানাউল্লাহ পনিপথী (র.) তাফসীরে মাযহারীতে উল্লেখ করেছেন। 👉প্রথম স্তর এই যে, যেসব ভ্রান্ত আকিদা ও বিশ্বাস কুরআন, হাদিস…
হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় টুপি মাথায়যুবক বেশে সফেদ পাঞ্জাবি পড়েআজরাইল (আঃ) আসবেন।মুচকি হেসে অভিবাদন জানিয়েসুসংবাদ দিবেন রবের তরফ থেকে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেঅপার্থিব সুখে আমি অস্থির হবোরবের মোলাকাত স্মরিয়ায়।রব ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই,মুখ ফুটিয়া অস্ফুট স্বরে বেরহতেই মৃত্যুদূত আমার রূহ্কেবেহেস্তি শুভ্র আলোয়ানে জড়িয়েনিয়ে চলবেন আসমান পথে। আমায় দেখিতে ভীড় জমাবেপ্রথম আসমানের ফেরেস্তারা,খুশি আর প্রশংসায় পঞ্চমুখী হবে।এভাবে দ্বিতীয়, চতুর্থ করে করেআমায় নিয়ে পৌঁছানো হবেশেষ আকাশে, তারপর!তারপর আমার রবের তরে। আমার রব! তাঁর হুকুমে আমিআবার ফিরে আসবো কবরে।আমাকে দেখানো হবেবেহেস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।তারই সুগন্ধে ভরে উঠবেআমার আপন নীড়। এরপর আমি ঘুমোবো,তন্দ্রাবিলাসী মেয়েটার-আবারও তন্দ্রা পাবে।বেহেস্তি বাতাস, পাখিদের গুঞ্জনআর মোহনীয় দৃশ্য আমার চোখেনিদ্রা নিয়ে আসতে বাধ্য…
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে কল আসে। গুণে গুণে পাঁচ বার। ফোন করেন আমার দাদুভাইয়া মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। তিনি আমাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং ইমাম। আমাকে কল করার কারণটা আমি জানি। তাই এই প্রিয় মানুষটির কল আমি সুন্দরভাবে উপেক্ষা করি। তবুও তিনি আমার উপর রাগ হননি। বরঞ্চ আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দুআ করেন। আমি তখন উচ্চ মাধ্যমিকের ২য় বর্ষের ছাত্র। বিভাগীয় একটি কলেজের ফার্স্ট বয়। ডানপিটে স্বভাবের হলেও লেখাপড়ায় ছিলাম ঠিকঠাক। বাসায় এজন্যই মূলত সবকিছুতে ছাড় পেয়ে যেতাম। তেমন কিছু বলত না কেউ। ঘটনার শুরু ২য় বর্ষের শেষের দিকে। টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। রাত জেগে পড়তাম আর ভোরে ঘুমাতাম। সেদিনও পড়া শেষ…
হাঁটবে গোধূলীর শেষে,যখন সন্ধ্যা নামে?পিচঢালা রাস্তায় পাশাপাশি দু’জনেসমান তালে হাঁটবো পায়ে পা মিলিয়ে। ভিজবে গ্রীষ্মের শেষে,যখন বৃষ্টি নামে?দোলনার কিনারায় পাশাপাশি দু’জনেমৌনতা ছাপিয়ে ভিজবো বকুলের সৌরভে। দেখবে অভিমান শেষে,যখন প্রিয়ন্তি হাসে?স্নিগ্ধ নয়নে অপলকে তাকিয়েসব দুখ হারাবে মুগ্ধতার আড়ালে। ছুঁইবে জ্বর শেষে,যখন কপাল ভিজে?উৎকণ্ঠা তুমি চিন্তার আবেশেরাখবে কপালে হাত পরম যতনে। সুধাবে কথা শেষে,যখন ভাষা হারাবে?অলীক ভাবনার চিন্তন চিত্রেমন খারাপ মুছে দিও সুখের তুলিতে। থাকবে মোর পাশেআয়ু ফুরাবার ক্ষণে?ধরে থেকো বাহুদ্বয় হায়াতের যবনিকায়দূরে সরে দিও না প্লিজ কপট অবহেলায়। লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।
দু’টি বিষ্ময়কর আয়াতের দুটি শানে নুযূলের একটি শানে নুযূল। সূরা নাযি’আতের ৪০ নং ও ৪১ নং আয়াত দু’টি নাযিলের প্রেক্ষাপটে দু’টি সুন্দর ঘটনা জড়িত। তার মধ্যে একটি হলো মুসআব বিন উমায়েরের ঘটনা। প্রথমে আয়াত দুটির অনুবাদ উল্লেখ করা হলো। এরপর আপনারা এই আয়াতগুলোর একটি শানে নুযূল দেখতে পাবেন, ইন শা আল্লহ। وَ اَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ وَ نَہَی النَّفۡسَ عَنِ الۡہَوٰی ﴿ۙ۴۰﴾ পক্ষান্তরে যে স্বীয় রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কুপ্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে, فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی ﴿ؕ۴۱﴾ জান্নাতই হবে তার অবস্থিতি স্থান। শানে নুযূল-১: আলোচ্য আয়াতদ্বয় হযরত মুসআব বিন উমায়ের (রা.) ও তদ্বীয় ভাই…
নাযি’আত শব্দটির আভিধানিক অর্থ আকর্ষণকারীগণ, সজোরে কোনো বস্তুকে টেনে আনায়নকারীগণ।এ সূরায় ২টি রুকূ, ৪৬টি আয়াত, ১৭৩টি বাক্য এবং ৯৫৩টি অক্ষর রয়েছে। শানে নুযূল:হিজরতের পূর্বে যেসব অকাট্য প্রমাণসহ আয়াত নাজিল হয়েছিল, মক্কার হঠকারি কাফেররা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধির ফলে, ঐ সকল আয়াত বিশ্বাস করতো না এবং এর প্রতি ভ্রুক্ষেপও করতো না। অথচ কিয়ামতের ধ্বংস-প্রলয় সম্পর্কে বারবার তাদেরকে বলা হচ্ছিল। আল্লাহর অসীম কুদরতের কথাও তাদের নিকট বারবার বিবমত হচ্চিল। তবু তারা বলত কিয়ামত হবেই এ কথাটা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। তখন আল্লাহ রব্বুল আলামিন এ সূরা নাযিল করে কিয়ামতের সম্ভাবনাকে পূর্ণ নিশ্চয়তার সাথে প্রমাণ করেন। [মা’আলিম] সূরাটির ফজিলত: ১. সূরা আন-নাযি’আত দুশমনের সামনে পাঠ…