ফিজিওলজির আবিষ্কারক সমন্ধে জানুন।

ফিজিওলজি নামক বিজ্ঞানের আবিষ্কারক কে?

ফিজিওলজি জীবন বিজ্ঞানের একটি শাখা। জীবন বিজ্ঞানকে মোটামোটি তিনটি শাখায় বিভক্ত করা হয়। যেমন-

১। প্রাণী বিজ্ঞান। (যাকে ইংলিশে বলা হয় Zoology)
২। উদ্ভিদ বিজ্ঞান। (যাকে ইংলিশে বলা হয় Botany)
৩। শারীর বিজ্ঞান। (যাকে ইংলিশে বলা হয় Human Physiology).
মূলত হিউম্যান ফিজিওলজি শব্দটির অর্থ “শরীরবৃত্ত”।

“উইলিয়াম থার্ভে” ফিজিওলজি নামক বিজ্ঞানের আবিষ্কর্তা। ১৫৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়নের জন্য পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

তখন তিনি বিশ্ববিখ্যাত শল্যচিকিৎসক ফাব্রিসাস এর কাছে অধ্যয়নের সৌভাগ্য লাভ করেন। ফাব্রিসাস তখন প্রাণীর শিরায় যে এক প্রকার ভাল্ব অস্তিত্ব বিদ্যমান, তা সবে আবিষ্কার করেছেন। তারপর তিনি আবার গবেষণায় লিপ্ত হন শিরায় উপস্থিত ভাল্বগুলোর কাজ কী- সে সম্পর্কে তথ্য উৎঘাটনে। কিন্তু তিনি বাঞ্ছিত তথ্য আবিষ্কার করার আগেই দুনিয়ার ওপারে চলে যান। ফলে তাঁর প্রিয় ছাত্র উইলিয়াম হার্ভের ওপর সে গুরু দায়িত্ব বর্তায়।

১৬০২ খ্রিষ্টাব্দে উইলিয়াম হার্ভে ডাক্তারি ডিগ্রি লাভ করেন। চিকিৎসা কাজে লিপ্ত থেকে তিনি সময়-সুযোগ মত মানুষের সংবহন তন্ত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে কঠোর সাধনায় লিপ্ত হন। শুরু করেন তাঁর নিরলস গবেষণা। সার্থক হয় তাঁর প্রয়াস।

সংবহন তন্ত্র সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার করলেন উইলিয়াম হার্ভে। হাতেনাতে তিনি প্রমাণ করে দেখালেন মানুষের দেহে কিভাবে রক্ত সঞ্চালিত হয়। তিনি স্পষ্ট প্রমাণ করে দেখান, মানুষের রক্ত হৃদপিণ্ড থেকে ধমনির সাহায্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঞ্চালিত হয়। আবার শিরার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অংশের রক্ত আবার হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে।

লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment