বিষ্ময়কর দু’টি আয়াতের শানে নুযূল।

দু’টি বিষ্ময়কর আয়াতের দুটি শানে নুযূলের একটি শানে নুযূল।

সূরা নাযি’আতের ৪০ নং ও ৪১ নং আয়াত দু’টি নাযিলের প্রেক্ষাপটে দু’টি সুন্দর ঘটনা জড়িত। তার মধ্যে একটি হলো মুসআব বিন উমায়েরের ঘটনা।

প্রথমে আয়াত দুটির অনুবাদ উল্লেখ করা হলো। এরপর আপনারা এই আয়াতগুলোর একটি শানে নুযূল দেখতে পাবেন, ইন শা আল্লহ।

وَ اَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ وَ نَہَی النَّفۡسَ عَنِ الۡہَوٰی ﴿ۙ۴۰﴾

পক্ষান্তরে যে স্বীয় রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কুপ্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে,

فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی ﴿ؕ۴۱﴾

জান্নাতই হবে তার অবস্থিতি স্থান।

শানে নুযূল-১:

আলোচ্য আয়াতদ্বয় হযরত মুসআব বিন উমায়ের (রা.) ও তদ্বীয় ভাই আমের বিন উমায়ের সম্পর্কে অবতীর্ণ করা হয়েছে। ঘটনা প্রবাহ হচ্ছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন (যে সীমালঙ্ঘন করে) সে হচ্ছে মুসআব বিন উমায়েরের বদর দিন স্ব-স্বীকৃত ভাই। আনসারগণ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞেস করলেন যে, তুমি কে? সে বলল, আমি মুসআব বিন উমায়েরের ভাই। সে জন্যে দড়িতে না বেঁধে তাকে সম্মান প্রদর্শন করে, তাদের সাথেই তাকে রাত্রিতে রাখেন।

সকাল হলে তারা মুসআব বিন উমায়েরের নিকট এ ঘটনার বিবরণ দিলেন।

তিনি বলেন, সে আমার ভাই নয়, সে তোমাদের বন্দী। তাকে বেঁধে রাখ। তার মাতা হচ্ছে মক্কা নগরীর সর্বাধিক স্বর্ণ-রৌপ্য ও মাল-দৌলতের অধিকারিণী।

সুতরাং তারা তাকে বেঁধে ফেলেন। অতঃপর মাতা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নেন।

ওহুদ অভিযানের দিনে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে সকলেই যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন, তখন তিনি নিজেকে ঢাল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হেফাজত করেছিলেন।

অবশেষে তাঁর মুখে এসে তীর বেঁধে যায়। অতঃপর আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন তাকে রক্তে রঞ্জিত দেখতে পান।

তিনি বলেন,
আমি তোমাকে আল্লাহর হেফজাতে অর্পণ করলাম।

সে প্রেক্ষিতে আল্লাহ তা’ য়ালা আলোচ্য আয়াত নাযিল করেন।

অতঃপর এই আয়াত আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর প্রিয় সকল বান্দাদের বেহেশতের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করে রাখেন।

লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment