Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

আমার নাম মাহাজাবিন শরমিন প্রিয়া। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। ইসলাম, প্রযুক্তি এবং গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিতে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে আমি পাঠকদের জন্য অর্থবহ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করি। মাহাজাবিনের লেখা বিষয়বস্তু তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়।

আপনি জান্নাতি নাকি জাহান্নামী-সেই আলামত দুনিয়াতেই দেখতে চান? চিন্তা করেছেন, মহীয়ান রবের কী অপার মহিমা? তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের সর্তক করার জন্য দুনিয়াতেই বিশেষ আলামতের সন্ধান দিয়েছেন। যেটা আমরা পাই, বিশ্ব নন্দিত ঐশীগ্রন্থ: আল-কুরআনের “সূরা নাযি’আত” এর শেষের দিকের আয়াতে। সেখাবে আল্লাহ তা’য়ালা জান্নাতিদের দু’টি আলামত ও জাহান্নামীদের দু’টি আলামত স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। প্রথমে জাহান্নামীদের দুটি বিশেষ আলামত বর্ণিত হয়েছে। তা হলো-فَاَمَّا مَنۡ طَغٰی ﴿ۙ۳۷﴾وَ اٰثَرَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا ﴿ۙ۳۸﴾অর্থাৎ -১.আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করা২.পার্থিব জীবনকে পরকালের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া। অর্থাৎ যে কাজ অবলম্বন করলে দুনিয়াতে সুখ ও আনন্দ পাওয়া যায় কিন্তু পরকালে তার জন্য আজাব নির্দিষ্ট আছে, সেক্ষেত্রে…

Read More

মিথ্যের ভরাডুবিস্বপ্নের ছায়াছবিআশ্বিনের ভোরে ভাসে কুয়াশার চর,নিয়মের হেরফেরেবিষাদের আঘাতেচুরমার হয়ে যায় ভাবালুতার ঘর । নিঃস্ব নিশিথেটুকরো বিশ্বাসেপথ চলি একেলা সঙ্গীহীন রাজপথে,নয়নাভিরাম জোছনায়তারাদের মিলনেনৈরাশ্যের বালুকা ছুঁড়ে ফেলি সেইসাথে। রাস্তার দুই ধারেছায়াবিথীর পথ ধরেহেঁটে যাই বহুদূর ঠিকানাহীন লক্ষ্যে,মাথুরের পালা বেঁধেভাসানের গান শুনেনিন্দিত জনতা রাত জাগে বিরহে। থমকে দাঁড়িয়েচেয়ে থাকি অপলকেরাত্রির মায়া বাড়ে রাত বাড়ার সাথে সাথে,ঝিঁঝিঁর কলতানেমুগ্ধ আবেশেরবের মহিমা আসে শুধু স্মরণেতে। ধূধূ বালুচরেঅবারিত প্রান্তরেসিজদায় লুটে পড়ি কৃতজ্ঞচিত্তে,বাঁধভাঙা নোনাজলেপুলকিত মনোরথেআবারো ফিরে আসি চেনা সেই বৃত্তে। কলমে: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Read More

আমি কার্তিকের এক শুভ্র শিউলিফুল।পরিস্ফুটনের আগে বৃন্তের যত্নেই বেড়ে উঠেছি;প্রতিকূলতার বিক্ষোভে ঢাল হয়েআমাকে আগলিয়ে রেখেছিল বৃন্ত।সেই বৃন্তে ভর দিয়েই আমিশীতের নিশিথে আত্মপ্রকাশ করেছি। আমার নবরূপে আকৃষ্ট মৃত্তিকাহাগছানি দিয়ে আমায় ডেকেছে।মৃত্তিকার মিষ্টি কথায় বোনা মায়াজালআমি চিনতে পারিনি।আমার বুঝেও আসেনি আমি ফেঁসে যাচ্ছি।যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আমি চেয়েছিঐ ডাকে সাড়া দিতে। আমাকে আগলিয়ে রাখা ঐ বৃন্তের কথাআমার স্মরণেই ছিল নামৃত্তিকার মায়ার টানেই যেন আমিবৃন্তের মায়া ত্যাগ করেছি। কুয়াশা বিছানো ভোরেধূলোয় লুটিয়ে পড়েবাড়িয়েছি মৃত্তিকার শোভা।কিন্তু মৃত্তিকার জগতে আমি যেন অবাঞ্ছিত,সেও আর আমাকে চিনতে পারছে না। হাজারো ধূলোকণায় মলিন হয়েছি আমি,পিষ্ট হয়েছি পদপৃষ্ঠে।মৃত্তিকাতেই বিলীন হয়েছে আমার নবরূপ। হে জগৎবাসী!আমার এই অধঃপতনে তোমরা কি শিক্ষা নাও…

Read More

একটা ছোট প্রশ্ন দিয়ে আমার মূল লেখাটি শুরু করি। আচ্ছা, বলুন তো, মৃত্যু যেভাবে মানুষকে খুঁজে, ঠিক সেভাবেই আর কোন জিনিসটা মানুষকে খুঁজে? হয়তো অনেকেই জানেন কিংবা অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তাদের বলছি, সেই জিনিসটা হচ্ছে “রিযিক্ব”। জি, আপনি ঠিকই দেখেছেন। মৃত্যু যেভাবে মানুষকে খুঁজে, মানুষের রিযিক্ব সেভাবেই মানুষকে খুঁজে। কী? অবাক হলেন?আসুন, আপনাকে আরো একটু অবাক করে দেই। আরেকটা অবাক করা তথ্য হলো, “মানুষ তার নির্ধারিত রিযক্ব ভোগ না করে মারা যাবে না।” এটা আমার কথা না। এটি হাদিসেই উল্লেখ আছে। আপনি সেই হাদিসটা কি শুনেছেন? যা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাঊদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত।তিনি বর্ণনা করেছেন, “রাসূলুল্লাহ…

Read More

একটি পাকা আম উপর থেকে পড়লো হালকা বাতাসে। পড়েই ফেটে গেছে। ফাটা অংশটা দিয়ে পোকার ঘরবাড়ি দেখা যাচ্ছে। তার মানে হলো, গাছে থাকাবস্থা থেকেই আমের ভিতরে তারা বসত গড়েছিল। এমনিতেই পোকাসমেত আম, তার উপর ফেটে চৌচির। অনেক্ষণ ধরে পড়ে আছে কিন্তু কোনো মানুষ তুলে নিচ্ছে না। কোথা থেকে যেন দু’টো মুরগি এলো। চঞ্চু দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমটির ভিতরে লুকানো পোকাদের বের করে খেল। এরপর ঠোকর দিয়ে দিয়ে কিছুটা আমও খেল। তারপর চলে গেল অন্যদিকে। কিছুক্ষণ পরে, একটা ছাগল এলো। এসেই আমটির খোসা ছিড়ে ছিড়ে খেয়ে নিল। খোসা খাওয়া শেষ হলে, পুরো আমটি নিল মুখে পুরে। কিন্তু চিবুতে পারছিল না। আমটি…

Read More

আপনি কি জানেন, আমাদের নবী মুহাম্মাদ ‌ﷺ কখনো জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এর হাসিমুখ দেখেননি। স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে কৌতূহলের উদ্রেক ঘটতে পারে। কুঞ্চিত কপালে হয়তো মনে মনে বলবেন, কেন? আল্লাহর চারজন প্রধান ফেরেস্তার একজন হাসিমুখে থাকবেন না, কেন? তাঁরা তো নিষ্পাপ, আমাদের মতো গুনাহগার না। আল্লাহ জিকিরে সবসময়ই তাঁরা মশগুল থাকেন। তবে কী কারণ থাকতে পারে না হাসার? হ্যাঁ, কারণ তো অবশ্যই আছে। তবে সেই কারণটা অত্যন্ত ভয়াবহ। মুমিনের কলিজা কেঁপে উঠবে সেই কারণটা শুনলে। চলুন তবে শুনে আসি। “রাসূলের চোখে দুনিয়া” বইয়ের ১৪০ নং হাদিসে এই কারণটা সুন্দরভাবে উল্লেখ করা আছে। রবাহ (রাহিমাহুল) থেকে বর্ণিত,’নবী ‌ﷺ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-কে বললেন,”আপনি…

Read More

প্রিয়ম, বিয়ের পর যেদিন নীলাকাশ ধূসর মেঘে সজ্জিত হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামলো, তোমার মনে আছে সেই দিনটির কথা? আমি জানালার গ্রিল ধরে চুপটি করে বৃষ্টি দেখছিলাম। তুমি আমার কাছে এসে কখন দাঁড়িয়েছিলে বুঝতেই পারিনি। গ্রীষ্মের উত্তাপে নেতিয়ে পড়া প্রকৃতি তখন সজীবতার উল্লাসে মাতছিল। তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমিও যেন মুগ্ধতার নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম। তাইতো তোমার উপস্থিতি অনুভব করতে পারিনি। কিন্তু হঠাৎ-ই একটি গরম নিঃশ্বাস আমার কাঁধে এসে পড়ল। আমার অবচেতন মন আমাকে বোঝালো, প্রিয়ম তোমার পিছনে। আমি বুঝেও তোমার দিকে ফিরলাম না। মুগ্ধতার ছন্দপতন কেন ঘটালে এজন্য হালকা মন খারাপ হয়েছিল। তুমি বোধ হয় বুঝতে পেরেছিলে, তাই না প্রিয়ম? এরপর…

Read More

“ঐ লোকটি এত পাপাচার করার পরও যখন যা চাচ্ছে আল্লাহ তাকে তা-ই দিচ্ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, আরো বেড়ে যাচ্ছে সম্মান, যশ, খ্যাতিসহ সবকিছু।” আমাদের মনে এসব ভাবনা উঁকি দিতে পারে প্রায়শই। কারণ আমাদের আশেপাশে এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত-ই কম নয়। আমরা জানি লোকটা পাপী, তবুও আল্লাহ তাকে খুব ভালো রেখেছেন। শাস্তির বদৌলতে তাকে ঐশ্বর্যে ভরে দিচ্ছেন। তবে কি দুনিয়াতে সে তার অপকর্মের কোনো সাজাই পাবে না? এমনি এমনিই সে পার পেয়ে যাবে? সবর বন্ধু, সবর! সে তো তার পাপের শাস্তিই পাচ্ছে। যা হয়তো আপনার, আমার এবং ঐ ব্যক্তিটির চোখে অদৃশ্যমান। তবে আমরা একটু চিন্তা করলেই আমাদের অভ্যন্তরীণ সকল…

Read More

নামকাওয়াস্তে মুসলমানের ট্যাগ গায়ে লাগিয়ে এতি-উতি ঘুরে বেড়াতাম। একদা এক মহামারি এসে আমাকে ঘরকুনো করে দিল। তারপর থেকে, অন্ধকার ঘরে একাকী বসে আঁধারকেই ঠিক মানিয়ে নিলাম। সহসা ঘরের এককোণের পলেস্তারা খসে পড়ে হলো সুরঙ্গের সৃষ্টি। সেই সুরঙ্গ পথে প্রবেশ করে দ্বীন নামক নূরের আলো। সেই আলোর রেশ ধরে আমি আঁধারের সেই ঘর থেকে বেড়িয়ে আসি। পাড়ি দেই কণ্টকাকীর্ণ এক দুর্গম পথ। . মধ্যিপথে আমাকে থামিয়ে দিতে আসে বেশুমার ঝঞ্ঝাট। প্রবলবেগে কালবৈশাখী ঝড় এসে আমাকে নুইয়ে দিতে চায়। সহস্র কথার বাণে আমি বিদ্ধ হই। তবুও মাথা নোয়াই না। অসীম শক্তিবলে আমি শক্তপায়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি। নিকষকালো রাত, আকাশেও নেই চাঁদ। গা…

Read More

সায়াহ্নের আবছা আলো পৃথিবীকে ক্রমশ গ্রাস করছে। আঁধারের সুমুদ্দুরে ডুবানোর মাধ্যমে ঝলমলে একটি দিনের পরিসমাপ্তি ঘটলো মাত্রই। তবুও গোটা আকাশে একটু যেন আলোর রেশ রয়েই গেছে। মাগরিবের নামাজ শেষে, বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো মৌনতা। বেলকনির গ্রিলে হাত রাখতেই, দু’হাত বন্দি কঙ্কণেরা খিলখিল করে হেসে উঠলো। আকাশের আবছা আলো এতক্ষণে অন্ধকারের রূপ নিয়েছে। একটি সন্ধ্যা তারা হাসছে মিটিমিটিয়ে। এরম পরিবেশেও মৌনতার মুখে হাসি নেই। কষ্টের তাপদাহে সে অতিষ্ঠ। ধৈর্যের বাঁধ আর কোনো শক্তি দিয়েই আটকে রাখা যাচ্ছে না। তবুও সে দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে যাচ্ছে। কেবল আল্লাহর উপর ভরশার খুঁটিটা এখনো মজবুত আছে বলে। আপন কাউকে কষ্টের কথা বলে যেরম স্বস্তি পাওয়া…

Read More

[১] নাফিজ তার বন্ধু মহলে “ক্লিন বয়” হিসেবে পরিচিত। অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ছাড়া আজকাল ক্যাম্পাসে কেউ তাকে নাফিজ নামে চেনে না। এজন্য সে তার আইডি কার্ড সবসময়ই গলায় ঝুলিয়ে রাখে। যদিও সেদিকে কেউ খুব একটা ভ্রুক্ষেপ করে না। তার বন্ধুরা তাকে সবসময়ই পঁচায়। এই সেদিনকার একটি ঘটনা। সাত বন্ধু মিলে সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করছিল নাফিজরা। এমন সময় উদভ্রান্তের মতো একটি মেয়ে তাদের সামনে এলো। সবাই এমনভাবে হা হয়ে মেয়েটিকে দেখছিলো যে, দু’টি দম্পতি মাছি খুব সহজেই মুখপথ দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবে। মেয়েটি সরাসরি নাফিজের দিকে তাকিয়ে বললো, “ভাইয়া, ম্যাথ ডিপার্টমেন্টটা কোনদিকে?”মেয়েটির আগমন এবং প্রশ্ন দু’টোই আকস্মিক। নাফিজ বেশ ভ্যাবাচ্যাকা…

Read More

সমস্ত কোলাহলকে ছুটি জানিয়েব্যস্ত শহর সহস্র ক্লান্তি নিয়েপাড়ি জমিয়েছে ঘুমরাজ্যে। কেউ জেগে নেই,নেই কোনো বাগ্মিতা;আছে শুধু মুখরিত ঝিঁঝিঁররাতজাগা মৃদুধ্বনি। মিষ্টি সমীরণ আলগোছেভয়ে ভয়ে গুটিসুটি মেরেপাতাগুলো ছুঁয়ে দিয়ে যায়।রেখে যায়-না বলা কিছু স্মৃতি। রুপোলি চাঁদের নরম আলোয়স্নিগ্ধ প্রকৃতিতে কৌমুদীপড়ছে ঝরে ঝরে।জ্যোৎস্না পিয়াসু মনচকিতে জ্যোৎস্না পিয়েপরিতৃপ্ততার ঢেকুর তুলে। নিভৃতে পিচঢালা রাস্তায়সোডিয়াম আলোর সাথেগাছের পাতারা সই পাতিয়েছে।সবুজাভ বর্ণ সেই আলোরসাথে মিতালি গড়েহয়ে উঠেছে নিকষ কালো। গন্ধরাজ ফুটে গোটা রাতকেজানান দিয়েছে সুগন্ধ ছড়িয়ে।সফেদ ফুলের মন মাতানোসুঘ্রাণ আর উপর থেকেঝরে পড়ার জ্যোৎস্না,রাতের সৌন্দর্য যেনবহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর আমি নিশাচরের মতোজেগে জেগে তারইসৌন্দর্য অবলোকন করছি।কি মায়াময়! কি অদ্ভুত!কতই না সৌন্দর্যের বাড়াবাড়ি। __||একটি যামিনীলেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

Read More