Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

আমার নাম মাহাজাবিন শরমিন প্রিয়া। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। ইসলাম, প্রযুক্তি এবং গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিতে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে আমি পাঠকদের জন্য অর্থবহ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করি। মাহাজাবিনের লেখা বিষয়বস্তু তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়।

উযূর সুন্নত। নিম্নোক্ত বিষয়গুলো উযূতে সুন্নাত। সুতরাং উযূ পূর্ণরূপে আদায় হওয়ার জন্য তদনুসারে আমল করা আবশ্যক। ১। উযূ আরম্ভ করার পূর্বে নিয়ত করা। ২। বিসমিল্লাহ পড়ে উযূ শুরু করা। ৩। উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। ৪। মিসওয়াক করা। মিসওয়াক না পেলে আঙ্গুল ব্যবহার করা। ৫। কুলি করা। ৬। নাকে পানি দেওয়া। ৭। রোজাদার না হলে গড়াগড়াসহ কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া। ৮। প্রতিটি অঙ্গ তিন বার করে ধোয়া। ৯। সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা। ১০। উভয় কানের ভিতর ও বাহিরের অংশে মাসেহ করা। ১১। নিচের দিক থেকে দাড়ি খিলাল করা। ১২। আঙ্গুল খিলাল করা। ১৩। ধোয়ার সমস্ত অঙ্গগুলো ডলে…

Read More

সালাত। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, তোমরা সমস্ত নামাজের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজ এবং আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াও।(সূরা বাকারা-২৩৮) রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা কি ভেবে দেখেছো যদি কারো বাড়ির সামনে প্রবাহমান নদী থাকে আর সে প্রতিদিন তাতে পাঁচ বার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? সাহাবাগণ উত্তর দিলেন, না। তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না।তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এটাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উছিলায় সমস্ত গুনাহ নিশ্চিহ্ন করে দেন।(বুখারী, মুসলিম) নামাজের আভিধানিক অর্থ হলো দু’আ করা। আর নামাজের পারিভাষিক অর্থ হলো,…

Read More

উযূর বিধান। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা যখন নামাজ পড়ার ইচ্ছা করবে তখন নামাজের পূর্বে তোমাদের মুখ মন্ডল ও কনুই সহ হস্তদ্বয় ধৌত করবে আর তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং টাখনুসহ পদদ্বয় ধৌত করবে।(সূরা মায়িদ) নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ হদস গ্রস্থ হলে উযূ করা ব্যতীত আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার নামাজ কবুল করেন না।(বুখারি ও মুসলিম শরীফ) উযূ এর আভিধানিক অর্থ হলো, সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরীয়াতে উযূ হলো পানি দ্বারা অর্জিত পবিত্রতা; যা চেহারা, দুই হাত ও দুই পা ধোয়া এবং মাথা মাসেহ করাকে অন্তর্ভুক্ত করে। উযূ ব্যতীত নামাজ পড়া এবং কুরআন মাজিদ…

Read More

এস্তেঞ্জা কী? এস্তেঞ্জা হলো মল মূত্র ত্যাগ করার পর শৌচ করা বা ঢিলা ব্যবহার করা। কীভাবে এস্তেঞ্জা করলে উত্তম রূপে তাহারাত হাসিল হবে, এ সম্পর্কে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ বা বিভ্রান্তির শিকার হয়। অনেকে সঠিকভাবে এস্তেঞ্জার নিয়ম না জানার কারণে সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে পারে না। ফলে তার ইবাদত কবুলের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এই সামান্য একটি বিষয়ও। তাই এ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান রাখা প্রত্যেকের আবশ্যক। আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, সেখানে অর্থাৎ কুবায় এমন লোকেরা রয়েছে, যারা উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জন করা পছন্দ করে। নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।(সূরা আত তাওবা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পেশাব পায়খানা থেকে…

Read More

রাসূলুল্লাহ সল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য পিতৃতুল্য। তোমাদেরকে দ্বীনের যাবতীয় বিষয় শিক্ষা দান করি। যখন তোমাদের কেউ পায়খানায় যাবে সেখানে সে-♣️ কিবলা সামনে বা পিছন করে বসবে না।♣️ ডান হাতে এস্তেঞ্জা করবে না। আর♣️ তিনটি পাথর দ্বারা এস্তেঞ্জা বা শৌচকর্ম করবে। এবং এই কাজে গোবর বা হাড় ব্যবহার করবে না। (আবু দাউদ) যে ব্যক্তি প্রাকৃতিক (অর্থাৎ পেশাব পায়খানা) প্রয়োজন পূরণ করতে চায় তার নিম্নোক্ত বিষয় গুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। ১। লোক চক্ষুর আড়ালে বসা, যেন কেউ তাকে দেখতে না পায়, তার থেকে কোনো আওয়াজ শ্রুত না হয় এবং গন্ধ অনুভূত না হয়। ২। প্রয়োজন পূরণের জন্য…

Read More

যদি কূপে সামান্য নাপাকিও পড়ে, যেমন এক ফোঁটা রক্ত বা এক ফোঁটা মদ। তাহলে কূপের পানি নাপাক হবে এবং কূপের সব পানি বের করা আবশ্যক হবে 👉 যদি কূপে এমন কোনো প্রাণী পড়ে যা সত্তাগত ভাবে নাপাক, (যেমন- শূকর)। তাহলে কূপের সমস্ত পানি বের করা আবশ্যক হবে। শূকর কূপে মারা যাক কিংবা সেখান থেকে জীবিত বের হয়ে আসুক। তদ্রূপ তার মুখ পানি স্পর্শ করুক কিংবা না করুক। 👉 যদি কূপে এমন কোন প্রাণী পড়ে যা সত্তগত ভাবে নাপাক নয়, কিন্তু তার ঝুটা নাপাক। তাহলে কূপের সমস্ত পানি বের করা আবশ্যক হবে। 👉 যদি কূপে কোন মানুষ পড়ে জীবন্ত বের হয়ে…

Read More

ধরুন, আপনি উযূর পানি এনে রেখেছেন। আকস্মিক ভাবে কোনো প্রাণী তাতে মুখ লাগিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আপনি সেই পানি ফেলে উযূর জন্য আর একটু পানি নিবেন- এতটুকু পানি সেই জায়গায় আর পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আপনি কী করবেন?সেই পানি দ্বারাই উযূ করবেন নাকি তায়াম্মুম করবেন অথবা শুধু তায়াম্মুম করবেন? এই সম্পর্কে ফিকহ কী বলে? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেল। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক। প্রথমত আমাদের জানা উচিত উচ্ছিষ্ট কী? উচ্ছিষ্ট হলো ঐ পানি, যা মানুষ অথবা অন্য কোনো প্রাণী পান করার পর পাত্রে অবশিষ্ট থাকে। পানকারী প্রাণীর বিভিন্নতার কারণে উচ্ছিষ্টের বিধান বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ১। মানুষের উচ্ছিষ্ট পাক…

Read More

আচ্ছা বলুন তো, নামাজের পূর্ব শর্ত কী?হ্যাঁ, নামাজের পূর্ব শর্ত উযূ। কিন্তু অনেক সময় আমরা বাছ বিচার না করে যেকোনো পানি দ্বারাই উযূ করে ফেলি। অথচ ইসলাম শরীয়াতে সেই পানি দ্বারা যদি উযূ করা জায়েজ না হয়, তাহলে আমাদের উযূ হবে না। আর উযূ না হলে আমাদের স্বলাত কিংবা কুরআন তিলাওয়াতের মতো ইবাদতও আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই, পানির সাথে কী কী পবিত্র জিনিস মিশ্রিত হলে বা কতটুকু পরিমাণে মিশ্রিত হলে তা দ্বারা উযূ সম্পন্ন হবে নাকি হবে না। যদি পানির সাথে সাবান, আটা ও জাফরান ইত্যাদি কোনো পবিত্র জিনিস মিশ্রিত হয় এবং তা পানির…

Read More

সব সমস্যা আপনাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য আসে না। কিছু সমস্যা আসে আপনাকে রবের কাছাকাছি হওয়ার জন্য। আবার কিছু সমস্যা আসে যা আআপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, আপনার খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল। কিন্তু না। আপনি হয়তো কাল বা পরশু কিংবা কয়েক বছর পর হলেও বুঝতে পারবেন, ঐ সমস্যাটা আপনার জন্য রব প্রদত্ত আশীর্বাদ ছিল। যা আপনি সেই সময় ঠাওর করতে পারেন নি। তো যাই হোক, আসুন আপনার সমস্যা নিয়ে কিছু কথা বলি। প্রথমত যদি আপনার মনে হয় প্রবলেমটা খুব বেশি জেঁকে বসেছে তবে অবশ্যই আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। আর প্রবলেম যদি ততটা জটিল না হয়, তবে আপনাকে…

Read More

পবিত্রতা অর্জিত হওয়া না হওয়ার দিক বিবেচনায় পানি পাঁচ প্রকার। প্রথম প্রকারঃএমন পানি যা নিজে পাক এবং অন্যকে পাক করে এবং মাকরূহ নয়। সাধারণ পানি পাক এবং তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয়। ২য় প্রকারঃএমন পানি যা নিজে পাক এবং অন্যকেও পাক করে, কিন্তু তা মাকরূহ। আর তা হলো বিড়াল, মুরগী, শিকারী পাখি কিংবা সাপের মুখ দেয়া পানি।সাধারণ পানি থাকা অবস্থায় উক্ত পানি দ্বারা উযূ-গোসল করা মাকরূহে তানযীহী। কিনৃতু তাছাড়া অন্য কোনো পানি না থাকলে তা ব্যবহার করা মাকরূহ হবে না। ৩য় প্রকারঃপাক পানি, কিন্তু তা অন্যকে পাক করার ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আর তা হলো, গাধা বা খচ্চরের মুখ দেওয়া…

Read More

আমাদের রব আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। সুতরাং ইবাদত হলো আল্লাহ কর্তৃক আমাদের উপর প্রেরিত দায়িত্ব। এটা আল্লাহর হক। তাই প্রত্যেক মুসলিমের কাছে রবের ইবাদত একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এই ইবাদত রবের কাছে তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন একজন বান্দা পাক-পবিত্র থেকে তাঁর ইবাদত করবে। উল্লেখ্য, জিকির-আজগার এবং দুআর ক্ষেত্রে সাধারণত পবিত্রতার উপর তেমন জোর দেয়া হয়নি। তাছাড়া বাকী সব ইবাদতের ক্ষেত্রে পবিত্রতা জরুরী। তাহলে আসুন প্রথমে জেনে নিই পবিত্রতা কী এবং সে সম্পর্কে মহান রব্বুল আলামিন ও তাঁর হাবিব মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু বাণী। তাহারাত শব্দের আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা। আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই…

Read More

“ইলুমিনাতি এজেন্ডা” মানবজাতিকে ধ্বংসের লুসিফেরিয়ান পরিকল্পনা। লুসিফেরিয়ান কী? অনেকেই হয়তো জানে। যারা জানে না তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, লুসিফেরিয়ান হলো শয়তানের উপাসনা করে। গবেষক মাইকেল টেলিংগার ও অন্যান্যরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, মিশরের পিরামিডগুলো এই গ্রহের মুক্ত শক্তি গ্রিডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গ্রিডগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাচীন ধ্বংসস্তূপগুলো। মাচ্চু-পিচ্চু থেকে শুরু করে এংকর ওয়াট, আরিয়ান রক পর্যন্ত সবই। ওপর থেকে এগুলো দেখলে অনেকটা কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ডের মতো বলে মনে হয়। যেগুলো প্রায় সবটাই সিলিকন আর পানি দিয়ে গঠিত। মানুষেরাও মূলত পানি দিয়ে তৈরি। যদি তাদেরও রূপান্তরিত করা যায়, তবে তারাও চমৎকার পরিবাহকের রূপান্তরিত হতে পারে। লুসিফেরিয়ান মস্তিষ্কের পূজারীরা এই বিষয়টাকে…

Read More