সালাত সম্পর্কিত কিছু মূল কথা

সালাত।

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, তোমরা সমস্ত নামাজের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজ এবং আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াও।
(সূরা বাকারা-২৩৮)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা কি ভেবে দেখেছো যদি কারো বাড়ির সামনে প্রবাহমান নদী থাকে আর সে প্রতিদিন তাতে পাঁচ বার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? সাহাবাগণ উত্তর দিলেন, না। তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এটাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উছিলায় সমস্ত গুনাহ নিশ্চিহ্ন করে দেন।
(বুখারী, মুসলিম)

নামাজের আভিধানিক অর্থ হলো দু’আ করা। আর নামাজের পারিভাষিক অর্থ হলো, এমন কিছু কথা ও কাজ যা নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাকবীরের মাধ্যমে শুরু করা হয় এবং সালামের মাধ্যমে শেষ করা হয়।

নামাজ হলো শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কেননা তা আল্লাহর সাথে বান্দার সংযোগ স্থাপন করে। নামাজ হলো আল্লাহ তাআলার অগণিত নেয়ামতের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ।

নামাজের বিভিন্ন প্রকারঃ
নামাজ দুই প্রকার। যথাঃ
১। রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নামাজ।
২। রুকু-সেজদা বিহীন নামাজ। তা হল জানাযার নামাজ।
রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নামাজ আবার তিন প্রকার। যথাঃ
১।ফরজ নামাজ; তা হল প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
২।ওয়াজিব নামাজ; তা হল বিতর ও দুই ঈদের নামাজ। তদ্রূপ আরম্ভ করে ফাসেদকৃত নফল নামাজের কাযা এবং তওয়াফ পরবর্তী দু’রাকাত নামাজ।
৩।নফল; তা হল ফরজ এবং ওয়াজিব নামাজ ব্যতীত অন্যান্য নামাজ।

নামাজ ফরজ হওয়ার শর্তঃ

তিনটি শর্ত না পাওয়া গেলে নামাজ ফরজ হবে না।
১।মুসলমান হওয়া।সুতরাং অমুসলিমের উপর নামাজ ফরজ হবে না।
২।সাবালেক হওয়া। সুতরাং নাবালেকের উপর নামাজ ফরজ হবে না।
৩।সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া। সুতরাং বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তির উপর নামাজ ফরজ হবে না।
পিতা-মাতার কর্তব্য হলো, যখন সন্তানদের বয়স সাত বছর হয় তখন তাদেরকে নামাজ পড়ার আদেশ করা এবং দশ বছর বয়স হলে নামাজ পড়ার জন্য প্রহার করা। যেন তাদের উপর নামাজ ফরজ হওয়ার আগেই তারা যথা সময়ে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।

এই সমস্ত ফিকহ প্রদান করেছেন- “হযরত মাওলানা শফীকুর রহমান নাদভী (র:)

reporter: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment