।।তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ ও দুনিয়ার নারী।। আব্দুল্লাহ ইবনু মা’সুদ (রা) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা) বলেছেন- ‘ইন্নাল মার’আতা আউরাতুন’ নারী হল ঢেকে রাখার জিনিস অর্থাৎ নারীকে ঢেকে রাখতে হয়। আমার এক তরুণ সাথী একটি আর্টিকেল লিখেছিলেন, তিনি বলেছেন পবিত্র কুর’আনে ঢেকে রাখা সম্পর্কে ইঙ্গিত রয়েছে এভাবে, ‘তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ’ (সূরা আর-রহমান- ৭২)। হাদিসে এসেছে তাঁবু গুলো হল বিশাল লম্বা চাওড়া মুক্তার মত, আর তার মধ্যে লুকায়িত রয়েছে হুরগন। যেমন শামুক বা ঝিনুকের ভিতরে মুক্তা হিফাজত থাকে। এটাই হল নারীর বৈশিষ্ট্য। মেয়েরা হল লুকিয়ে রাখার জিনিস। ‘আল-মার’আতু ক্বুল্লুহা আউরাতুন” নারী তাকেই বলা হয়, যা লুকিয়ে রাখা হয়। নারীরা যখন ঘর থেকে বের…
Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া
জালেম জুলুম করে আর মজলুম সে জুলুমের শিকার হয়। জুলুমের সবচেয়ে কঠিনতম একটি হলো দুনিয়ার কোনো শক্তিশালী ব্যক্তির রোষানলে পতিত হওয়া। আর সে শক্তিশালী যদি শাসক হয় তাহলে জীবনে কতটা দুঃখ আর কষ্টের হয় তা কাউকে ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বর্তমানে কত মানুষ কতভাবে জালেমের রোষনলে পড়ে। কোনো অন্যায় ছাড়াই বিভিন্ন কারণে প্রশাসনের হাতে হেনস্তার শিকার হওয়া তো এখন খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কারো মিথ্যা মামলায় বা সন্দেহের জের ধরে একবার আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়লে জীবনের দুঃখ কষ্টের আর সীমা থাকে না। শুধু প্রশাসনই নয়, স্থানীয় কত শক্তিশালীদের হাতে কত শত জুলুমের শিকার হয় কত মানুষ। ধরে…
ছোটোবেলায় দেখেছি আম্মুরা লং কামিজ পরতেন। এরপর একটা সময় দেখলাম শর্ট কামিজের চল শুরু হলো। ঢাকার আধুনিক ফ্যামিলিগুলোতে সবাই তখন শর্ট কামিজ পরা শুরু করলো। লং কামিজ পরাটা আস্তে আস্তে ব্যাকডেটেড হয়ে গেলো। বয়স্ক ছাড়া কেউ পরতো না। এরপর ঘুরেফিরে অনেক রকম স্টাইল এসেছে৷ অনেক স্টাইল পুরোনো হয়েছে। এখনকার কিছু ফ্যাশন হাউজের পোশাক দেখে বুঝলাম, আবারও ১৫-২০ বছর আগের সেই লং কামিজের চল চলছে। মানে ঘুরেফিরে একই জিনিস। সেই সময় যেটা ছিল “পুরোনো” আর “ব্যাকডেটেড”, এখন নতুন করে সেটাই হয়ে গেলো “ফ্যাশনেবল” আর “ট্রেন্ডি”। এটাই হলো আমাদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি। এই ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টির কাজটা কী জানেন? একটা ট্রেন্ড তুলে দেয়া। ইন্ডাস্ট্রিতে…
প্রোডাক্টিভিটি মানেই বারাকাহ! প্রোডাক্টিভিটি অর্থ কী? এটা যদি সবচেয়ে সহজে কাউকে বুঝিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে বলতে হয় প্রোডাক্টিভিটি মানেই বারাকাহ! যার সময়ে আল্লাহ বারাকাহ দেন, সে প্রোডাক্টিভ ভাবে সময় কাটাতে পারে। যার রিজিকে আল্লাহ বারাকাহ দেন, সে প্রডাক্টিভ ভাবে জীবনের উপকরণগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে। যার সম্পদে আল্লাহ বারাকাহ দেন, সে কখনোই দারিদ্রতার ভয় পায় না। যার সম্পর্ক গুলোতে আল্লাহ বারাকাহ দেন, সে সম্পর্কের মাধ্যমে শান্তি এবং দুয়া পায়, খারাপ ব্যবহার পেলেও অন্যের হক আদায় করতে পিছপা হয় না। তাহলে প্রডাক্টিভিটি মানেই বারাকাহ! 🔸এখন এই বারাকাহ কি এমনি এমনি জীবনে চলে আসবে? নাহ! বারাকাহ আকর্ষণ করবে, এমন কাজ করতে হবে।…
“ছেলেরা কাঁদে না। মেয়েদেরকেই স্যাক্রিফাইস করে চলতে হয়। ছেলেরা কাঁদবে কেন?” এমন কথা আমরা হরহামেশাই শুনে থাকি। আমার মনে হয় কি জানেন, ক্যান ভাই ছেলেরা কাঁদবে না? এটা লেখা আছে কোথাও? কাঁদলে কি হবে? দুনিয়া উলটে যাবে ? আসলে সত্যিকারের মানুষরাই কান্না করে। আর আপনি কোনো একজনকে জড়িয়ে ধরে অথবা প্রিয়মানুষটার সামনে কান্না করছেন মানে এই নয় যে আপনি দূর্বল।সবর করছেন বলে এই না যে আপনি কাঁদতে পারবেন না।আর কাঁদা মানেই দূর্বল নয়।বরং আমি কাদছি মানে ‘আমি ভালোবাসি’ ‘আমি ছেড়ে যেতে অথবা হারাতে চাই না’ . রাসূলুল্লাহ্-ও তো সেদিন ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।যেদিন ১ম জিবরাঈল (আ.)এসেছিলেন!তিনি তখন ছুটে এসে খাদিজা (র.)-কে…
আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কে? শয়তান আমাদের নাম্বার ওয়ান শত্রু। যদি একটু মনোযোগ দিয়ে কুরআনে/হাদিসের শয়তান সম্পর্কে আয়াতগুলো পড়ি, মনে হবে শয়তান লিটারেলি আমাদের রক্তের পেছনে পড়ে আছে! শয়তান আমাদের আত্মা ছিঁড়ে ফেলার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে বসে, অথচ তার মুখের কথা খুব মিষ্টি! এই শয়তান নিয়ে যত বেশি সচেতনতা দরকার, সেগুলো বাদ দিয়ে আমরা কেউ কেউ শয়তান নিয়ে ফাজলামি করি, আর কেউ কেউ নিজের দায়িত্ব এড়ানোর জন্য সব দোষ শয়তানকে দেই! অথচ শয়তান কিন্তু কিয়ামতের দিন আমাদের কারো দায়িত্ব নেবে না। আল্লাহর মুমিন বান্দাদের অন্তরে শয়তানের কোন প্রবেশাধিকার থাকে না। সে শুধু মিষ্টি কথায় ভোলানোর…
আমার জীবনের আসল গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোন গুলো? আমি কি সেটা সেটা চিহ্নিত করতে পারি? আমার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়টা কি High value activities এর জন্য বরাদ্দ রাখি? 🔸 High value সম্পন্ন কাজ হচ্ছে যেগুলো: গুরুত্বপূর্ণ *এবং* যেগুলো আর্জেন্ট। যেমন: সময় মত নামাজ পড়া! এটা অবশ্যই আর্জেন্ট, কারন একটা নামাজের ওয়াক্ত এবং আওয়াল ওয়াক্ত চলে গেলে, সেটা কোনদিন আপনার কাছে ফেরত আসবে না। আপনি কাযা পড়তে পারেন, তাওবা করতে পারেন কিন্তু কোটি টাকা দিয়েও ঐ হারিয়ে যাওয়া নামাজের সময় আপনি-আমি ফেরত আনতে পারবো না! ফরজ ইবাদত গুলো হচ্ছে আর্জেন্ট এবং ইম্পরট্যান্ট: পর্দা করা শুরু করা, কবিরা গুনাহ ছেড়ে দেয়া,…
❝আমরা এ যুগের ডিজিটাল দাইয়ুস নই তো?❞ মূল লিখায় প্রবেশের পূর্বে সংক্ষিপ্তাকারে জেনে নিই দাইয়ুস এর পরিচয়… দাইয়ুস হচ্ছে, যে নিজ পরিবারে যিনা-ব্যভিচার, বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার কাজকে প্রশ্রয় দেয়। রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন, তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন- যে মদ তৈরী করে, যে পিতা মাতার নাফরমানী করে, দাইয়ুস ব্যক্তি (যে নিজ স্ত্রীকে অশ্লীলতা ও ব্যভিচার করতে সুযোগ দেয় – (আহমাদঃ৫৮৩৯) দাইয়ুস ব্যক্তির পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন, দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (নাসাঈঃ২৫৬২, আহমাদ, মিশকাতঃ৩৬৫৫, সহীহুল জামেঃ৩০৫২) মূল লিখা শুরুঃ— [বইঃ গল্প কল্প চিন্তা, লিখেছেনঃ মুহতারাম আহমাদ ইউসুফ শরীফ] ❝বর্তমান সময়ে…
❝হাসানাহ❞ নিয়ে এভাবে কখনো আমরা চিন্তা করেছি? • • আনাস ইবনু মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘রাসুলের যুগে এক মুসলিম ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে, তিনি তার ইয়াদতে যান। গিয়ে দেখেন, সে অসুখে কাতর হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। পরিবার জানায়, তার অবস্থা চরম সংকটাপন্ন। রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ইদানীং তুমি কোনো দুআ করেছিলে? আল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু চেয়েছিলে? লোকটি বলে, হ্যাঁ করেছিলাম। বলেছিলাম, আল্লাহ! যদি পরকালে আমার কপালে কোনো শাস্তি থাকে, তাহলে তা দুনিয়াতেই দিয়ে দেন। রাসুল বলেন, তুমি এমন দোয়া করতে পারো না। পরকালের শাস্তি তুমি দুনিয়াতে বহন করার ক্ষমতা রাখো না। তুমি…
বোনেরা, আল্লাহ তায়ালা আপনাদের যোগ্যতা দিয়েছেন, উচ্চতা দিয়েছেন, হয়ত উচ্চতার সাথে মানানসই শারীরিক গঠন দিয়েছেন – এটা নেয়ামত। . নেয়ামত দেওয়া হয়েছে শোকরিয়া আদায়ের জন্য। আপনি আল্লাহ’র কাছে শোকরিয়া করবেন, আর আল্লাহ পাঠানো পর্যন্ত নির্দিষ্ট একজনের জন্য রিজার্ভ রাখার জন্য। নির্দিষ্ট একজনকেই শো করার জন্য। মাসিক ১৫-২০ হাজার টাকার চুক্তিতে বিক্রয় করার জন্য নয়। নিজেকে প্রদর্শন করে টাকা দরকার তো নেই। . আপনি আওরাহ। আপনি রত্ন। আপনি মুল্যবান। নিজেকে সস্তা করে দিবেন না। ডাল ভাত খেয়ে থাকবেন, অভুক্ত থাকবেন তবুও নারী স্বত্ত্বা ব্যবহার করে উপার্জনের পথে হাঁটবেন না। . পর্দার উদ্দেশ্য সৌন্দর্য্য গোপন করা। পর্দার উদ্দেশ্য আপনার দিকে যেন পর…
একটা বৈপরিত্য খেয়াল করেছেন কি? ফেমিনিস্ট আইডিওলোজি প্রভাবিত বোনেরা অন্য বোনদেরকে নিজেদের শিক্ষা, ক্যারিয়ার নিয়ে উচ্চাকাংখী হবার প্রতি উতসাহিত করেন। সাধারনভাবে কোন মানুষের উচ্চাকাংখী হওয়া দোষের কিছুনা। কিন্তু খেয়াল করলে এই বোনদের মধ্যে একটা ‘অদ্ভুত’ বৈপরিত্য দেখা যায়। সংসার, বাচ্চা সামলে পিএইচডি করা, বিয়ে-সন্তান ধারনে ডিলে করে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করা, সংসারের কঠিন দায়িত্বের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বের ভার বহন করা- এগুলো কোনটাই সহজ কাজ না। অনেক স্ট্রাগল করে একজন মেয়েকে এগুলো চালিয়ে যেতে হয়। আর একজন মুসলিমাহর জন্য তো এগুলো আরও অনেক কঠিন। কিন্তু স্ট্রাগল করে নারীদের শিক্ষাক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া এই বোনেদের উচ্চাকাংখা দ্বীনের ক্ষেত্রে কোথায় যেন…
তারাবীর সালাতে ইমাম যখন ভুল করেন, টের পাই আশপাশের মহিলারা নড়ে ওঠেন, বা অভ্যাসে এক হাতের ওপর আরেক হাত দিয়ে বাড়ি দেন। ইমাম তো শুনবেন না এত দূর থেকে। তাও অভ্যাসে হয়ে যায় এমন। কেন জানেন? কারণ এই মহিলারা হাফিজা। একজন যে হাফিজা, এটা বুঝতে তাকে জিজ্ঞেসও করা লাগে না বেশিরভাগ সময়। খুব সামান্য তিলাওয়াতের ভুলও ধরতে পারছেন, পুরুষরা কেউ ইমামকে শুধরে দেয়ার আগেই এই মহিলারা নড়ে উঠছেন- বুঝাই যায় যে, মুখস্থ। শুধু তাই না। খুঁজলে দেখা যাবে এদের অনেকে সনদপ্রাপ্ত। হয়তোবা ইমামের চেয়েও বেশি কোয়ালিফাইড। হয়তোবা কেন- এমন কত আছে! একটা গ্রূপে আছি, প্রতিদিন সকালে আরব মহিলারা তিলাওয়াত করেন।…