Author: Dipa Sikder Jyoti

দীপা সিকদার জ্যোতি একজন পেশাদার লেখিকা এবং সাংবাদিক, যিনি Rangpur Daily-এর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য নিবন্ধন ও প্রতিবেদন লিখেন। তিনি বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক বিষয়গুলোতে তথ্যসমৃদ্ধ, বিশ্বাসযোগ্য এবং পাঠকবান্ধব কনটেন্ট তৈরি করেন। দীপার লেখনীতে স্থানীয় ও জাতীয় সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরা হয়, যা পাঠকদের জীবনে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর তথ্য পৌঁছে দেয়। তার মূল লক্ষ্য হলো সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা। পাঠকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ তার লেখালেখির মূল প্রেরণা।

টিস্যু চার ধরনের হয়ে থাকে।তার মধ্যে একটি হলো পেশি টিস্যু।এই পেশি টিস্যু সম্পর্কে আজ আমরা জানব। পেশি টিস্যুতে থাকে অনেকগুলো ডিফারেনশিয়েটেড কোষ।এরা প্রোটিন বহন করে।অবস্থান অনুসারে পেশি টিস্যু তিন ধরনের-১.স্কেলিটাল২.স্মুথ৩.কার্ডিয়াককার্ডিয়াক পেশি আবার দুই ধরনের–সাধারণ-বিশেষ এনাটমিকাল শ্রেণিবিন্যাসে পেশি দুই ধরনের-১.স্ট্রিয়েটেড২.নন স্ট্রিয়েটেডস্ট্রিয়েটেড এর মধ্যে আছে স্কেলিটাল এবং কার্ডিয়াক।আর নন স্ট্রিয়েটেড এর মধ্যে আছে স্মুথ মাসল। যদি কাজের দিক থেকে দেখি সেক্ষেত্রে পেশি টিস্যু দুই ধরনের-১.ঐচ্ছিক২.অনৈচ্ছিকঐচ্ছিকের ভেতর আছে স্কেলিটাল মাসল আর অনৈচ্ছিক এর ভেতর আছে স্মুথ মাসল এবং কার্ডিয়াক মাসল। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি অংশ হলো ডিওডেনাম।এর চারটি অংশ আছে।১.প্রথম অংশ২.দ্বিতীয় অংশ৩.তৃতীয় অংশ৪.চতুর্থ অংশ-প্রথম অংশের দৈর্ঘ্য ৫ সে.মি-দ্বিতীয় অংশের দৈর্ঘ্য ৮-১০ সে.মি-তৃতীয় অংশের দৈর্ঘ্য ১০ সে.মি-চতুর্থ অংশের দৈর্ঘ্য ২.৫ সে.মি এর প্রথম অংশের কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।যেমন-*এটি ডিওডেনামের সবচেয়ে নড়নক্ষম অংশ*এন্ড আর্টারি দিয়ে সংবহন পায়*পেপটিক আলসার দিয়ে আক্রান্ত হয়*সারকুলার মিউকাস ফোল্ড থাকেনা ডিওডেনামে চারটি কোট থাকে-*সেরাস*মাসকুলার*সাবমিউকাস*মিউকাস আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য পাকস্থলীর পর ডিওডেনামে আসে।খাদ্য পরিপাকে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের হৃদপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে।তার মধ্যে একটি হলো ডান অলিন্দ।এর আবার স্মুথ এবং রাফ পার্ট থাকে।স্মুথ পার্টকে বলে সাইনাস ভেনোরাম আর রাফ পার্টকে বলে এট্রিয়াম প্রোপার। সাইনাস ভেনোরামে দেখা যায়-*সুপিরিয়র ভ্যানাকাভার ওপেনিং*ইনফিরিয়র ভ্যানাক্যাভার ওপেনিং*করোনারি সাইনাসের ওপেনিং*ফোনামিনা ভেনোরাম*ইন্টারভেনাস টিউবার্কল এট্রিয়াম প্রোপারে থাকে-*ক্রিস্টা টার্মিনালিস*পেকটিনেট মাসল*ইন্টারএট্রিয়াল সেপ্টাম ইন্টারএট্রিয়াল সেপ্টামে আবার থাকে–ফোসা ওভালিস-লিমবাস ফোসা ওভালিস-ট্রাইএঙ্গেল অফ কচ-টোরাস এওর্টিকাস আমাদের পুরো শরীর থেকে দূষিত রক্তগুলো আসে এই ডান অলিন্দে।এগুলো আসে দুইটি মহাশিরা দিয়ে–সুপিরিয়র-ইনফেরিয়র তারপর রক্তগুলো ডান নিলয় হয়ে ফুসফুসে যায় বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

রিফ্লেক্স এক ধরনের সাড়াদান।সংবেদী স্টিমুলেশনের ফলে আমরা যে সাড়া প্রদান করি তা রিফ্লেক্স। রিফ্লেক্স এর বেশকিছু বৈশিষ্ট আছে।সেগুলো হলো-১.সামেশনসামেশন আবার দুই ধরনের–স্প্যাটিয়াল-টেমপোরাল২.অক্লুশন৩.সাবলিমিনাল ফ্রিঞ্জ৪.ফ্যাটিগ৫.রেসিপ্রোকাল ইনার্ভেশন৬.ডিলে৭.ইরিডিয়েশন৮.ফ্যাসিলিটেশন৯.রিক্রুইমেন্ট১০.ইনহিবিশন১১.ফ্রাকশোনেশন১২.রিবাউন্ড ফেনোমেনন১৩.হ্যাবিচুয়েশন১৪.সেনসেটাইজেশন এই রিফ্লেক্স এর ফলে আমরা বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাড়া দেই।কোন কাজে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে তা দ্রুত বুঝতে পারি।কোনো আঘাত আসার উপক্রম হলে তা প্রতিরোধ করতে পারি।সচেতন হতে যেতে পারি।তাই রিফ্লেক্স আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ভেতরে নার্ভের যে সমষ্টি থাকে তাকে বলে ট্রাক্ট।এটি দুই ধরনের-১.উর্ধ্বগামী ট্রাক্ট২.নিম্নগামী ট্রাক্টনিম্নগামী ট্রাক্ট আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে।যেমন-১.পিরামিডাল২.কর্টিকোবালবার৩.এক্সট্রা পিরামিডাল পিরামিডালের মধ্যে আছে-*বড় ল্যাটেরাল কর্টিকোস্পাইনাল*আনক্রসড এনটেরিয়র কর্টিকোস্পাইনাল*আনক্রসড ছোট ল্যাটেরাল কর্টিকোস্পাইনাল এক্সট্রা পিরামিডাল এর মধ্যে রয়েছে-*রুব্রোস্পাইনাল*রেটিকুলোস্পাইনাল*টেক্টোস্পাইনাল*অলিভোস্পাইনাল*ভেসটিবুলোস্পাইনাল*ডিসেনডিং মিডিয়াল লংগিচুডিনাল ফ্যাসিকুলাস এই সবগুলো হলো নিম্নগামী।এরা মূলত চেষ্টীয় প্রকৃতির। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

মানুষের জিআইটি বা গ্যাস্ট্রো ইন্টেসটিনাল ট্রাক্টের সবচেয়ে স্ফীত অংশ হচ্ছে তার পাকস্থলী।আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা একপর্যায়ে পাকস্থলীতে যায়।সেখানে খাদ্যের নানারকম পরিবর্তন আসে।আমাদের পরিপাকক্রিয়া সহজ হয়। শরীরে পাকস্থলীর অবস্থান নিম্নরূপ-*এপিগ্যাস্ট্রিক*বাম হাইপোকন্ড্রিয়াক*আম্বিলিকাল আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য পাকস্থলীতে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য জমা থাকে।এই পাকস্থলীর ধারণ ক্ষমতা হলো-*সদ্যজাত শিশুতেঃ ৩০-৫০ মিলিলিটার*প্রাপ্তবয়স্কেঃ ১০০০-১৫০০ মিলিলিটার পাকস্থলীর উপরের অংশটিকে বলা হয় ফানডাস।এই অংশটি হার্টের দিকে থাকে।এই ফানডাসে থাকে গ্যাস।তাকে বলে ফানডিক গ্যাস।এক্স রে তে এটি বোঝা যায়।তাই ফানডাসকে বোঝা যায় এক্স রে তে।এই ফানডিক গ্যাসের পরিমাণ ৫০ মিলিলিটার। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

দেহের নিচের অংশগুলো থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড হৃদপিণ্ডে পৌঁছায় একটি মহাশিরা দিয়ে।তার নাম ইনফেরিয়র মহাশিরা। ইনফেরিয়র মহাশিরা দেহের নিচের সব দূষিত রক্ত বহন করে নিয়ে যায়।এর অনেকগুলো শাখা আছে যেগুলো এই কাজে তাকে সাহায্য করে।যেমনঃ*সাধারণ ইলিয়াক ভেইন-১ জোড়া-এগুলো ফরমেটিভ শিরা*লাম্বার ভেইন-৪ জোড়া*রেনাল ভেইন-১ জোড়া*ফ্রেনিক ভেইন-১ জোড়া*গোনাডাল ভেইন-ডান*সুপ্রারেনাল ভেইন-ডান*হেপাটিক ভেইন-দুইটি সেট আর দেহের উপরের অংশ থেকে দূষিত রক্ত বহন করে উপরের মহাশিরা।এতে কোনো পর্দা থাকেনা।কিন্তু নিচের মহাশিরায় পর্দা থাকে।যাতে করে রক্ত আবার নিচে না চলে আসে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

এবডোমিনাল ধমনী শুরু হয় নিম্নগামী থোরাসিক এওর্টার পরবর্তী অংশ হিসেবে।এটি ডায়াফ্রামের লেভেলে শুরু হয়।উল্টোদিকে থাকে ১২ তম থোরাসিক ভার্টিব্রার নিচের বর্ডার।এটি শেষ হয় ৪ নাম্বার লাম্বার ভার্টিব্রার দেহ বরবার অংশে। এবডোমিনাল ধমনীর দৈর্ঘ্য ১০-১১ সে.মি.প্রস্থ ২ সে.মি.এর শাখাগুলো হলো-*সিলিয়াক ধমনী*সুপিরিয়র মেসেন্ট্রিক ধমনী*ইনফেরিয়র মেসেন্ট্রিক ধমনী পাশের শাখা-*নিচের ফ্রেনিক*মিডিল সুপ্রা রেনাল*রেনাল*গোনাডাল নিচের শাখা-*লাম্বার ধমনী*মিডিয়ান স্যাক্রাল ধমনী প্রান্তের শাখা-*ডান ইলিয়াক*বাম ইলিয়াক ধমনী ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটার এর সাথে তুলনা করা হয়।এইযে মস্তিষ্কের এত নিঁখুত সব কাজ,এর মূলে রয়েছে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র।আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের দুইটি অংশঃ*চেষ্টীয়*সংবেদী মস্তিষ্কের সংবেদী অংশে আবার আরও কিছু বিশেষ অংশ রয়েছে।যেমনঃ*রিসেপ্টরএগুলো মূলত সংবেদী রিসেপ্টর।এরা বিভিন্ন অনুভূতি গ্রহণ করে।*সংবেদী স্নায়ুএদেরকে এফারেন্ট স্নায়ুও বলা হয়।*স্পাইনাল কর্ডের সংবেদী অংশ।*রেটিকুলার সাবস্টান্সএখানে রয়েছে–মেডুলা-পনস-মধ্যমস্তিষ্কএদের রেটিকুলার বস্তু*থ্যালামাসযা রিলে স্টেশন হিসাবে কাজ করে।*সেরেবেলাম*সেরেব্রাল কর্টেক্সের সংবেদী অংশ ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের বৈশিষ্ট্যই হলো সে নানারকম অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে।এই অনুভূতিগুলো দুই ধরনের হয়।সাধারণ ও বিশেষ অনুভূতি। সাধারণ অনুভূতির মধ্যে রয়েছে-*ব্যথা*স্পর্শ*তাপমাত্রা*চাপ*সন্ধির জায়গা ও চলন*পেশির দৈর্ঘ্য ও টান*ধমনীর রক্তচাপ*কেন্দ্রীয় ভেনাস চাপ এই বিভিন্ন অনুভূতিকে গ্রহণ করে মস্তিষ্কে পাঠানোর জন্য কিছু রিসেপ্টর আছে।যেমনঃ*ফ্রি নার্ভ এন্ডিং*প্যাসিনিয়ান করপাসল*এন্ড বাল্ব অফ ক্রজ*এন্ড বাল্ব অফ রাফিনি ফ্রি নার্ভ এন্ডিংগুলো একাধিক অনুভূতি গ্রহণ করে থাকে।এরা মূলত পরিধির দিকে থাকে।অনুভূতি গ্রহণ করে এরা মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট স্থানে পাঠায়।তারপর আমরা তা অনুভব করতে পারি। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের হৃদপিণ্ডের আবরণ পেরিকার্ডিয়াম।এর দুইটি লেয়ার-১.সেরাস২.প্যারাইটালসেরাস লেয়ারের মধ্যে কিছু স্ট্রাকচার থাকে।যেমন-*ট্রান্সভার্স সাইনাস*অবলিক সাইনাস ট্রান্সভার্স সাইনাসের চারপাশে যা থাকেঃ*সামনে- উর্ধ্বগামী মহাধমনী*পিছনে- বাম অলিন্দের উপরের মার্জিন*উপরে-পালমোনারি ট্রাংক এর বিভক্তি*নিচে- বাম অলিন্দের উপরের সার্ফেস অবলিক সাইনাসের চারপাশে যা থাকেঃ*সামনে- বাম অলিন্দ*পিছনে- প্যারাইটাল লেয়ার*ডানে- পালমোনারি ভেইন*বামে- পালমোনারি ভেইন*উপরে- বাম অলিন্দের উপরের মার্জিন ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে তাকে বলে হাইপোন্যাট্রেমিয়া।সাধারণত ১৩৫ মিলিমোল/লিটার এর চেয়ে কমে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই রোগটির পরবর্তী অবস্থা হলো-*সেরেব্রাল ইডিমা*বমি ভাব*মাথাব্যথা*ক্লান্তিভাব*কোমা*মৃত্যুও হতে পারে*ওভারহাইড্রেশন*দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থা ক্রোনিক হাইপোন্যাট্রেমিয়ার ক্ষেত্রে হয়-*৪% কনভালশন*৬% মৃত্যু একিউট এর ক্ষেত্রে,*২৯% কনভালশন*৫০% মৃত্যু শরীরে যাতে পর্যাপ্ত সোডিয়াম থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।কারণ এটির হ্রাস পাওয়ার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More