রিফ্লেক্স এক ধরনের সাড়াদান।সংবেদী স্টিমুলেশনের ফলে আমরা যে সাড়া প্রদান করি তা রিফ্লেক্স। রিফ্লেক্স এর বেশকিছু বৈশিষ্ট আছে।সেগুলো হলো-১.সামেশনসামেশন আবার দুই ধরনের–স্প্যাটিয়াল-টেমপোরাল২.অক্লুশন৩.সাবলিমিনাল ফ্রিঞ্জ৪.ফ্যাটিগ৫.রেসিপ্রোকাল ইনার্ভেশন৬.ডিলে৭.ইরিডিয়েশন৮.ফ্যাসিলিটেশন৯.রিক্রুইমেন্ট১০.ইনহিবিশন১১.ফ্রাকশোনেশন১২.রিবাউন্ড ফেনোমেনন১৩.হ্যাবিচুয়েশন১৪.সেনসেটাইজেশন এই রিফ্লেক্স এর ফলে আমরা বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাড়া দেই।কোন কাজে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে তা দ্রুত বুঝতে পারি।কোনো আঘাত আসার উপক্রম হলে তা প্রতিরোধ করতে পারি।সচেতন হতে যেতে পারি।তাই রিফ্লেক্স আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
Author: Dipa Sikder Jyoti
আমাদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ভেতরে নার্ভের যে সমষ্টি থাকে তাকে বলে ট্রাক্ট।এটি দুই ধরনের-১.উর্ধ্বগামী ট্রাক্ট২.নিম্নগামী ট্রাক্টনিম্নগামী ট্রাক্ট আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে।যেমন-১.পিরামিডাল২.কর্টিকোবালবার৩.এক্সট্রা পিরামিডাল পিরামিডালের মধ্যে আছে-*বড় ল্যাটেরাল কর্টিকোস্পাইনাল*আনক্রসড এনটেরিয়র কর্টিকোস্পাইনাল*আনক্রসড ছোট ল্যাটেরাল কর্টিকোস্পাইনাল এক্সট্রা পিরামিডাল এর মধ্যে রয়েছে-*রুব্রোস্পাইনাল*রেটিকুলোস্পাইনাল*টেক্টোস্পাইনাল*অলিভোস্পাইনাল*ভেসটিবুলোস্পাইনাল*ডিসেনডিং মিডিয়াল লংগিচুডিনাল ফ্যাসিকুলাস এই সবগুলো হলো নিম্নগামী।এরা মূলত চেষ্টীয় প্রকৃতির। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
মানুষের জিআইটি বা গ্যাস্ট্রো ইন্টেসটিনাল ট্রাক্টের সবচেয়ে স্ফীত অংশ হচ্ছে তার পাকস্থলী।আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা একপর্যায়ে পাকস্থলীতে যায়।সেখানে খাদ্যের নানারকম পরিবর্তন আসে।আমাদের পরিপাকক্রিয়া সহজ হয়। শরীরে পাকস্থলীর অবস্থান নিম্নরূপ-*এপিগ্যাস্ট্রিক*বাম হাইপোকন্ড্রিয়াক*আম্বিলিকাল আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য পাকস্থলীতে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য জমা থাকে।এই পাকস্থলীর ধারণ ক্ষমতা হলো-*সদ্যজাত শিশুতেঃ ৩০-৫০ মিলিলিটার*প্রাপ্তবয়স্কেঃ ১০০০-১৫০০ মিলিলিটার পাকস্থলীর উপরের অংশটিকে বলা হয় ফানডাস।এই অংশটি হার্টের দিকে থাকে।এই ফানডাসে থাকে গ্যাস।তাকে বলে ফানডিক গ্যাস।এক্স রে তে এটি বোঝা যায়।তাই ফানডাসকে বোঝা যায় এক্স রে তে।এই ফানডিক গ্যাসের পরিমাণ ৫০ মিলিলিটার। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
দেহের নিচের অংশগুলো থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড হৃদপিণ্ডে পৌঁছায় একটি মহাশিরা দিয়ে।তার নাম ইনফেরিয়র মহাশিরা। ইনফেরিয়র মহাশিরা দেহের নিচের সব দূষিত রক্ত বহন করে নিয়ে যায়।এর অনেকগুলো শাখা আছে যেগুলো এই কাজে তাকে সাহায্য করে।যেমনঃ*সাধারণ ইলিয়াক ভেইন-১ জোড়া-এগুলো ফরমেটিভ শিরা*লাম্বার ভেইন-৪ জোড়া*রেনাল ভেইন-১ জোড়া*ফ্রেনিক ভেইন-১ জোড়া*গোনাডাল ভেইন-ডান*সুপ্রারেনাল ভেইন-ডান*হেপাটিক ভেইন-দুইটি সেট আর দেহের উপরের অংশ থেকে দূষিত রক্ত বহন করে উপরের মহাশিরা।এতে কোনো পর্দা থাকেনা।কিন্তু নিচের মহাশিরায় পর্দা থাকে।যাতে করে রক্ত আবার নিচে না চলে আসে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
এবডোমিনাল ধমনী শুরু হয় নিম্নগামী থোরাসিক এওর্টার পরবর্তী অংশ হিসেবে।এটি ডায়াফ্রামের লেভেলে শুরু হয়।উল্টোদিকে থাকে ১২ তম থোরাসিক ভার্টিব্রার নিচের বর্ডার।এটি শেষ হয় ৪ নাম্বার লাম্বার ভার্টিব্রার দেহ বরবার অংশে। এবডোমিনাল ধমনীর দৈর্ঘ্য ১০-১১ সে.মি.প্রস্থ ২ সে.মি.এর শাখাগুলো হলো-*সিলিয়াক ধমনী*সুপিরিয়র মেসেন্ট্রিক ধমনী*ইনফেরিয়র মেসেন্ট্রিক ধমনী পাশের শাখা-*নিচের ফ্রেনিক*মিডিল সুপ্রা রেনাল*রেনাল*গোনাডাল নিচের শাখা-*লাম্বার ধমনী*মিডিয়ান স্যাক্রাল ধমনী প্রান্তের শাখা-*ডান ইলিয়াক*বাম ইলিয়াক ধমনী ©দীপা সিকদার জ্যোতি
মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটার এর সাথে তুলনা করা হয়।এইযে মস্তিষ্কের এত নিঁখুত সব কাজ,এর মূলে রয়েছে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র।আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের দুইটি অংশঃ*চেষ্টীয়*সংবেদী মস্তিষ্কের সংবেদী অংশে আবার আরও কিছু বিশেষ অংশ রয়েছে।যেমনঃ*রিসেপ্টরএগুলো মূলত সংবেদী রিসেপ্টর।এরা বিভিন্ন অনুভূতি গ্রহণ করে।*সংবেদী স্নায়ুএদেরকে এফারেন্ট স্নায়ুও বলা হয়।*স্পাইনাল কর্ডের সংবেদী অংশ।*রেটিকুলার সাবস্টান্সএখানে রয়েছে–মেডুলা-পনস-মধ্যমস্তিষ্কএদের রেটিকুলার বস্তু*থ্যালামাসযা রিলে স্টেশন হিসাবে কাজ করে।*সেরেবেলাম*সেরেব্রাল কর্টেক্সের সংবেদী অংশ ©দীপা সিকদার জ্যোতি
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের বৈশিষ্ট্যই হলো সে নানারকম অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে।এই অনুভূতিগুলো দুই ধরনের হয়।সাধারণ ও বিশেষ অনুভূতি। সাধারণ অনুভূতির মধ্যে রয়েছে-*ব্যথা*স্পর্শ*তাপমাত্রা*চাপ*সন্ধির জায়গা ও চলন*পেশির দৈর্ঘ্য ও টান*ধমনীর রক্তচাপ*কেন্দ্রীয় ভেনাস চাপ এই বিভিন্ন অনুভূতিকে গ্রহণ করে মস্তিষ্কে পাঠানোর জন্য কিছু রিসেপ্টর আছে।যেমনঃ*ফ্রি নার্ভ এন্ডিং*প্যাসিনিয়ান করপাসল*এন্ড বাল্ব অফ ক্রজ*এন্ড বাল্ব অফ রাফিনি ফ্রি নার্ভ এন্ডিংগুলো একাধিক অনুভূতি গ্রহণ করে থাকে।এরা মূলত পরিধির দিকে থাকে।অনুভূতি গ্রহণ করে এরা মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট স্থানে পাঠায়।তারপর আমরা তা অনুভব করতে পারি। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের হৃদপিণ্ডের আবরণ পেরিকার্ডিয়াম।এর দুইটি লেয়ার-১.সেরাস২.প্যারাইটালসেরাস লেয়ারের মধ্যে কিছু স্ট্রাকচার থাকে।যেমন-*ট্রান্সভার্স সাইনাস*অবলিক সাইনাস ট্রান্সভার্স সাইনাসের চারপাশে যা থাকেঃ*সামনে- উর্ধ্বগামী মহাধমনী*পিছনে- বাম অলিন্দের উপরের মার্জিন*উপরে-পালমোনারি ট্রাংক এর বিভক্তি*নিচে- বাম অলিন্দের উপরের সার্ফেস অবলিক সাইনাসের চারপাশে যা থাকেঃ*সামনে- বাম অলিন্দ*পিছনে- প্যারাইটাল লেয়ার*ডানে- পালমোনারি ভেইন*বামে- পালমোনারি ভেইন*উপরে- বাম অলিন্দের উপরের মার্জিন ©দীপা সিকদার জ্যোতি
শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে তাকে বলে হাইপোন্যাট্রেমিয়া।সাধারণত ১৩৫ মিলিমোল/লিটার এর চেয়ে কমে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই রোগটির পরবর্তী অবস্থা হলো-*সেরেব্রাল ইডিমা*বমি ভাব*মাথাব্যথা*ক্লান্তিভাব*কোমা*মৃত্যুও হতে পারে*ওভারহাইড্রেশন*দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থা ক্রোনিক হাইপোন্যাট্রেমিয়ার ক্ষেত্রে হয়-*৪% কনভালশন*৬% মৃত্যু একিউট এর ক্ষেত্রে,*২৯% কনভালশন*৫০% মৃত্যু শরীরে যাতে পর্যাপ্ত সোডিয়াম থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।কারণ এটির হ্রাস পাওয়ার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের দাঁত গঠন,হাড় গঠন সহ বিভিন্ন কাজে ভূমিকা রাখে ক্যালসিয়াম।আমাদের পুরো শরীরে সেই ক্যালসিয়ামের বিন্যাস সম্পর্কে আজ জানব। আমাদের শরীরে মোট ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ১-১.৫ কেজি।এর বিন্যাস হলো-*৯৯% হাড়ে*০.৫% নরম টিস্যুতে*০.১% এক্সট্রা সেলুলার টিস্যুতে -হাড়ে থাকে ১২০০-১৪০০ গ্রাম-নরম টিস্যুতে থাকে ৬-৭ গ্রাম-এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইডে থাকে ১২০০-১৪০০ মিলিগ্রাম। হাড়ের ক্যালসিয়ামের দুইটি রূপ আছে-*ল্যাবাইল ক্যালসিয়াম পুল*স্টেবল ক্যালসিয়াম পুল প্লাজমা ক্যালসিয়ামের তিনটি রূপ আছে-*ফ্রি ক্যালসিয়াম*প্রোটিন বাউন্ড ক্যালসিয়াম*দ্রবণীয় ক্যালসিয়াম ©দীপা সিকদার জ্যোতি
শরীরের দূষিত রক্তকে পরিশোধন করতে ফুসফুস অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে থাকে।সেই ফুসফুসেরই উপরের দিকের অংশকে বলে এপেক্স।এপেক্সর চারদিকে অনেক স্ট্রাকচার থাকে।আজ সেগুলো জেনে নেব। সামনে থাকেঃ*সাবক্লাভিয়ান আর্টারি*ইন্টার্নাল থোরাসিক আর্টারি*সাবক্লাভিয়ান ভেইন পিছনে থাকেঃ*সিমপ্যাথেটিক ট্রাংক*ইন্টারকোস্টাল ভেইন*ইন্টারকোস্টার আর্টারি পাশে থাকেঃ*স্কেলেনাস মিডিয়াস মাসল মাঝে থাকেঃডান ফুসফুসের ক্ষেত্রে,*ডান ব্রাকিয়োসেফালিক ভেইন*ব্রাকিওসেফালিক ট্রাংক*ট্রাকিয়াবাম ফুসফুসের ক্ষেত্রে,*বাম ব্রাকিওসেফালিক ভেইন*বাম সাবক্লাভিয়ান আর্টারি*ইসোফেগাস*থোরাসিক ডাক্ট ©দীপা সিকদার জ্যোতি
মানুষের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুসফুস।দুইটি ফুসফুস থাকে দেহে।এর আবরণের নাম প্লুরা।সেই প্লুরা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। প্লুরা একটি সেরাস স্যাক।পুরো ফুসফুসকে এটি আবৃত করে রাখলেও দুটি জায়গায় থাকে না-*হাইলাম*পালমোনারি লিগামেন্ট প্লুরা দুই ধরনের-*ভিসেরাল প্লুরা*প্যারাইটাল প্লুরা প্যারাইটাল প্লুরার চারটি অংশ-১.কোস্টাল২.ডায়াফ্রামেটিক৩.সারভাইকাল৪.মিডিয়াস্টিনাল প্লুরার কাজঃ১.ফুসফুসের প্রসারণে সাহায্য করে।২.ফ্লুইড গ্রহণ করে।৩.আবরণ হিসাবে কাজ করে। মানুষের দুইটি ফুসফুসই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তাই এদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।তা আমাদের শরীরের জন্যই ভালো। ©দীপা সিকদার জ্যোতি