আমাদের শ্বসনতন্ত্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস।তবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে অনেকসময় আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।ফুসফুসের অনেকগুলো রোগের মধ্যে অন্যতম একটি হলো হাঁপানি।ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় Asthma.বাহ্যিক কোনো পদার্থ ফুসফুসে প্রবেশ করলে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে দেহের যতটুকু প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখানোর কথা,তার চেয়ে অধিক পরিমাণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখালে হাঁপানি হতে পারে।আবার অনেক সময় বংশগত কারণেও এটি হয়ে থাকে।তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে,হাঁপানি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়,আবার জীবাণুবাহিতও নয়। ★হাঁপানির কারণ:এলার্জি হয়-এমন খাবার খেলে হাঁপানি হতে পারে।যেমন-চিংড়ি,গরুর মাংস,ইলিশ মাছ ইত্যাদি।এছাড়াও বায়ুর সাথে ধূলাবালি,ফুলের রেণু ফুসফুসে প্রবেশ করলেও হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ★হাঁপানির লক্ষণ:*হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।*কাশির সাথে কখনো কখনো…
Author: Dipa Sikder Jyoti
আমরা যে টক ফলগুলো খাই সেগুলোতে যে ভিটামিন সি থাকে তা আমরা কমবেশি সবাই জানি।কিন্তু আর কিসে কিসে ভিটামিন সি খাকে,এর কাজ ও কাজের প্রক্রিয়া কি,এর অভাবে কি রোগ হয় তা কি আমরা জানি? অনেকেই জানি না।তাই আজ থাকছে ভিটামিন সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। ভিটামিন সি মূলত হেক্সোজ বা ছয় কার্বনবিশিষ্ট কার্বোহাইড্রেট এর ডেরিভেটিভ।অর্থাৎ,ভিটামিন সি উৎপন্ন হয় হেক্সোজ থেকে।এটি একটি রিডিউসিং এজেন্ট।তাপে ভেঙ্গে যায় এবং অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। *ভিটামিন সি এর উৎস:আগেই জেনেছি যে আমরা নানারকম টক ফল থেকে ভিটামিন সি পেয়ে থাকি।যেমন: লেবু, কমলা, টমেটো, আমলকি, পেয়ারা ইত্যাদি।এছাড়াও কাঁচামরিচ ও সবুজ শাকসবজি থেকেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।আগেই বলেছি,তাপে…
Spleen~ বাংলায় যাকে আমরা প্লীহা বলে চিনি তা লসিকাতন্ত্র এবং রক্তসংবহনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আমাদের উদরের বামদিকে প্লীহার অবস্থান।একে আবার হিমোলিম্ফয়েড অঙ্গও বলা হয়ে থাকে।কারণ লিম্ফ বা লসিকা নোড যেমন লসিকাকে পরিস্রুত করে,প্লীহাও তেমনি রক্তকে পরিস্রুত করে।এর আরেকটি কাজ হলো এটি শিশুর জন্মের আগে তার দেহে ইরাইথ্রোসাইট এবং জন্মের পরে লিম্ফোসাইট তৈরী করে। প্লীহাতে একটি মজার প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়।সেটি হলো প্লীহা ১-১১ বিজোড সংখ্যা মেনে চলে।প্লীহার-পুরুত্ব: ১ ইঞ্চিপ্রস্থ: ৩ ইঞ্চিদৈর্ঘ্য: ৫ ইঞ্চিভর: ৭ আউন্সসীমা: ৯-১১ নম্বর পর্শুকাপ্লীহায় বিজোড় সংখ্যার এই বিন্যাসকে বলা হয় Harris dictum. প্লীহাকে দুইটি সার্ফেস থাকে-১.ভিসেরাল সার্ফেস২.ডায়াফ্রামেটিক সার্ফেসপ্লীহায় থাকে তিনটি বর্ডার-১.সুপিরিয়র বর্ডার২.ইনফিরিয়র বর্ডার৩.ইন্টারমিডিয়েট বর্ডারদুইটি প্রান্ত থাকে-১.সামনের প্রান্ত২.পিছনের…
আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান হলো কার্বোহাইড্রেট।এর বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।আজ আমরা সেই ধরণগুলো নিয়ে জানব। প্রথমত,কার্বোহাইড্রেটকে চার ভাগে ভাগ করা হয়-১.মনোস্যাকারাইড২.ডাইস্যাকারাইড৩.অলিগোস্যাকারাইড৪.পলিস্যাকারাইড ★মনোস্যাকারাইডকার্বোহাইড্রেটের সবচেয়ে সরল রূপটি হলো মনোস্যাকারাইড।এখানে ৩-৯টি কার্বন থাকে।যেমনঃ গ্লুকোজ,ফ্রুক্টোজ,গ্যালাক্টোজ,ম্যানোজ ইত্যাদি। ★ডাইস্যাকারাইডদুইটি মনোস্যাকারাইড যুক্ত হয়ে একটি ডাইস্যাকারাইড গঠন করে।এদের মধ্যে থাকে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন।যেমনঃ ম্যালটোজ,ল্যাকটোজ,সুক্রোজ। ★অলিগোস্যাকারাইড৩-১০ টি মনোস্যাকারাইড একত্রিত হয়ে এটি তৈরী করে।এখানেও থাকে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন।যেমনঃ ম্যালটোট্রায়োজ,র্যাফিনোজ ইত্যাদি। ★পলিস্যাকারাইডএদেরকে গ্লাইকানসও বলা হয়ে থাকে।এখানে ১০টির বেশি মনোস্যাকারাইড থাকে।যেমনঃ স্টার্চ,গ্লাইকোজেন,সেলুলোজ,গ্লাইকোপ্রোটিন ইত্যাদি। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
প্রতি মিনিটে আমাদের পুরো শরীর থেকে যে পরিমাণ রক্ত ডান অলিন্দে ফিরে আসে তাকে বলা হয় ভেনাস রিটার্ন।এটি বেশ কিছু ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়।যেমন- ★রেসপিরেটরি পাম্প★মাসল পাম্প★গ্রাভিটি★প্রেশার গ্রাডিয়েন্ট আমাদের শরীরের উপরের যে অংশগুলি থেকে রক্ত আসে সেগুলোর জন্য গ্রাভিটি অনুকূল হিসেবে কাজ করে।আর নিচের দিকের জন্য গ্রাভিটি প্রতিকূল। ভেনোডায়ালেশন হলে ভেনাস রিটার্ন কমে যায়।সিমপ্যাথেটিক সিস্টেম ভেনাস রিটার্ন বাড়ায়।প্যারাসিমপ্যাথেটিক সিস্টেম ভেনাস রিটার্ন কমায়।মাসল পাম্পের ক্ষেত্রে,মাসলের কনট্রাকশন বা সংকোচন ঘটলে রক্তনালীগুলোরও সংকোচন ঘটে।তখন ভেনাস রিটার্ন কমে যায়। ভেনাস রিটার্নের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো,ভেনাস রিটার্ন সবসময় কার্ডিয়াক আউটপুটের সমান।অর্থাৎ,যে পরিমাণ রক্ত হৃদপিণ্ড থেকে প্রতি মিনিটে বের হয়,সেই পরিমাণ রক্তই প্রতি মিনিটে হৃদপিণ্ডে…
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো হৃৎপিণ্ড।এই হৃৎপিণ্ডের পেশিগুলোর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে।আজ আমরা সেগুলো জানব। ★অটোরিদ্মিসিটিঃহৃৎপিণ্ডে থাকা এসএ নোড বাহ্যিক বল ছাড়াই ইমপালস তৈরী করে। ★কনডাকটিভিটি ★কনট্রাক্টিলিটি ★এক্সাইটিবিলিটি ★রিফ্রাক্টরি পিরিয়ডঃএটি এমন একটি সময় যে সময়ে একটা উত্তেজিত হৃদপেশি দ্বিতীয় কোনো স্টিমুলেশন দ্বারা প্রভাবিত হবেনা।এটি দুই ধরনের-*এবসোলিউট*রিলেটিভএবসোলিউট এর সময় ০.২৫ সেকেন্ড।রিলেটিভ এর সময় ০.৫ সেকেন্ড। ★ফাংশনাল সিনসাইশিয়ামঃএটির অর্থ আমাদের হৃদপেশি একটি ইউনিট হিসেবে কাজ করে। হৃদপেশি দুইটি law বা নিয়ম মেনে চলে-*Frank starling law*All or none law ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের শরীরের এমন অনেক অঙ্গ আছে যেগুলো এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে সেগুলো ছাড়া আমরা বাঁচতে পারিনা।আজ তেমনই একটি অঙ্গ সম্পর্কে আমরা জানব।সেটি হলো ফুসফুস। ফুসফুসের দুইটি অংশ-*এপেক্স*বেসতিনটি বর্ডার-*এন্টেরিয়র*ইনফিরিয়র*পোস্টেরিয়রদুইটি তল*কোস্টাল*মিডিয়ালমিডিয়াল তলের আবার দুইটি অংশ–ভার্টিব্রাল-মিডিয়াস্টিনাল আমাদের শরীরে ফুসফুস দুইটি; ডান আর বাম।ডান ফুসফুস দুইটি ফিসার দ্বারা তিনটি লোবে বিভক্ত।আর বাম ফুসফুস একটি ফিসার দ্বারা দুইটি লোবে বিভক্ত।প্রতিটি ফুসফুসেই ১০ টির মত লোবিউল থাকে।বাম ফুসফুসের নিচের দিকে থাকে লিঙ্গুলা,কার্ডিয়াক নচ যেগুলো ডান ফুসফুসে থাকেনা। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
ব্যাসাল গ্যাংলিয়া বলতে মস্তিষ্কের উভয় দিকের কিছু স্ট্রাকচারকে বোঝায়।সেগুলো হলো-*কডেট নিউক্লিয়াস*পুটামেন*গ্লোবাস প্যালাইডাস*সাবথ্যালামিক নিউক্লিয়াস*সাবসট্যানশিয়া নায়াগ্রা ★স্ট্রায়াটামকডেট নিউক্লিয়াস ও পুটামেন মিলে তৈরী করে★লেনটিকুলার নিউক্লিয়াসপুটামেন ও গ্লোবাস প্যালাইটাস মিলে তৈরী হয় গ্লোবাস প্যালাইডাসের দুইটা সেগমেন্ট আছে-*এক্সটার্নাল*ইন্টার্নাল সাবসট্যানশিয়া নায়াগ্রায় আছে-*পারস কমপাকটা*পারস রেটিকুলাটা ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের মধ্যে অন্যতম একটি হলো পার্কিনসন ডিজিজ।এই রোগে ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের অভাব হয়।ফলে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। পার্কিনসন ডিজিজের লক্ষণ হলো-*পেশির কাঠিন্যঃহাতে পায়ের মাংসপেশিতে কাঠিন্যভাব দেখা দেয়।*কম্পনঃবিশ্রামের সময় শরীর কাঁপে।কাজ করলে কাঁপেনা।*ভাবলেসহীন মুখ*ক্লান্তি*কথা বলতে অসুবিধা*ব্রাডিকাইনেসিয়া ★পারকিনসন ডিজিজের চিকিৎসাঃএই রোগের চিকিৎসা হিসাবে ডোপামিন দেয়া হয়।তবে সরাসরি ডোপামিন দেয়া হয়না।কারণ সরাসরি দিলে তা ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অতিক্রম করতে পারেনা।তাই এল ডোপা দেয়া হয়।কারণ তা ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অতিক্রম করতে পারে।ব্রেইনে গিয়ে এটি ডোপামিনে পরিণত হয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
দন্তচিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ইনভেস্টমেন্ট ম্যাটারিয়াল।এর দুইটি গাঠনিক বস্তু আছে-১.রিফ্রাক্টরি ম্যাটারিয়াল২.বাইন্ডার এই উপাদানের আদর্শ বৈশিষ্ট্য হলো-*ভাঙ্গবেনা*তাপে উপাদানের পরিবর্তন হবেনা*ছিদ্র থাকতে হবে*শক্তিশালী হতে হবে*৭-১০ মিনিট সেটিং টাইম*স্মুথ ঘনত্বের হতে হবে ইনভেস্টমেন্ট ম্যাটারিয়ালের টাইপ-তিন ধরনের আছে~১.জিপসাম বন্ডেড ইনভেস্টমেন্ট২.ফসফেট বন্ডেড ইনভেস্টমেন্ট৩.সিলিকা বন্ডেড ইনভেস্টমেন্ট এটিতে অনেকগুলো প্রসেস বা কার্যপদ্ধতি আছে।যেমন-*ফ্লাস্কিং*ডিওয়াক্সিং*প্যাকিং*কিউরিং*ডিফ্লাস্কিং*পলিশিং ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের পুরো মস্তিষ্কটি তিনটি ভাগে বিভক্ত-*অগ্রমস্তিষ্ক*মধ্যমস্তিষ্ক*পশ্চাৎমস্তিষ্কসেরেবেলাম পশ্চাৎমস্তিষ্কের একটি অংশ। সেরেবেলামে তিনটি অংশ আছে-১.সামনের লোব২.মাঝের লোব৩.ফ্লোকুলোনডুলার লোব সেরেবেলামের অর্গানাইজেশন-★সেরেবেলামে আছে~*বাইরের সেরেবেলার কর্টেক্স*ডিপ সেরেবেলা কর্টেক্স নিউক্লি ★সেরেবেলামের প্রাইমারি ইনপুট-*ক্লাইম্বিং ফাইবার*মসি ফাইবার ★সেরেবেলার কর্টেক্স সেরেবেলার কর্টেক্সে ৫ ধরনের নিউরন আছে-১.পার্কিঞ্জি২.গ্রানিউল৩.বাসকেট৪.স্টেলেট৫.গলগি ডিপ সেরেবেলার নিউক্লিগুলো হলো-১.ডেনটেট২.এমবোলিফর্ম৩.ফেসটিজিয়াল৪.গ্লোবোস ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমরা বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন রকমের খাদ্য গ্রহণ করি।এক এক খাদ্যের স্বাদ এক এক রকম।আমরা সেসব স্বাদ বুঝতে পারি।এই যে আমাদের বিভিন্ন খাদ্যের স্বাদ বুঝতে পারা,এতে সাহায্য করে আমাদের স্বাদ কুড়ি। স্বাদ কুড়ি আমাদের জিহ্বায় অবস্থান করে।প্রত্যেকের জিহ্বায় স্বাদ কুড়ির সংখ্যা ১০,০০০ টি।জিহ্বায় এদের অবস্থান-*ফাঞ্জিফর্ম*ভ্যালেট ও*ফোলিয়েট প্যাপিলায়এছাড়াও এরা থাকে-*এপিগ্লটিসের মিউকোসায়*তালুতে*ফ্যারিংসেফিলিফর্ম নামের প্যাপিলা স্বাদ কুড়ি বহন করেনা। স্বাদ কুড়ির পরিমাপ ৫০-৭০ মাইক্রোমিটার।এতে চার ধরনের কোষ থাকে-*ব্যাসাল কোষ*টাইপ ১ কোষ*টাইপ ২ কোষ*টাইপ ৩ কোষ ©দীপা সিকদার জ্যোতি