হাঁপানি হতে সাবধান

আমাদের শ্বসনতন্ত্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস।তবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে অনেকসময় আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।ফুসফুসের অনেকগুলো রোগের মধ্যে অন্যতম একটি হলো হাঁপানি।ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় Asthma.বাহ্যিক কোনো পদার্থ ফুসফুসে প্রবেশ করলে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে দেহের যতটুকু প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখানোর কথা,তার চেয়ে অধিক পরিমাণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখালে হাঁপানি হতে পারে।আবার অনেক সময় বংশগত কারণেও … Read more

আমাদের শর্করাগুলো কোথায় যাচ্ছে?

সুস্থ থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট তথা শর্করা গ্রহণ করা প্রয়োজন।তাই আমরা প্রতিদিন কমবেশি শর্করা আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখি।আমরা শর্করা খাবারের মাধ্যমে নেয়ার পর তার কি হয় তা নিয়েই থাকছে আজকের বিস্তারিত। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্করাগুলো হলো স্টার্চ,ল্যাকটোজ এবং সুক্রোজ।ল্যাকটোজ আর সুক্রোজের পরিপাক হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে।কিন্তু স্টার্চের পরিপাক আমাদের মুখেই শুরু হয়।স্যালাইভারি এমাইলেজ নামক এনজাইমের দ্বারা প্রক্রিয়াটি … Read more

জেনে নিন আপনার scalp এ কি কি আছে

শ্যাম্পুর অ্যাডগুলোতে আমরা প্রায়ই একটি শব্দ শুনে থাকি,সেটি হলো scalp.কিন্তু এই scalp আসলে কি?সোজা বাংলায় বলতে গেলে scalp হলো আমাদের মাথার খুলির চামড়া।আমাদের খুলিটি নরম টিস্যুর যে আবরণে আবৃত থাকে সেটিই হলো scalp.এটি সামনে supraorbital margin থেকে পিছনে external occipital protuberance পর্যন্ত বিস্তৃত।এর দুইপাশে থাকে zygomatic arch.আমাদের scalp এ পাঁচটি লেয়ার থাকে।সেগুলো হলো-1.Skin2.Connective tissue3.Aponeurosis4.Loose areolar … Read more

সুস্থ থাকতে দরকার ভিটামিন সি

আমরা যে টক ফলগুলো খাই সেগুলোতে যে ভিটামিন সি থাকে তা আমরা কমবেশি সবাই জানি।কিন্তু আর কিসে কিসে ভিটামিন সি খাকে,এর কাজ ও কাজের প্রক্রিয়া কি,এর অভাবে কি রোগ হয় তা কি আমরা জানি? অনেকেই জানি না।তাই আজ থাকছে ভিটামিন সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। ভিটামিন সি মূলত হেক্সোজ বা ছয় কার্বনবিশিষ্ট কার্বোহাইড্রেট এর ডেরিভেটিভ।অর্থাৎ,ভিটামিন সি … Read more

মানবদেহেও রয়েছে বাফার

আমরা টিভিতে,খবরের কাগজে বাফার রাষ্ট্রের কথা জেনেছি।তোমরা জেনে অবাক হবে যে আমাদের দেহেও কিন্তু বাফার রয়েছে।এই বাফার সিস্টেমের কাজ হলো অতিরিক্ত এসিড বা ক্ষার যোগ হওয়ার ফলে পিএইচ এর মানের পরিবর্তন হওয়াকে রোধ করা।নির্দিষ্ট পিএইচ ধরে রাখতে বাফার ভূমিকা পালন করে।বাফারে থাকে একটি দূর্বল এসিড এবং এর অনুবন্ধী বা কনজুগেট বেস।আমাদের দেহে মূলত পাঁচ ধরনের … Read more

মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে কেন?

আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত মূত্রত্যাগ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।প্রতিদিন আমরা সাধারণত ০.৫ লিটার থেকে ২.৫ লিটার মূত্রত্যাগ করে থাকি।এই পরিমাণটি স্বাভাবিক।তবে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের প্রাত্যাহিক মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।এটি কিন্তু একটি রোগ।এই রোগটিকে বলা হয় ডাইইউরেসিস।অর্থাৎ, আমাদের কিডনীতে মূত্র উৎপাদনের পরিমাণ যখন দিনে ৩ লিটারের চেয়েও বেশি হয় তখন তাকে বলা হয় … Read more

একটি ডিএনএ থেকে আরেকটি ডিএনএ-জেনেটিক তথ্যের চালান

একটি কোষ থেকে আরেকটি কোষ,সেই কোষ থেকে আরেকটি কোষ-এভাবে কোষবিভাজনের মাধ্যমে আমাদের কোষগুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।তবে কোষ বিভাজনের আগে কোষে থাকা ডিএনএ গুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।একটি ডিএনএ থেকে আরেকটি ডিএনএ তৈরী হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিএনএ রেপ্লিকেশন।বাংলায় একে বলে ডিএনএ অনুলিপন।ডিএনএ অনুলিপনের জন্য বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পড়ে।যেমন-১.সক্রিয় ডিঅক্সি নিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেট২.ডিএনএ টেমপ্লেট৩.ডিএনএ পলিমারেজ এনজাইম৪.প্রাইমার৫.ম্যাগনেসিয়াম … Read more

মানবদেহে প্লীহার কাজ কী?

Spleen~ বাংলায় যাকে আমরা প্লীহা বলে চিনি তা লসিকাতন্ত্র এবং রক্তসংবহনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আমাদের উদরের বামদিকে প্লীহার অবস্থান।একে আবার হিমোলিম্ফয়েড অঙ্গও বলা হয়ে থাকে।কারণ লিম্ফ বা লসিকা নোড যেমন লসিকাকে পরিস্রুত করে,প্লীহাও তেমনি রক্তকে পরিস্রুত করে।এর আরেকটি কাজ হলো এটি শিশুর জন্মের আগে তার দেহে ইরাইথ্রোসাইট এবং জন্মের পরে লিম্ফোসাইট তৈরী করে। প্লীহাতে একটি মজার … Read more

এপেনডিক্স কেন হয়

আমাদের বৃহদন্ত্রের রয়েছে তিনটি অংশ-সিকাম,কোলন ও মলাশয়।সিকামের সাথে আঙ্গুলের মত একটি প্রবর্ধক যুক্ত থাকে।এটিই হলো এপেনডিক্স।এটি সিকামের মধ্য-পশ্চাৎ থেকে ওঠে।অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এপেনডিক্স থাকে।যেমন-*Retro-colic*Pelvic variety*Sub-caecal ইত্যাদি এপেনডিক্সে রক্ত সংবহন হয় appendicular artery দিয়ে।এটি ileo-colic artery এর নিচের ভাগের একটি শাখা।এই artery বা ধমনীটি ইলিয়ামের প্রান্তের পিছন দিয়ে গিয়ে বেসের কাছে একটা recurrent শাখা দেয় … Read more

মানবদেহে অগ্ন্যাশয়ের কাজ কী

মানবদেহে অগ্ন্যাশয়ের কাজ কী

আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি হলো অগ্ন্যাশয়।এতে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা-উভয় গ্রন্থি থাকায় এটিকে বলা হয় মিশ্রগ্রন্থি।এর বহিঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসরণ করে অগ্ন্যাশয় রস।এই অংশে অনেকগুলো লোবিউল থাকে।আর অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসরণ করে আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যানস যাতে থাকে আলফা সেল,বিটা সেল,ডেলটা সেল ইত্যাদি।অগ্ন্যাশয় লম্বায় ১২-১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।এতে চারটি অংশ থাকে।সেগুলো হলো- মস্তক,গলা,দেহ এবং লেজ। মস্তকের থাকে দুইটি … Read more