মানবদেহে দুইটি বৃক্ক থাকে।প্রতিটি বৃক্কে অনেক ধরনের খনিজ লবণ থাকে।এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্যালসিয়াম তথা রেনাল ক্যালসিয়াম।আজ এর ক্ষরণ সম্পর্কে আমরা জানব। বৃক্ক থেকে রেনাল ক্যালসিয়াম ক্ষরিত হয়।এই ক্ষরণে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে।এদের কারো বৃদ্ধিতে রেনাল ক্যালসিয়াম ক্ষরণ বাড়ে,কারো বৃদ্ধিতে ক্ষরণ কমে।যেমনঃ*ডাইটেরি ক্যালসিয়াম-এটি বাড়লে রেনাল ক্যালসিয়াম ক্ষরণ বাড়ে।*ইসিএফ ভলিউম-এর বৃদ্ধিতে রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ বাড়ে।*প্যারাথাইরয়েড হরমোন-এটির উপস্থিতি রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়।*ক্যালসিট্রায়োল-এর বৃদ্ধি রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়।*ক্যালসিটোনিন-এটি উপস্থিত থাকলে তা রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
Author: Dipa Sikder Jyoti
আমাদের নার্ভাস সিস্টেমের একক হলো হলো নিউরন।এর অংশগুলো নিয়ে আলোচনা হবে আজকে। নিউরনের দুইটি অংশ-*কোষদেহ*প্রলম্বিত অংশপ্রলম্বিত অংশ আবার দুই প্রকার–এক্সন-ডেনড্রাইট কোষদেহে থাকে-*নিউক্লিয়াস*নিসল দানা*মাইটোকন্ড্রিয়া*গলগি বস্তু*নিউরোফাইব্রিল*নিউরোফিলামেন্ট ডেনড্রাইটে নিসল দানা থাকে।এরা সিগনালকে কোষদেহের দিকে আনে। এক্সনে নিসল দানা থাকেনা।এরা সিগনাল কে কোষদেহ থেকে দূরে পাঠায়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের শরীরে সোডিয়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পদার্থ যা শরীরের নানা কাজে সহায়তা করে থাকে।তবে এটির অতিরিক্ত পরিমাণে উপস্থিতি আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।শরীরের এর আধিক্যকে বলে হাইপারন্যাট্রেমিয়া। আমাদের শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ যখন ১৪৫ মিলিমোল/লিটার এর চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে বলে হাইপারন্যাট্রেমিয়া।এর কারণগুলো হলো- ★পানি ক্ষয়ঃ*বৃক্কের লবণ ও পানি ক্ষয়।যেমনঃ-অসমোটিক ডাইইউরেসিস-লবণ ক্ষয়-এড্রেনাল ফেইলার*অতিরিক্ত লবণ ও পানি ক্ষয়।যেমনঃ-ডায়রিয়া-বমি-ঘাম-পুড়ে যাওয়া*ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস ★সোডিয়াম অর্জনঃ*কোন’স সিনড্রোম*কুশিং সিনড্রোম*সোডিয়াম বাই কার্বোনেটের ইনফিউশন*প্যারেনটেরাল এলিমেন্টেশন ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের বৃক্ককোষের একক হলো নেফ্রন।এই নেফ্রনের একটি অংশ প্রক্সিমাল কনভুলেটেড টিউব।আজ আমরা প্রক্সিমাল কনভুলেটেড টিউব এর কাজগুলো জেনে নেব। *এটি পানির পুনঃশোষণ করে থাকে(৬০-৭০%)*সোডিয়াম ক্লোরাইড পুনঃশোষণ করে(৬০-৭০%)*বাইকার্বোনেট আয়ন পুনঃশোষণ করে(৯০%)*পটাশিয়াম আয়নের পুনঃশোষণ করে(৭০-৮০%)*হাইড্রোজেন আয়ন নিষ্কাশন করে।*এমোনিয়া তৈরীতে সাহায্য করে।*অর্গানিক এসিড নিঃসরণ করে।*অর্গানিক ক্ষার নিঃসরণ করে।*অর্গানিক ক্যাটায়ন নিঃসরণ করে।*অর্গানিক এনায়ন নিঃসরণ করে।*গ্লুকোজ পুনঃশোষণ করে।*এমিনো এসিড পুনঃশোষণ করে।*ভিটামিনের পুনঃশোষণ ঘটায়।*কিটোন বডির পুনঃশোষণ ঘটায়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আজ আমরা রিফ্লেক্স সম্পর্কে জানব।এটি মূলত একটি অনৈচ্ছিক চেষ্টীয় সাড়াদান যা সংবেদী উদ্দীপনার মাধ্যমে হয়ে থাকে। রিফ্লেক্স এর কিছু বৈশিষ্ট আছে।যেমন-*সামেশন-স্পেটিয়াল-টেম্পোরাল*অক্লুশন*সাবলিমিনাল ফ্রিঞ্জ*দেরী*ক্লান্তি*ইরেডিয়েশন*ফ্যাসিলিয়েশন*রিক্রুইমেন্ট*বাঁধা ইত্যাদি রিফ্লেক্স এর গুরুত্ব হলো-*এটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজের ইন্টিগ্রিটি দেখা যায়।*ইনট্যাক্ট স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষেত্রে রিফ্লেক্স নরমাল থাকে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
মানুষের পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে ক্ষরিত একটি হরমোন হলো অক্সিটোসিন হরমোন।এটি একটি পলিপেপটাইড হরমোন।মোট ৯টি এমিনো এসিড দ্বারা এই হরমোন গঠিত।আজ মানবদেহে অক্সিটোসিন এর কাজ সম্পর্কে আমরা জেনে নেব। *গর্ভবতীর জরায়ুর উপরঃগর্ভবতীরা যখন সন্তান প্রসব করেন তখন জরায়ুর পেশির সংকোচন ঘটার প্রয়োজন পড়ে।এই কাজে সাহায্য করে অক্সিটোসিন।এটি জরায়ুর পেশির সংকোচন ঘটায় এবং সন্তান প্রসবে সাহায্য করে। *দুগ্ধ ক্ষরণঃস্তনে যে মায়োএপিথেলিয়াল কোষ থাকে অক্সিটোসিন এর কাজের ফলে সেই কোষের সংকোচন ঘটে।ফলে মাতৃদুগ্ধ ক্ষরিত হতে পারে। *জরায়ুর উপর কাজ (গর্ভাবস্থা ছাড়া)পুরুষের সাথে মিলনের ফলে নারীর শরীরে যে শুক্রানু প্রবেশ করে তার পরিবহনে জরায়ু কাজ করে আর সে কাজে তাকে সাহায্য করে অক্সিটোসিন হরমোন।…
কোনো বস্তু আমাদের দেখতে পাওয়া অনেক বড় একটি পদ্ধতি।আমাদের দেখতে পাওয়ার মাঝে চোখের অনেকগুলো অংশ কাজ করে।এদের এক একটির ক্ষতর ফলে এক এক রকম রোগ হয়।আজ আমরা সেই সম্পর্কে জানব। অপটিক নার্ভে ক্ষত হলে যে রোগটি হয় সেটি হলো পুরোপুরি না দেখতে পাওয়া।যে চোখের নার্ভে সমস্যা হয় সে চোখ দিয়ে আমরা কিছুই দেখতে পারিনা। অপটিক কায়াজমার আনক্রসড ফাইবারে ক্ষত হলে হয় ন্যাজাল হেমিআনোপিয়া।আর ক্রসড ফাইবারে ক্ষত হলে হয় বাইটেমপোরাল হেমিআনোপিয়া। অপটিক ট্রাক্টের ক্ষতের ফলে হয় কন্ট্রাল্যাটেরাল হোমোনিমাস হেমিআনোপিয়া। অপটিক রেডিয়েশন এর ক্ষত হলে হয় কন্ট্রাল্যাটেরাল হোমোনিমাস হেমিআনোপিয়া। ভিজুয়াল কর্টেক্সের ক্ষতর ফলেও হয় কন্ট্রাল্যাটেরাল হোমোনিমাস হেমিআনোপিয়া। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের শরীরের সাথে জড়িত অনেক বিষ্ময়কর ঘটনা আছে।সেরকমই একটি হলো লাইট রিফ্লেক্স।আমাদের যেকোনো এক চোখে আলো পড়লে সে চোখের পিউপিল তো সংকুচিত হয়ই,সাথে সাথে যে চোখে আলো পড়েনি সে চোখের পিউপিলও সংকুচিত হয়।এটি দুই ধরনের হয়-১.ডিরেক্ট লাইট রিফ্লেক্স২.কনসেনসুয়াল লাইট রিফ্লেক্স এর লাইট রিফ্লেক্স এর পথে আলো যে যে পথ দিয়ে যায় সেগুলো হলো-*চোখের রিফ্রাক্টিভ মিডিয়া*রেটিনা*কোন রিসেপ্টর*বাইপোলার সেল*গ্যাংলিয়ন সেল*অপটিক নার্ভ*অপটিক কায়াজমা*অপটিক ট্রাক্ট*প্রিটেক্টাল নিউক্লিয়াস*এডিনজার ওয়েস্টফাল নিউক্লিয়াস*অকুলোমোটর নার্ভ*সিলিয়ারি গ্যাংলিয়ন*শর্ট সিলিয়ারি নার্ভ সবশেষে আলো চোখের আইরিশে পৌঁছায়।তখন এর পেশি সংকুচিত হয়।এতে করে পিউপিলও সংকুচিত হয়। @দীপা সিকদার জ্যোতি
সেন্স বা অনুভূতি আমাদের এমন একটি মেকানিকাল ক্যাপাসিটি যার সাহায্যে পুরো শরীরের বিভিন্ন অংশের সংবেদন গ্রহণ করা হয়।এটি দুই ধরনের।১.সাধারণ অনুভূতি২.বিশেষ অনুভূতি সাধারণ অনুভূতির মধ্যে আছে–স্পর্শ-তাপ-চাপ-ব্যথাএই অনুভূতি গুলো।আর বিশেষ অনুভূতির মধ্যে আছে–দর্শন-গন্ধ-স্বাদ-শ্রবণ *দর্শনের রিসেপ্টর হলো রড ও কোন রিসেপ্টর।*স্বাদের রিসেপ্টর হলো স্বাদ কুড়ি।*গন্ধের রিসেপ্টর অলফ্যাক্টরি নিউরন।*শ্রবণের রিসেপ্টর হেয়ার সেল।এই রিসেপ্টর গুলোর কাজের ফলে নির্দিষ্ট অনুভূতি আমাদের নির্দিষ্ট অঙ্গে বাহিত হয়।ফলে আমরা অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারি। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের মস্তিষ্কের সেরেব্রামের চারটি লোবের মধ্যে একটি হলো প্যারাইটাল লোব।এই লোব সম্পর্কে আজকে জেনে নেব। প্যারাইটাল লোবে থাকে,দুইটি সালকাস-*পোস্ট সেন্ট্রাল সালকাস*ইন্ট্রাপ্যারাইটাল সালকাস তিনটি জাইরাস-*পোস্ট সেন্ট্রাল জাইরাস*সুপিরিয়র প্যারাইটাল জাইরাস*ইনফেরিয়র প্যারাইটাল জাইরাস ইনফেরিয়র প্যারাইটাল জাইরাসে আরো দুইটি জাইরাস দেখা যায়।সেগুলো হলো-*সুপ্রা মার্জিনাল জাইরাস*এংগুলার জাইরাস সেরেব্রামের প্যারাইটাল লোবে মূলত সেন্সরি কাজ করে।অর্থাৎ,সংবেদী কাজ হয় এখানে।উল্লেখ্য, সালকাস বলতে নিচু জায়গা এবং জাইরাস বলতে উঁচু জায়গাকে বোঝানো হয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের প্লাজমায় ক্যালসিয়ামের সাধারণ পরিমাণ ৯.৪ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার।বিভিন্ন কারণে এ পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটতে পারে।কিন্তু সাধারণত তিনটি জিনিস এর সাম্য রক্ষা করে।সেগুলো হলো-১.প্যারাথাইরয়েড হরমোন২.এক্টিভ ভিটামিন ডি৩.ক্যালসিটোনিন ★প্যারাথাইরয়েড হরমোন*ক্যালসিয়ামের সমাবেশ বৃদ্ধি করে*নেফ্রন থেকে পুনঃশোষণ বৃদ্ধি করে*অন্ত্র থেকে শোষণ বৃদ্ধি করে ★এক্টিভ ভিটামিন ডি*ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়*বৃক্কে এর পুনঃশোষণ বাড়ায়*হাড় গঠনে সাহায্য করে ★ক্যালসিটোনিন*হাড় পুনঃশোষণ বাড়ায়*মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম নিষ্কাশন বৃদ্ধি করে। এদের নিয়মিত ও সঠিক কাজের ফলে প্লাজমায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণে সাম্য বজায় থাকে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক যৌন জীবনের শুরু হওয়াকে বলে পিউবার্টি।আমাদের সবাইকেই এ সময়টির ভেতর দিয়ে যেতে হয়।আজ সে সম্পর্কে জানব। আমাদের জীবনের একটি বিশেষ সময় হলো পিউবার্টি। এ সময় আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে।ছেলে এবং মেয়ে-উভয় ক্ষেত্রেই।এই পরিবর্তন গুলো হলো-*থেলার্চিঃএটি মূলত মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়।এ সময় তাদের স্তনের পরিবর্তন বলে।এ পরিবর্তন এর শুরুকে থেলার্চি বলে। *পিউবার্চিঃবগলে এবং পিউবিক অঞ্চলে চুল/লোম গজানোর শুরুকে বলা হয় পিউবার্চি।এ সময়ে এই পরিবর্তন গুলো হয়ে থাকে। *মেনার্কিঃমেয়েদের ঋতুচক্র শুরু হওয়ার শুরুকে বলা হয় মেনার্কি।এ সময় তারা মা হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। *এড্রেনার্কিঃএটি ছেলে ও মেয়ে-উভয় এর মধ্যে হয়।এ সময় এড্রেনাল গোনাডোট্রোপিন এর ক্ষরণ বেড়ে যায়। মেয়েদের পিউবার্টি তুলনামূলক…