Author: Dipa Sikder Jyoti

আমি দীপা সিকদার জ্যোতি।লেখাপড়ার পাশাপাশি রংপুর ডেইলীতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগে কাজ করছি।সকলের আশীর্বাদ একান্ত কাম্য।

হৃদপিন্ড আমাদের শরীরের রক্ত পাম্পিং মেশিন।আমাদের বক্ষপিঞ্জরের মধ্যে এর অবস্থান।এর বেসের রিলেশনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকে। হৃদপিণ্ডের বেস ও ভার্টিব্রাল কলামের মাঝামাঝি থাকে-*অবলিক সাইনাস*পেরিকার্ডিয়াম*পালমোনারি ভেইন*ব্রংকাস*ইসোফ্যাগাস*ডিসেন্ডিং থোরাসিক এওর্টা*থোরাসিক ডাক্ট*এজাইগাস ভেইন*হেমিএজাইগাস ভেইন*গ্রেটার স্প্লেংকনিক নার্ভ*লেসার স্প্লেংকনিক নার্ভ*লিম্ফ নোড হৃদপিণ্ডের বেস বলতে মূলত এর উপরের দিকটাকে বোঝানো হয়ে থাকে।এর আকৃতি কোয়াড্রিল্যাটেরাল।মূলত এর গঠনে ডান এবং বাম উভয় অলিন্দেরই ভূমিকা থাকে।এটি হৃদপিণ্ডের ফিক্সড পার্ট। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

মানব হৃদপিণ্ডের পর্দা রয়েছে।সেই পর্দা বা আবরণের নাম হলো পেরিকার্ডিয়াম।এর পেরিকার্ডিয়ামের রয়েছে আলাদা রক্তসংবহন,ভেনাস ড্রেইনেজ এবং নার্ভ সাপ্লাই। ★রক্ত সংবহনঃপেরিকার্ডিয়ামের তিনিটি লেয়ার থাকে।ভিসেরাল,প্যারাইটাল এবং ফাইব্রাস।প্যারাইটাল ও ফাইব্রাস লেয়ারকে রক্ত সংবহন দেয় ইন্টার্নাল থোরাসিক আর্টারি এবং নিম্নগামী থোরাসিক এওর্টার শাখা।আর ভিসেরাল লেয়ারকে সংবহন দেয় করোনারি আর্টারি। ★ভেনাস ড্রেইনেজঃপেরিকার্ডিয়ামের প্যারাইটাল এবং ফাইব্রাস লেয়ার ড্রেইন করে এজাইগাস ভেইন এবং ইন্টার্নাল থোরাসিক ভেইনে।আর ভিসেরাল লেয়ার করে করোনারি সাইনাসে। ★স্নায়ু সংবহনঃফাইব্রাস এবং প্যারাইটাল লেয়ারকে দেয় ফ্রেনিক নার্ভ।আর ভিসেরাল লেয়ারকে দেয় ভ্যাগাস নার্ভ ও সিমপ্যাথেটিক নার্ভ।অবশ্য এরা করোনারি প্লেক্সাস এর মাধ্যমে দেয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

ভলিউম ডিসঅর্ডার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক একটি বিষয়।এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।ভলিউমের পরিমাণ বুঝে এদের নামকরণ করা হয়। ভলিউম ডিসঅর্ডার মূলত দুই ধরনের।১.হাইপোভলেমিক ডিসঅর্ডার২.হাইপারভলেমিক ডিসঅর্ডার হাইপোভলেমিক ডিসঅর্ডার তিন ধরনের হয়-*আইসোটনিক*হাইপারটনিক*হাইপোটনিক হাইপারভলেমিয়াও তিন ধরনের হয়ে থাকে।যেমন-*আইসোটনিক*হাইপারটনিক*হাইপোটনিক এদের মধ্যে খুব সাধারণ হলোঃ-আইসোটনিক হাইপোভলেমিয়া-হাইপারটনিক হাইপোভলেমিয়া-হাইপোটনিক হাইপারভলেমিয়া বিরল হলোঃ-হাইপোটনিক হাইপোভলেমিয়া-আইসোটনিক হাইপারভলেমিয়া-হাইপারটনিক হাইপারভলেমিয়া ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের শরীরে সোডিয়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ।দেহে এর সাধারণ পরিমাণ ৩৫০০-৪৫০০ মিলিমোল/লিটার বা, ৫০-৬০ মিলিমোল/কেজি।এর ইনটেক ১০০-২০০ মিলিমোল/দিন।আউটপুট ১০০-২০০ মিলিমোল/দিন। আমাদের শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখে বিভিন্ন ফ্যাক্টর।যেমনঃ*এলডোস্টেরন*রেনিন*ক্যাটেকোলামিন*এট্রিয়াল ন্যাট্রিইউরেটিক পেপটাইড*এট্রিয়াল ন্যাট্রিইউরেটিক পেপটাইড এর বেড়ে যাওয়া*রেনিন কমে যাওয়া*এনজিওটেনসিন ২ কমে যাওয়া*এলডোস্টেরন কমে যাওয়া*ক্যাটেকোলামিন কমে যাওয়া*এএনপি কমে যাওয়া*রেনিন বেড়ে যাওয়া*এনজিওটেনসিন ২ বেড়ে যাওয়া*এলডোস্টেরন বেড়ে যাওয়া*ক্যাটেকোলামিন বেড়ে যাওয়া এই বিভিন্ন ঘটনা সোডিয়াম এর ভারসাম্যে ভূমিকা রাখে।কোনোটির ফলে সোডিয়াম বাড়ে,কোনোটির ফলে কমে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

অচেতন পানি হ্রাস- বেশ অবাক করা একটি বিষয়।আমরা বিভিন্ন ভাবে আমাদের শরীর থেকে পানি বের করি।কিন্তু কিছু কিছু সময় আমাদের অজান্তেই শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়।একেই বলা হয় অচেতন পানি হ্রাস। আমাদের ত্বক থেকে পানি বের হতে পারে।ঘামের মাধ্যমে তা হতে পারে।আমাদের লোমকূপ দিয়ে বের হয়ে যায়।আবার আমরা যখন নিঃশ্বাস ত্যাগ করি তখন সেই ত্যাগকৃত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের কিছু পানি বাইরে বের হয়ে যায়।এই জিনিসগুলো আমরা না চাইলেও ঘটে।আমাদের অজান্তেই ঘটে।এদেরকে বলা হয় অচেতন পানি হ্রাস।এর পরিমাণ ৮০০-১০০০ মিলিলিটার/দিন বা, ১০ মিলিলিটার/কেজি/দিন। এটি কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে।যেমনঃ*দেহের সার্ফেস এরিয়া*রেসপিরেটরি রেট*দেহের তাপমাত্রা*পরিবেশের তাপমাত্রা আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই…

Read More

আমাদের শরীরে পানির ভারসাম্য থাকার প্রক্রিয়া খুব মজার একটি প্রক্রিয়া।সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজ আমরা জানব। এক্ষেত্রে দুই ধরনের প্রক্রিয়া কাজ করে-১.এন্টি ডাই ইউরেটিক হরমোন প্রক্রিয়া২.তৃষ্ণা প্রক্রিয়া শরীরে যখন পানি কমে যায় তখন হাইপোভলেমিয়া ও হাইপার অসমোলারিটি হয়।হাইপোভলেমিয়া সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে উদ্দীপ্ত করে।ফলে রেনিন ক্ষরণ হয় যার থেকে পর্যায়ক্রমে এনজিওটেনসিস ২ উৎপন্ন হয়।আবার হাইপার অসমোলারিটির কারণে মস্তিষ্কের অসমোরিসেপ্টরগুলো উদ্দীপ্ত হয়।এই অসমোরিসেপ্টর ও এনজিওটেনসিন ২ একত্রে কাজ করে।এনজিওটেনসিন ২ আমাদের তৃষ্ণার কেন্দ্রকে উদ্দীপ্ত করে।ফলে আমাদের তৃষ্ণা লাগে।আমরা জল পান করি।আবার একইসাথে এন্টি ডাই ইউরেটিক হরমোন ক্ষরণ বাড়ে যা জলের রিটেনশন ঘটায়।ফলে সবমিলিয়ে জলের সাম্যতা বজায় থাকে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড ও ইন্ট্রা সেলুলার ফ্লুইড- এই দুই জায়গায়ই থাকা একটি উপাদান হলো পটাশিয়াম।পটাশিয়াম কোষের ভেতরে ও বাইরে উভয় স্থানে থেকে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। পটাশিয়াম কোষের ভেতরে ও বাইরে যে কাজগুলোর সাথে যুক্ত সেগুলো হলো-*রেস্টিং মেমব্রেন পটেনশিয়াল*একশন পটেনশিয়াল*টিস্যু এক্সাইটেবিলিটি*কোষের ভেতরের ফ্লুইডের অসমোলারিটি রক্ষা করে*কোষের আয়তন রক্ষা করে*ভেতরে পরিবেশের অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখে*নিউক্লিক এসিড সিন্থেসিস করে*প্রোটিন সিন্থেসিস করে*কোষের বৃদ্ধি ঘটায় এই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ পটাশিয়াম করে থাকে।ফলে ভেতরের পরিবেশ ঠিক থাকে।কোষেরও বৃদ্ধি হয় আবার আয়তনও বজায় থাকে।তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের বৃক্কের কোষের নাম নেফ্রন।সেই নেফ্রনে বেশকিছু অংশ থাকে।তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো প্রক্সিমাল কনভুলেটেড টিউব। বৃক্ক নালিকার মধ্যে নিকটবর্তী অংশের নাম প্রক্সিমাল কনভুলেটেড টিউব।প্রক্সিমাল অর্থ নিকটবর্তী।এই অংশটি অনেক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে।যেমনঃ১.পানি পুনঃশোষণ২.সোডিয়াম ক্লোরাইড পুনঃশোষণ৩.হাইড্রোজেন আয়ন ক্ষরণ৪.গ্লুকোজ পুনঃশোষণ৫.এমোনিয়া তৈরি করা৬.ভিটামিন পুনঃশোষণ৭.ফসফেট পুনঃশোষণ৮.এমোনিয়াম আয়ন ক্ষরণ৯.জৈব এসিড ও ক্ষার ক্ষরণ১০.পটাশিয়াম আয়ন পুনঃশোষণ১১.বাইকার্বোনেট আয়ন পুনঃশোষণ১২.জৈব আয়ন ক্ষরণ এরকম অনেক কাজের সাথে যুক্ত বৃক্কের নিকটবর্তী নালিকাটি।এর সঠিক কাজ মূত্র তৈরিতে সহায়ক। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের শরীর থেকে যে মূত্র নিষ্কাশিত হয় তা প্রথমে ফিলট্রেট রূপে থাকে।আর আমাদের বৃক্কের নেফ্রন প্রতি মিনিটে যে পরিমাণ ফিলট্রেট তৈরী করে তাকে বলে গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট।এর মান ১২৫ মিলি/মিনিট বা ১৮০ লিটার/দিন।এটি মূলত পুরুষের ক্ষেত্রে মান।আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ১০% কম হতে পারে। গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট কম হবে না বেশি হবে তা কিছু ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে।যেমনঃ১.গ্লোমেরুলার মেমব্রেনে মোট ফিলট্রেশন প্রেশার।২.গ্লোমেরুলার মেমব্রেন এর ভেদন সহগ।৩.সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম।৪.রেনাল ভেসোকনস্ট্রিক্টর৫.রেনাল ভেসোডায়ালেটর রেনাল ভেসোকনস্ট্রিক্টর জিএফআর কমিয়ে দেয়।রেনাল ভেসোডায়ালেটর জিএফআর বাড়িয়ে দেয়। এই গ্লোমেরুলার ফিলট্রেট পরে বিভিন্ন পরিবর্তন এর মধ্যে দিয়ে যায়।সবশেষে তা মূত্রে পরিণত হয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

মানবদেহে দুইটি বৃক্ক থাকে।প্রতিটি বৃক্কে অনেক ধরনের খনিজ লবণ থাকে।এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্যালসিয়াম তথা রেনাল ক্যালসিয়াম।আজ এর ক্ষরণ সম্পর্কে আমরা জানব। বৃক্ক থেকে রেনাল ক্যালসিয়াম ক্ষরিত হয়।এই ক্ষরণে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে।এদের কারো বৃদ্ধিতে রেনাল ক্যালসিয়াম ক্ষরণ বাড়ে,কারো বৃদ্ধিতে ক্ষরণ কমে।যেমনঃ*ডাইটেরি ক্যালসিয়াম-এটি বাড়লে রেনাল ক্যালসিয়াম ক্ষরণ বাড়ে।*ইসিএফ ভলিউম-এর বৃদ্ধিতে রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ বাড়ে।*প্যারাথাইরয়েড হরমোন-এটির উপস্থিতি রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়।*ক্যালসিট্রায়োল-এর বৃদ্ধি রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়।*ক্যালসিটোনিন-এটি উপস্থিত থাকলে তা রেনাল ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের নার্ভাস সিস্টেমের একক হলো হলো নিউরন।এর অংশগুলো নিয়ে আলোচনা হবে আজকে। নিউরনের দুইটি অংশ-*কোষদেহ*প্রলম্বিত অংশপ্রলম্বিত অংশ আবার দুই প্রকার–এক্সন-ডেনড্রাইট কোষদেহে থাকে-*নিউক্লিয়াস*নিসল দানা*মাইটোকন্ড্রিয়া*গলগি বস্তু*নিউরোফাইব্রিল*নিউরোফিলামেন্ট ডেনড্রাইটে নিসল দানা থাকে।এরা সিগনালকে কোষদেহের দিকে আনে। এক্সনে নিসল দানা থাকেনা।এরা সিগনাল কে কোষদেহ থেকে দূরে পাঠায়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের শরীরে সোডিয়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পদার্থ যা শরীরের নানা কাজে সহায়তা করে থাকে।তবে এটির অতিরিক্ত পরিমাণে উপস্থিতি আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।শরীরের এর আধিক্যকে বলে হাইপারন্যাট্রেমিয়া। আমাদের শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ যখন ১৪৫ মিলিমোল/লিটার এর চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে বলে হাইপারন্যাট্রেমিয়া।এর কারণগুলো হলো- ★পানি ক্ষয়ঃ*বৃক্কের লবণ ও পানি ক্ষয়।যেমনঃ-অসমোটিক ডাইইউরেসিস-লবণ ক্ষয়-এড্রেনাল ফেইলার*অতিরিক্ত লবণ ও পানি ক্ষয়।যেমনঃ-ডায়রিয়া-বমি-ঘাম-পুড়ে যাওয়া*ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস ★সোডিয়াম অর্জনঃ*কোন’স সিনড্রোম*কুশিং সিনড্রোম*সোডিয়াম বাই কার্বোনেটের ইনফিউশন*প্যারেনটেরাল এলিমেন্টেশন ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More