Author: Dipa Sikder Jyoti

দীপা সিকদার জ্যোতি একজন পেশাদার লেখিকা এবং সাংবাদিক, যিনি Rangpur Daily-এর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য নিবন্ধন ও প্রতিবেদন লিখেন। তিনি বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক বিষয়গুলোতে তথ্যসমৃদ্ধ, বিশ্বাসযোগ্য এবং পাঠকবান্ধব কনটেন্ট তৈরি করেন। দীপার লেখনীতে স্থানীয় ও জাতীয় সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরা হয়, যা পাঠকদের জীবনে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর তথ্য পৌঁছে দেয়। তার মূল লক্ষ্য হলো সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা। পাঠকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ তার লেখালেখির মূল প্রেরণা।

লিভার বা যকৃত আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ।এটি একটি মিশ্র গ্রন্থি।কারণ এখানে এক্সোক্রাইন ও এন্ডোক্রাইন- উভয় গ্রন্থি আছে।এক্সোক্রাইন অংশ ক্ষরণ করে-*পিত্তএন্ডোক্রাইন অংশ ক্ষরণ করে-*গ্লুকোজ*প্লাজমা প্রোটিন*হেপারিন যকৃতের পাঁচটি তল হলো-*ডান ল্যাটেরাল*এন্টেরিয়র*সুপিরিয়র*পোস্টেরিয়র*ইনফিরিয়র ইনফিরিয়র তলে থাকে-*গ্যাস্ট্রিক ইমপ্রেশন*ডিওডেনাল ইমপ্রেশন*পিত্তথলির ইমপ্রেশন*রেনাল ইমপ্রেশন*সুপ্রারেনাল ইমপ্রেশন যকৃত এমন একটি অঙ্গ যার ২/৩ অংশ কেটে নিলেও একজন মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের নার্ভাস সিস্টেমে দুই ধরনের উপাদান থাকে-সংবেদী উপাদান-চেষ্টীয় উপাদানআজ আমরা চেষ্টীয় উপাদান সম্পর্কে জানব। চেষ্টীয় উপাদান অর্থ মোটর কম্পোনেন্ট।এর মধ্যে আছে-১.মোটর কর্টেক্স২.সাবকর্টিকাল এরিয়া৩.স্পাইনাল কর্ড মোটর কর্টেক্সে আছে–প্রাইমারি মোটর এরিয়া-প্রি মোটর এরিয়া-সাপ্লিমেন্টারি মোটর এরিয়া সাবকর্টিকাল এরিয়াতে আছে–ব্যাসাল গ্যাংলিয়া-সেরেবেলাম-মেডুলা প্রাইমারি মোটর এরিয়ার নাম্বার ৪।প্রি মোটর এরিয়ার নাম্বার ৬।সাপ্লিমেন্টারি মোটর এরিয়ার নাম্বার ৬ ও ৮। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় একটি অংশ হলো লিভার বা যকৃত।এর দুইটি সার্ফেস আছে-*প্যারাইটাল*ভিসেরালপ্যারাইটাল সার্ফেসের আবার চারটা অংশ-*সুপিরিয়র*এন্টেরিয়র*পোস্টেরিয়র*রাইট ল্যাটারালএই রাইট ল্যাটারাল সার্ফেসের আশেপাশে কি কি থাকে আজ আমরা সেই সম্পর্কে জানব। এখানে থাকে-*ডায়াফ্রামের ডান পাশের নিচের অংশ*ডান দিকের ৭-১১ পর্শুকা*পর্শুকা আর ডায়াফ্রামের মাঝে আছে–উপরে ডান ফুসফুস,ডান প্লুরাল স্যাক-মাঝে ডান প্লুরার কোসটোডায়াফ্রাগমেটিক রিসেস-নিচে কোনো ফুসফুস বা প্লুরা থাকে না।এখানে ডায়াফ্রাম সরাসরি ১০-১১ পর্শুকার সংস্পর্শে আসে। এই অংশের অনেক গুরুত্ব আছে।লিভারের নিডল বায়োপসির ক্ষেত্রে এই অংশ গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের মস্তিষ্কের কোষকে বলা হয় নিউরন।নিউরনের কোষদেহের পাশাপাশি থাকে প্রসেস।প্রসেস আবার দুই ধরনের-*এক্সন*ডেনড্রাইট মস্তিষ্কে এই নিউরনগুলো একটি আরেকটির সাথে যুক্ত থাকে।তাদের সংযুক্তির স্থানকে বলা হয় সিন্যাপস।সিন্যাপসে থাকতে পারে-*এক্সনের সাথে এক্সন*এক্সনের সাথে ডেনড্রাইটএছাড়াও বিভিন্ন বিন্যাসে এরা থাকতে পারে। সিন্যাপস আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।যেমন-*আমাদের উদ্দীপনা কোনদিক থেকে কোনদিকে যাবে তা নির্ধারণ করে সিন্যাপস।*সিন্যাপসের রয়েছে সিলেকটিভ একশন*সিন্যাপস মেমোরি সংরক্ষণ করে*সিন্যাপস সিগনালকে বর্ধিত করে সিন্যাপস হচ্ছে নিউরনসমূহের সংযুক্তিস্থান।তাই আমাদের স্মৃতিরক্ষা ও সাড়াদানের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমরা বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করি।সেই খাদ্যের অবস্থা হলো জটিল।কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজন হয় খাদ্যের সরল রূপ।তাই আমাদের গ্রহণ করা জটিল খাদ্য পরিপাক হয়ে সরল রূপ নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের শরীরে খাদ্যের যে পরিপাক ঘটে সেখানে অনেকগুলো হরমোন অংশগ্রহণ করে।যেমন-*গ্যাস্ট্রিন*সিক্রেটিন*কোলেসিস্টোকাইনিন*সোমাটোস্ট্যাটিন*এন্টেরোকাইনিন*পেপটাইড*এন্টেরোগ্যাস্ট্রোন*এন্টেরোক্রাইনিন*ডিওক্রাইনিন*প্যানক্রিয়েটিক পলিপেপটাইড*ভিল্লিকাইনিন এই বিভিন্ন হরমোন পুরো পরিপাক পথের বিভিন্ন অংশে কাজ করে।এদের ক্রিয়ার ফলে জটিল খাদ্য ভাঙ্গে,নানরকম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং শেষে দেহের গ্রহণ উপযোগী সরল রূপ নেয়।ফলে সেই খাদ্য শরীর ব্যবহার করতে পারে।আমাদের দেহগঠন,ক্ষরণ ও বৃদ্ধিসাধন হয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমরা দুঃখ কষ্টে চোখের জল ফেলি।কিন্তু চোখের সেই জল কোথা থেকে আসছে কোন পথে আসছে সে সম্পর্কে আমরা অবগত নই।তাই আজকে এ সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করব। আমাদের চোখে আছে ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি।এই গ্রন্থি চোখের জল নিঃসরণ করে।সেই জল বিভিন্ন পথে আমাদের চোখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।চোখে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপারেটাস হলো ল্যাক্রিমাল অ্যাপারেটাস বা বস্তু।ল্যাক্রিমাল অ্যাপারেটাসে আছে-*ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি*ল্যাক্রিমাল গ্রন্থির নালী*কনজাংকটিভাল স্যাক*ল্যাক্রিমাল পাঙ্কটা*ল্যাক্রিমাল ক্যানালিকুলি*ল্যাক্রিমাল স্যাক*ন্যাসোল্যাক্রিমাল ডাক্টডাক্ট বলতে নালীকে বোঝায়। ল্যাক্রিমাল গ্লান্ডগুলো সেরাস গ্লান্ড।এই গ্লান্ড তৈরী করে অ্যাকিউয়াস হিউমার।তাকে আমরা চোখের জল বলে জানি। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

স্নায়ুতন্ত্রের একক হলো নিউরন।নিউরনের দুইটি অংশ-*কোষদেহ*প্রলম্বিত অংশকোষদেহের মধ্যে আছে-*কোষপর্দা*নিউক্লিয়াস*সাইটোপ্লাজমপ্রলম্বিত অংশের মধ্যে আছে-*ডেনড্রাইট*এক্সন নার্ভ সেল বডি বহন করে–নিউক্লিয়াস-মাইটোকন্ড্রিয়া-গলগিবস্তু-নিসলবডি-নিউরোফিলামেন্ট-নিউরোফাইব্রিল ~ডেনড্রাইট সিগনালকে সেলবডির দিকে নিয়ে আসে।~এক্সন সিগনালকে কোষদেহ থেকে দূরে নিয়ে যায়।~নিসল বডি প্রোটিন সিনথেসিসের সাথে যুক্ত। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন।থাইরয়েড হরমোনের জন্য দুই ধরনের কোষ থাকে-১.ফলিকুলার কোষ২.প্যারাফলিকুলার কোষপ্যারাফলিকুলার কোষকে আবার “সি কোষ” বলে। প্যারাফলিকুলার কোষ থেকে আসে ক্যালসিটোনিন।আর ফলিকুলার কোষ থেকে আসে-*থাইরক্সিন (টি ফোর)*ট্রাইআয়োডোথাইরোনিন (টি থ্রি)এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।যেমন–টি ফোরে চারটি আয়োডিন থাকে-টি থ্রি তে তিনটি আয়োডিন থাকে -টি ফোর কম শক্তিশালী-টি থ্রি বেশি শক্তিশালী -টি ফোর ধীরে কাজ করে-টি থ্রি দ্রুত কাজ করে -টি ফোরের কাজ দীর্ঘস্থায়ী-টি থ্রির কাজ ক্ষণস্থায়ী -টি ফোরের গ্রাহকের প্রতি আকর্ষণ কম-টি থ্রির বেশি আকর্ষণ -প্লাজমা অর্ধায়ু টি ফোরের ৬.৫ দিন-টি থ্রির ১.৫ দিন ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমরা যে ব্যথা অনুভব করি তা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্দীপনা এবং সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা।কোনো টিস্যুর ড্যামেজের ফলে এটি হয়ে থাকে। ব্যথা বা পেইন দুই ধরনের আছে-১.ফাস্ট পেইন২.স্লো পেইনব্যথার রিসেপ্টর হলো নার্ভের মুক্ত শেষ প্রান্ত।ত্বকে এগুলো থাকে।ব্যথার উদ্দীপনা দুই ধরনের তন্তু দিয়ে বাহিত হয়।-ফাস্ট পেইনের জন্য আছে এ ডেল্টা তন্তু-স্লো পেইনের জন্য আছে সি তন্তু ফাস্ট পেইনের স্টিমুলি হলো-ক. মেকানিকালখ. থারমালস্লো পেইনের স্টিমুলি হলো-ক. মেকানিকালখ. থারমালগ. কেমিকাল ফাস্ট পেইনের ধরন-*শার্প পেইন*একিউট পেইন*প্রিকিং পেইন*ইলেক্ট্রিক পেইন স্লো পেইনের ধরন-*বার্নিং পেইন*এচিং পেইন*থ্রোবিং পেইন*নশাস পেইন*ক্রোনিক পেইন ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

শরীরের বিভিন্ন পেশি লিগামেন্ট টেনডন যেখানে একসাথে লাগানো থাকে তাকে জয়েন্ট বলে।জয়েন্ট মূলত দুই ধরনের-১.সিনারথ্রোসিস২.ডায়ারথ্রোসিসআবার অন্যভাবে জয়েন্ট দুই প্রকার-১.ফাইব্রাস২.কার্টিলেজিনাস ফাইব্রাস জয়েন্ট তিন ধরনের-ক. সুচারখ. সিনডেসমোসিসগ. গমফোসিস সুচার আবার ৬ ধরনের-*সেরেট*ডেনটিকুলার*স্কোয়ামাস*লিম্বাস*প্লেইন*ওয়েজ এবং গ্রুভ -ভোমার এবং স্ফেনয়েড বোনের মাঝে থাকে সিনডেসমোসিস জয়েন্ট-দাঁত এবং এর সকেটের মাঝে থাকে গমফোসিস জয়েন্ট কার্টিলেজিনাস জয়েন্ট দুই প্রকার-*প্রাইমারি*সেকেন্ডারি ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

বিভিন্ন ঘটনায় শারীরিক আঘাতের ফলে আমরা ব্যথাপ্রাপ্ত হই।সেই ব্যথা উপশমের কিছু সিস্টেম আমাদের শরীরে মধ্যেই দেয়া আছে।সেই সিস্টেমটি হলো এনালজেসিয়া সিস্টেম।এটি দুই ধরনের-১.ডিসেন্ডিং পেইন ইনজিবিটরি সিস্টেম২.গেট কন্ট্রোল সিস্টেম ডিসেন্ডিং পেইন ইনহিবিটরি সিস্টেম এর মধ্যে তিনটি কম্পোনেন্ট আছে।যেমন-*পেরিএকুইডাক্টাল গ্রে এরিয়া*‌র‌্যাফে ম্যাগনাস নিউক্লিয়াস*পেইন ইনহিবিটরি কমপ্লেক্স ব্যথা কমানোর জন্য অনেকগুলো সাবস্টেন্স থাকে।যেমন-*বিটা এন্ডরফিন*মেটেনকেফালিন*লিউয়েনকেফালিন*ডাইনরফিন এই উপাদান ও সিস্টেম সক্রিয় হলে আমাদের ব্যথা সৃষ্টি হওয়া ব্লক হয়ে যায়।ফলে আমরা ব্যথা অনুভব করা থেকে মুক্তি পাই। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

উর্ধ্বগামী ও নিম্নগামী- এই দুই ধরনের ট্রাক্ট রয়েছে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে।উর্ধ্বগামী ট্রাক্টগুলো সংবেদী ধরনের।এরা বিভিন্ন উত্তেজনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। উর্ধ্বগামী ট্রাক্টগুলো দুই প্রকার-১.ডর্সাল কলাম মিডিয়াল লেমনিস্কাল২.এন্টেরোল্যাটেরাল এন্টেরোল্যাটেরাল পাথওয়ে দিয়ে বিভিন্ন সংবেদনা যায়।যেমন-*ক্রুড টাচ*চাপের সংবেদন*তাপের সংবেদন-ঠান্ডা-গরম*সুড়সুড়ির সংবেদন*চুলকানির সংবেদন*যৌন সংবেদনা এন্টেরোল্যাটেরাল পাথওয়ে বলতে সামনের এবং পাশের- উভয় পাথওয়েকেই বোঝায়।এই পাথওয়ে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানের নানারকম সংবেদনা মস্তিষ্কে এসে পৌঁছায়।এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ক অনেক অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে এবং তার প্রেক্ষিতে সাড়াদান তথা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More