আমাদের মস্তিষ্কের কোষকে বলা হয় নিউরন।নিউরনের কোষদেহের পাশাপাশি থাকে প্রসেস।প্রসেস আবার দুই ধরনের-*এক্সন*ডেনড্রাইট মস্তিষ্কে এই নিউরনগুলো একটি আরেকটির সাথে যুক্ত থাকে।তাদের সংযুক্তির স্থানকে বলা হয় সিন্যাপস।সিন্যাপসে থাকতে পারে-*এক্সনের সাথে এক্সন*এক্সনের সাথে ডেনড্রাইটএছাড়াও বিভিন্ন বিন্যাসে এরা থাকতে পারে। সিন্যাপস আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।যেমন-*আমাদের উদ্দীপনা কোনদিক থেকে কোনদিকে যাবে তা নির্ধারণ করে সিন্যাপস।*সিন্যাপসের রয়েছে সিলেকটিভ একশন*সিন্যাপস মেমোরি সংরক্ষণ করে*সিন্যাপস সিগনালকে বর্ধিত করে সিন্যাপস হচ্ছে নিউরনসমূহের সংযুক্তিস্থান।তাই আমাদের স্মৃতিরক্ষা ও সাড়াদানের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
Author: Dipa Sikder Jyoti
আমরা বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করি।সেই খাদ্যের অবস্থা হলো জটিল।কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজন হয় খাদ্যের সরল রূপ।তাই আমাদের গ্রহণ করা জটিল খাদ্য পরিপাক হয়ে সরল রূপ নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের শরীরে খাদ্যের যে পরিপাক ঘটে সেখানে অনেকগুলো হরমোন অংশগ্রহণ করে।যেমন-*গ্যাস্ট্রিন*সিক্রেটিন*কোলেসিস্টোকাইনিন*সোমাটোস্ট্যাটিন*এন্টেরোকাইনিন*পেপটাইড*এন্টেরোগ্যাস্ট্রোন*এন্টেরোক্রাইনিন*ডিওক্রাইনিন*প্যানক্রিয়েটিক পলিপেপটাইড*ভিল্লিকাইনিন এই বিভিন্ন হরমোন পুরো পরিপাক পথের বিভিন্ন অংশে কাজ করে।এদের ক্রিয়ার ফলে জটিল খাদ্য ভাঙ্গে,নানরকম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং শেষে দেহের গ্রহণ উপযোগী সরল রূপ নেয়।ফলে সেই খাদ্য শরীর ব্যবহার করতে পারে।আমাদের দেহগঠন,ক্ষরণ ও বৃদ্ধিসাধন হয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমরা দুঃখ কষ্টে চোখের জল ফেলি।কিন্তু চোখের সেই জল কোথা থেকে আসছে কোন পথে আসছে সে সম্পর্কে আমরা অবগত নই।তাই আজকে এ সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করব। আমাদের চোখে আছে ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি।এই গ্রন্থি চোখের জল নিঃসরণ করে।সেই জল বিভিন্ন পথে আমাদের চোখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।চোখে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপারেটাস হলো ল্যাক্রিমাল অ্যাপারেটাস বা বস্তু।ল্যাক্রিমাল অ্যাপারেটাসে আছে-*ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি*ল্যাক্রিমাল গ্রন্থির নালী*কনজাংকটিভাল স্যাক*ল্যাক্রিমাল পাঙ্কটা*ল্যাক্রিমাল ক্যানালিকুলি*ল্যাক্রিমাল স্যাক*ন্যাসোল্যাক্রিমাল ডাক্টডাক্ট বলতে নালীকে বোঝায়। ল্যাক্রিমাল গ্লান্ডগুলো সেরাস গ্লান্ড।এই গ্লান্ড তৈরী করে অ্যাকিউয়াস হিউমার।তাকে আমরা চোখের জল বলে জানি। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
স্নায়ুতন্ত্রের একক হলো নিউরন।নিউরনের দুইটি অংশ-*কোষদেহ*প্রলম্বিত অংশকোষদেহের মধ্যে আছে-*কোষপর্দা*নিউক্লিয়াস*সাইটোপ্লাজমপ্রলম্বিত অংশের মধ্যে আছে-*ডেনড্রাইট*এক্সন নার্ভ সেল বডি বহন করে–নিউক্লিয়াস-মাইটোকন্ড্রিয়া-গলগিবস্তু-নিসলবডি-নিউরোফিলামেন্ট-নিউরোফাইব্রিল ~ডেনড্রাইট সিগনালকে সেলবডির দিকে নিয়ে আসে।~এক্সন সিগনালকে কোষদেহ থেকে দূরে নিয়ে যায়।~নিসল বডি প্রোটিন সিনথেসিসের সাথে যুক্ত। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন।থাইরয়েড হরমোনের জন্য দুই ধরনের কোষ থাকে-১.ফলিকুলার কোষ২.প্যারাফলিকুলার কোষপ্যারাফলিকুলার কোষকে আবার “সি কোষ” বলে। প্যারাফলিকুলার কোষ থেকে আসে ক্যালসিটোনিন।আর ফলিকুলার কোষ থেকে আসে-*থাইরক্সিন (টি ফোর)*ট্রাইআয়োডোথাইরোনিন (টি থ্রি)এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।যেমন–টি ফোরে চারটি আয়োডিন থাকে-টি থ্রি তে তিনটি আয়োডিন থাকে -টি ফোর কম শক্তিশালী-টি থ্রি বেশি শক্তিশালী -টি ফোর ধীরে কাজ করে-টি থ্রি দ্রুত কাজ করে -টি ফোরের কাজ দীর্ঘস্থায়ী-টি থ্রির কাজ ক্ষণস্থায়ী -টি ফোরের গ্রাহকের প্রতি আকর্ষণ কম-টি থ্রির বেশি আকর্ষণ -প্লাজমা অর্ধায়ু টি ফোরের ৬.৫ দিন-টি থ্রির ১.৫ দিন ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমরা যে ব্যথা অনুভব করি তা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্দীপনা এবং সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা।কোনো টিস্যুর ড্যামেজের ফলে এটি হয়ে থাকে। ব্যথা বা পেইন দুই ধরনের আছে-১.ফাস্ট পেইন২.স্লো পেইনব্যথার রিসেপ্টর হলো নার্ভের মুক্ত শেষ প্রান্ত।ত্বকে এগুলো থাকে।ব্যথার উদ্দীপনা দুই ধরনের তন্তু দিয়ে বাহিত হয়।-ফাস্ট পেইনের জন্য আছে এ ডেল্টা তন্তু-স্লো পেইনের জন্য আছে সি তন্তু ফাস্ট পেইনের স্টিমুলি হলো-ক. মেকানিকালখ. থারমালস্লো পেইনের স্টিমুলি হলো-ক. মেকানিকালখ. থারমালগ. কেমিকাল ফাস্ট পেইনের ধরন-*শার্প পেইন*একিউট পেইন*প্রিকিং পেইন*ইলেক্ট্রিক পেইন স্লো পেইনের ধরন-*বার্নিং পেইন*এচিং পেইন*থ্রোবিং পেইন*নশাস পেইন*ক্রোনিক পেইন ©দীপা সিকদার জ্যোতি
শরীরের বিভিন্ন পেশি লিগামেন্ট টেনডন যেখানে একসাথে লাগানো থাকে তাকে জয়েন্ট বলে।জয়েন্ট মূলত দুই ধরনের-১.সিনারথ্রোসিস২.ডায়ারথ্রোসিসআবার অন্যভাবে জয়েন্ট দুই প্রকার-১.ফাইব্রাস২.কার্টিলেজিনাস ফাইব্রাস জয়েন্ট তিন ধরনের-ক. সুচারখ. সিনডেসমোসিসগ. গমফোসিস সুচার আবার ৬ ধরনের-*সেরেট*ডেনটিকুলার*স্কোয়ামাস*লিম্বাস*প্লেইন*ওয়েজ এবং গ্রুভ -ভোমার এবং স্ফেনয়েড বোনের মাঝে থাকে সিনডেসমোসিস জয়েন্ট-দাঁত এবং এর সকেটের মাঝে থাকে গমফোসিস জয়েন্ট কার্টিলেজিনাস জয়েন্ট দুই প্রকার-*প্রাইমারি*সেকেন্ডারি ©দীপা সিকদার জ্যোতি
বিভিন্ন ঘটনায় শারীরিক আঘাতের ফলে আমরা ব্যথাপ্রাপ্ত হই।সেই ব্যথা উপশমের কিছু সিস্টেম আমাদের শরীরে মধ্যেই দেয়া আছে।সেই সিস্টেমটি হলো এনালজেসিয়া সিস্টেম।এটি দুই ধরনের-১.ডিসেন্ডিং পেইন ইনজিবিটরি সিস্টেম২.গেট কন্ট্রোল সিস্টেম ডিসেন্ডিং পেইন ইনহিবিটরি সিস্টেম এর মধ্যে তিনটি কম্পোনেন্ট আছে।যেমন-*পেরিএকুইডাক্টাল গ্রে এরিয়া*র্যাফে ম্যাগনাস নিউক্লিয়াস*পেইন ইনহিবিটরি কমপ্লেক্স ব্যথা কমানোর জন্য অনেকগুলো সাবস্টেন্স থাকে।যেমন-*বিটা এন্ডরফিন*মেটেনকেফালিন*লিউয়েনকেফালিন*ডাইনরফিন এই উপাদান ও সিস্টেম সক্রিয় হলে আমাদের ব্যথা সৃষ্টি হওয়া ব্লক হয়ে যায়।ফলে আমরা ব্যথা অনুভব করা থেকে মুক্তি পাই। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
উর্ধ্বগামী ও নিম্নগামী- এই দুই ধরনের ট্রাক্ট রয়েছে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে।উর্ধ্বগামী ট্রাক্টগুলো সংবেদী ধরনের।এরা বিভিন্ন উত্তেজনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। উর্ধ্বগামী ট্রাক্টগুলো দুই প্রকার-১.ডর্সাল কলাম মিডিয়াল লেমনিস্কাল২.এন্টেরোল্যাটেরাল এন্টেরোল্যাটেরাল পাথওয়ে দিয়ে বিভিন্ন সংবেদনা যায়।যেমন-*ক্রুড টাচ*চাপের সংবেদন*তাপের সংবেদন-ঠান্ডা-গরম*সুড়সুড়ির সংবেদন*চুলকানির সংবেদন*যৌন সংবেদনা এন্টেরোল্যাটেরাল পাথওয়ে বলতে সামনের এবং পাশের- উভয় পাথওয়েকেই বোঝায়।এই পাথওয়ে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানের নানারকম সংবেদনা মস্তিষ্কে এসে পৌঁছায়।এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ক অনেক অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে এবং তার প্রেক্ষিতে সাড়াদান তথা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
টিস্যু চার ধরনের হয়ে থাকে।তার মধ্যে একটি হলো পেশি টিস্যু।এই পেশি টিস্যু সম্পর্কে আজ আমরা জানব। পেশি টিস্যুতে থাকে অনেকগুলো ডিফারেনশিয়েটেড কোষ।এরা প্রোটিন বহন করে।অবস্থান অনুসারে পেশি টিস্যু তিন ধরনের-১.স্কেলিটাল২.স্মুথ৩.কার্ডিয়াককার্ডিয়াক পেশি আবার দুই ধরনের–সাধারণ-বিশেষ এনাটমিকাল শ্রেণিবিন্যাসে পেশি দুই ধরনের-১.স্ট্রিয়েটেড২.নন স্ট্রিয়েটেডস্ট্রিয়েটেড এর মধ্যে আছে স্কেলিটাল এবং কার্ডিয়াক।আর নন স্ট্রিয়েটেড এর মধ্যে আছে স্মুথ মাসল। যদি কাজের দিক থেকে দেখি সেক্ষেত্রে পেশি টিস্যু দুই ধরনের-১.ঐচ্ছিক২.অনৈচ্ছিকঐচ্ছিকের ভেতর আছে স্কেলিটাল মাসল আর অনৈচ্ছিক এর ভেতর আছে স্মুথ মাসল এবং কার্ডিয়াক মাসল। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি অংশ হলো ডিওডেনাম।এর চারটি অংশ আছে।১.প্রথম অংশ২.দ্বিতীয় অংশ৩.তৃতীয় অংশ৪.চতুর্থ অংশ-প্রথম অংশের দৈর্ঘ্য ৫ সে.মি-দ্বিতীয় অংশের দৈর্ঘ্য ৮-১০ সে.মি-তৃতীয় অংশের দৈর্ঘ্য ১০ সে.মি-চতুর্থ অংশের দৈর্ঘ্য ২.৫ সে.মি এর প্রথম অংশের কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।যেমন-*এটি ডিওডেনামের সবচেয়ে নড়নক্ষম অংশ*এন্ড আর্টারি দিয়ে সংবহন পায়*পেপটিক আলসার দিয়ে আক্রান্ত হয়*সারকুলার মিউকাস ফোল্ড থাকেনা ডিওডেনামে চারটি কোট থাকে-*সেরাস*মাসকুলার*সাবমিউকাস*মিউকাস আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য পাকস্থলীর পর ডিওডেনামে আসে।খাদ্য পরিপাকে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের হৃদপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে।তার মধ্যে একটি হলো ডান অলিন্দ।এর আবার স্মুথ এবং রাফ পার্ট থাকে।স্মুথ পার্টকে বলে সাইনাস ভেনোরাম আর রাফ পার্টকে বলে এট্রিয়াম প্রোপার। সাইনাস ভেনোরামে দেখা যায়-*সুপিরিয়র ভ্যানাকাভার ওপেনিং*ইনফিরিয়র ভ্যানাক্যাভার ওপেনিং*করোনারি সাইনাসের ওপেনিং*ফোনামিনা ভেনোরাম*ইন্টারভেনাস টিউবার্কল এট্রিয়াম প্রোপারে থাকে-*ক্রিস্টা টার্মিনালিস*পেকটিনেট মাসল*ইন্টারএট্রিয়াল সেপ্টাম ইন্টারএট্রিয়াল সেপ্টামে আবার থাকে–ফোসা ওভালিস-লিমবাস ফোসা ওভালিস-ট্রাইএঙ্গেল অফ কচ-টোরাস এওর্টিকাস আমাদের পুরো শরীর থেকে দূষিত রক্তগুলো আসে এই ডান অলিন্দে।এগুলো আসে দুইটি মহাশিরা দিয়ে–সুপিরিয়র-ইনফেরিয়র তারপর রক্তগুলো ডান নিলয় হয়ে ফুসফুসে যায় বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য। ©দীপা সিকদার জ্যোতি