Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

আমার নাম মাহাজাবিন শরমিন প্রিয়া। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। ইসলাম, প্রযুক্তি এবং গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিতে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে আমি পাঠকদের জন্য অর্থবহ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করি। মাহাজাবিনের লেখা বিষয়বস্তু তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়।

কেনো মিছে মায়ার হাতছানিতেপিছু ফিরে চাই,কেন অসময়ের আয়োজনেকথার সংজ্ঞা হারাই? কেন মিথ্যের সাতকাহনেঅযাচিত শব্দের ভীড়েতোমার লেখা শব্দরাগুমরে কেঁদে ওঠে?কেন সাদা ক্যানভাসে রঙ্গিন তুলিশুধু তোমারই স্বপ্ন আঁকে? কেন হাওয়ারা তোমায় ছুঁয়ে এসেআমার দুয়ারে কড়া নাড়ে?কেন পথের ধারের বটগাছটাআমার পথ রোধ করে,তোমার কথা জিজ্ঞেস করে? কেন তোমার দেয়া বকুলমালাআর ছড়ায় না সুগন্ধ?কেন তোমার ওপারে যাবার পথেএত বাধা, আর এত কিসের দ্বন্দ্ব? কলমে-মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

Read More

গুনে গুনে ঊনিশটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি।একটিরও উত্তর আসেনি,হতে পারে তুমি কিছু চিঠিখুলেও দেখোনি। বৃদ্ধা-তর্জনী-মধ্যমা আঙ্গুল তিনটিহরতাল ডেকে বসেছে,তোমাকে চিঠি না লেখার হরতাল। চিঠি লেখার জন্য যে শুভ্রকাগজগুলো ব্যবহার করতাম,তারাও আজ রেগে রক্তিমবর্ণ ধারণ করে আছে। বেশ কয়েকটা কলম বদলিয়েছি,ওরা সবাই তোমাকে নিয়েঅভিযোগ করে বলে।আজ যে নতুন কলামটিনিলাম,সেও দেখি তীরবিদ্ধআহত সিংহের ক্ষোভ বুকেনিয়ে ফুঁসে উঠে অতিরিক্তকালি মাখিয়ে দিলতোমাকে নিয়ে লেখাকিছু অনুভূতির গায়ে। এত বাধা সত্ত্বেও আমি চিঠি লিখি।তুমি পড়বে না জেনেওকোনো এক উদাস বিকেলেপ্রজাপতির রঙ্গিন ডানা থেকেকয়েক প্রকার রং ধার নিয়েতোমাকে ছ’খানি চিঠি লিখেঠিকানাবিহীন খামে উড়িয়ে দিয়েছিশখের বশে। আমার শাড়ির মতোঅক্ষরের পাড়-বোনাবারো হাত লম্বা একখানাচিঠি আমার নরম হাতেরপরশে বেশ যত্ন নিয়েভাঁজ…

Read More

রাতের কোলে যখননির্জনতা ভর করে,তোর চোখে কি ঘুম আসেনরম বিছানায় শুয়ে? স্মৃতিরা ভর করেনা?অপরাধবোধ জাগ্রত হয় না?মনুষ্যত্ব আর বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে,অনুশোচনা হয় না চাপা আর্তনাদে? আচ্ছা,তোর কি মনে পড়ে?সেই চাবিটার কথা?কোন চাবিটা?মনে করতে পারছিস না?থাক!আর কষ্ট করে মনে করতে হবে না। সমুদ্রের অথৈ জলে নিঃস্ব হয়ে পড়ে থাকাঐ চাবিটাও না আজকাল ঘুমায় না।অভিশাপ জপে তোর নামে,বিশ্বাস ভাঙ্গার অভিশাপ।ভুলে যাস না,তুই শুধু একটা মন ভাঙ্গিস নি!মনকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকা সমস্ত ভাললাগার অনুভূতি গুলোকেতুই জীবন্ত কবর দিয়েছিস আরহতাশা-বিষণ্নতা-উদাসীনতার শিকলে বেঁধে মানুষটাকে করে রেখেছিস জীবন্ত লাশ!তোকে ঠিক কি বলা উচিত?এটা তুই ই বলে দে। পাপী? খুনি? নাকি তার থেকেওবিশাল রকমের অপরাধী?আমি বিলীন…

Read More

আজ অনেকদিন বাদেআমি হাঁটতে বেড়িয়েছি!নগ্ন দু’পায়ে আমিশিশির ভেজা ঘাস ছুঁয়েছি। আজ অনেকদিন বাদেআমি আকাশ দেখতে বেড়িয়েছি!নীলিমার নীল অন্তরীক্ষে আমিসাতরঙা মেঘের ছুটে চলা দেখেছি। আজ অনেকদিন বাদেআমি শিউলী তলায় গিয়েছি!ঝড়ে পড়া অজস্র শিউলী ফুলেরসৌন্দর্যে আমি বিমোহিত হয়েছি। আজ অনেকদিন বাদেআমি তালাবদ্ধ শাড়ির আলমারি খুলেছি!হালকা নীল জামদানি শাড়ি পড়েআয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখেছি। আজ অনেকদিন বাদেআমি হালকা কাজলে চোখ আরটকটকে লাল রঙ্গে ঠোঁট রাঙ্গিয়েছি। আজ অনেকদিন বাদেআমি বৃষ্টিতে ভিজেছি!বৃষ্টির প্রতি ফোঁটা আচমকা স্পর্শেআমি ভিতর থেকে স্পন্দিত হয়েছি। আজ অনেকদিন বাদেআমি রাতের কোলে শুয়েছি।ঘনকালো অন্ধকারে,ঝিঁঝিঁর কোলাহলেনিশুতি রাতটা যেন খানিকটা থমকে গেছে। আজ অনেকদিন বাদেআমি নষ্ট স্মৃতির রেশ কাটিয়েনিশ্চিন্তে একটু ঘুমিয়েছি।আমাকে আর ডেকো না।স্মৃতিগুলোর অত্যাচারে…

Read More

[১]আয়াত ভাবুক প্রকৃতির মেয়ে। সে ভাবতে ভালোবাসে। ইচ্ছাকৃতভাবে, প্রকৃতির মায়ার জালে সে বারংবার আটকে যায়। খুঁজে বের করে ভাবনার অভিনবত্ব। এতেই যেন তার স্বস্তি। খুঁজে পায় অনাবিল শান্তির খোরাক। প্রকৃতি নিয়ে এত ভাবনাই তাকে ঠাঁই দিয়েছে দ্বীনের শীতল ছায়ায়। মহীয়ান রবের অসীম কৃপায়, সে খুঁজে পেয়েছে সত্যের দিশা। এজন্য, তাকে সইতে হয়েছে অপরিসীম ক্লেশ। তার উপর দিয়ে বইয়ে গেছে হাজারো কুমন্তব্যের ঝড়। চোখে ঝড়েছে নোনাজলের বৃষ্টি। তবুও যক্ষের ধনের মতো সে তার দ্বীন আগলিয়ে রেখে চলছে। একমাত্র আল্লাহর উপর ভরশা করে। .বছর তিনেক আগের কথা। তখনও আয়াত পায়ে হেঁটেই কলেজ যাওয়া-আসা করতো। বাসা থেকে তার কলেজ প্রায় ৪৫ মিনিটের পথ।…

Read More

” রাস্তার ধারের পাগল মহিলাটি আজ আয়েশ করে বিরিয়ানি খাচ্ছে। পাশে মিনারেল ওয়াটারের একটি এক লিটারের নতুন বোতল। বোতলটির মুখ খোলা। বোতলে মধ্যে পানির অবস্থান দেখে মনে হয়, এখন পর্যন্ত এক তৃতীয়াংশ পানি ব্যবহার করা হয়েছে। এতটুকু লক্ষ করেই আয়াত খুব দ্রুত হেঁটে চলছে। যোহরের আজান অনেক আগেই হয়ে গেছে। বাসায় গিয়ে নামাজ পড়ার জন্যই তার এত ব্যস্ততা। সময় দেখার জন্য সে হাতের কব্জি থেকে বোরখাটা সাবধানে একটু সরিয়ে নিল। কালো হাত মোজার উপর কালো চেইনের একটি সুন্দর হাতঘড়ি শোভা পাচ্ছে। আয়াত তাতে চোখ বুলালো। ঘন্টার কাঁটা ২এর ঘরে আর মিনিটের কাঁটা ৩ এর ঘরে। এর মানে হলো, দুপুর দুইটা…

Read More

আমি কখনও সাদা রঙ ভালোবাসিনি,ভালোবাসিনি কোনো সাদা ফুলও।অথচ সুগন্ধি ফুল হিসেবেসাদা ফুলগুলোর কদর সবচে’ বেশি। বুঝতে শেখার পর থেকেইআমি আর সাদা জামা গায়ে লাগাইনি,পড়েনি সাদা ওড়নাও।অথচ ছোটবেলায় সাদা কাপড়েআমাকে নাকি বেশ মানাতো!মা বলতেন। সাদা রঙ আমার পছন্দের না, কিন্তুতোমার ভীষণ পছন্দের ছিল।আমাকে খুশি করতে তুমি কখনওআর সাদা পাঞ্জাবি পড়োনি,পড়োনি সাদা সার্ট। ভালবাসতে না খুব, আমাকে?অন্যরকম ভালোবাসা।এরম খাঁটি ভালোবাসা আজকালআর পাওয়াই যায় না, জানো তো? অথচ আমি পেয়েছিলাম।আমি খুব ভাগ্য করে তোমাকেএবং তোমার অফুরান খাদহীনভালোবাসা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ধরে রাখতে পারিনি,হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে।তুমি আমার সবচে’ অপছন্দেররঙ গায়ে চাপিয়ে চলে গেছ।আমাকেও পড়িয়েছো বিধবার থান।কেন এমন হলো প্রিয়ম? এই ভয়েই তো আমিসাদা রঙকে…

Read More

পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি – “মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।” يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে, يَغْسِلُونَني আমাকে গোসল করাবে, يَكْفِنُونَنِي (তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে, يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে, يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ) আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে, وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে, بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ مِنهُم…

Read More

নয়নজলে ভেজা বালিশেরাত্রি কাটে আমারনিদ্রার আবেশে।তোমার প্রিয়ার ফোনালাপেনিশিযাপন কর তুমিকতই না আহ্লাদে। ফিসফিস আলাপনে কেটে যায়তোমাদের সমগ্র রাত।ঘুমাই না আমি জেগে জেগে ভাবিআমার ভালোবাসায় ছিল না তোসামান্যও কোনো খাদ। নিদ্রা বিসর্জনে তুমি কিনেছোআনন্দঘন দীর্ঘ প্রহর।ভালোবাসা সব তোমায় দিয়ে,রিক্ত আমি আর শূন্য আমার শহর। আমার টেবিলে ছড়িয়ে থাকেঅ্যান্টি-ডিপ্রেশনের বড়ি।তোমার প্রিয়ার টেবিলে থাকেআমারই পছন্দের সেই ঘড়ি। ঝিঁঝিঁর ডাকে ছন্দ মিলিয়েঘুমিয়ে পড়ি নিদ্রালসে,বড্ড ক্লান্ত আমি যে আজডিপ্রেশনের ভার সয়ে। আমার খোপা খালিই থাকে,সামলিয়ে রাখে কাঁটা।তোমার প্রিয়ার খোপা থাকেগোলাপ ফুলে আঁটা। সময় কেটে যায়পাখিরা ফিরে যায় নীড়ে,তুমিই শুধু ফিরলে না আরআমার মনের কুঠিরে। Writer: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Read More

রব তোমারে সৃষ্টি করিয়াছেতাঁর ইবাদতের লাগি,কেন তুমি ভবের মায়ায়আপনারে দাও ফাঁকি? গুনাহর কালি মাখিয়া তুমিবেড়াও মৌজ-মাস্তিতে,একবারও কী মউতের কথাআসে না তোমার স্মরণে? কিসের মায়ায় টানিছে তোমায়ভাবো কী নির্জনে?ওঁত পেতে আছে মৃতদূততোমাকে বেষ্টিয়ে! বেহিসাবি দিন কাটিয়েআছো খুশী মনে;খেয়াল আছে কী?নির্ভুল হিসাব দিতে হবে যেকাল হাশরের ময়দানে! দিনে পাঁচবার মুয়াজ্জিনআকুলিত স্বরে ডাকে,তবুও তোমার হুঁশ হয় নাযাও না আল্লাহর ঘরে। খেল-তামাশার এই দুনিয়ায়আমল ছাড়ো আলসেমিতে,মুঠো ভর্তি হিরে-পান্নাকিছুই যাবে না তোমার সাথে। প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতায়-থেকো না আর মেতে,সময় থাকতে হও হুঁশিয়ারফিরে এসো দ্বীনের পথে। এত ভোগ বিলাসে থেকেও তুমিশান্তি পাও না খুঁজে,জানোই না তো-শান্তি আসে অন্তরে কেবলআল্লাহর জিকিরে। writer: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Read More

কাউকে বলো না, “তুমি বদলে গিয়েছো”আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করো,তার বদলে যাওয়ার পিছনেতোমার কোনো হাত আছে কি-না!যদি সত্যিই তেমন কিছু খুঁজে না পাওতবে তার থেকেই শুনে নাওতার বদলানোর আখ্যান। দয়া করে কারো আত্মমর্যাদায়সামান্যতমও আঘাত করো না,বিশেষ করে দূর্বল চিত্তের মানুষেরাএটা নিতে পারে না।তার ফোঁটায় ফোঁটায় অশ্রুবিন্দুর ভার কিন্তুকোনো একসময় তোমাকেই বইতে হবে,যেটা তোমার সহনীয়তার সীমা ছাড়িয়েআরও অনেকদূর, বহুদূর চলে যাবে।পারবে কী তুমি সেই বোঝা বইতে? কারো ভিতরের আমিত্ব সত্তাকেঅপমান করে টেনে হিচড়েবাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিও না।তার নতুন আমিত্ব তোমার হৃদয়েবিষাক্ত নখের যে চিমটি বসাবে,তুমি তা সইতে পারবে না।তার মাঝে তারই সেই পুরোনোঅস্তিত্বকে তুমি হন্য হয়েখুঁজে ফিরবে কিন্তুতার নাগাল আর পাবে না।…

Read More

কিছু কথা আর কিছু ব্যথাএকান্তই নিজেরের মনের কুঠিরেতালাবন্ধ করে রাখি।সবচেয়ে কাছের মানুষটিকেওযেন বলা হয়ে ওঠে না।নিজের ব্যথা নিজের কাছেযতটা না শোভনীয়,অন্যের কাছেততটাই বিরক্ত উদ্রেককারী। কিন্তু দিনের পর দিন ঐমর্মভেদী ব্যথার ভারনিজের কাছেই যেনঅসহ্যনীয় হয়ে ওঠে,খুঁজে ফিরে বেরিয়ে যাবার পথ। নির্জনে নিভৃতে ব্যথার অনলেভস্ম হয়ে যাওয়া ছাঁই হয়েও যেনমুক্তি নেই। উপরে ভস্ম ছাঁই হলেওভিতরের গনগনে আগুন নিভে না!মহামূল্যবান চোখের নোনা জলেওওদের নেভানো যায় না। তিক্ত কথা মালার জাঁতানেন্যুব্জ হয়েও যখনবাইরের দুনিয়াকে দেখাইভালো থাকার মিছে ভান,আর নিজের ঠোঁটের কোণে যখনফুটিয়ে তুলি মেকি হাসির রেখা;তখন অন্তরাত্মা আমাকে ধিক্কার জানায়,সমালোচনার ঝড় তোলে ওষ্ঠাধরের বিরুদ্ধে।তবুও আমি হাসি,হাসিতেই আমার সকল কষ্ট ঢাকি। Writer: Mahazabin Sharmin Priya

Read More