Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

আমার নাম মাহাজাবিন শরমিন প্রিয়া। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। ইসলাম, প্রযুক্তি এবং গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিতে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে আমি পাঠকদের জন্য অর্থবহ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করি। মাহাজাবিনের লেখা বিষয়বস্তু তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়।

বলুন তো, মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট আর কোন জিনিস দুনিয়াতে বিদ্যমান? ভাবুন! ভাবুন!কীইই? পেলেন না তো?ঠিক আছে। তবে আমিই বলে দিচ্ছি।সেই জিনিসটি হলো “শিলা”। হুম। আপনি ঠিকই দেখেছেন। শিলাই মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট হয়। শিলা কীভাবে মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট হয়? আমরা অনেকেই জানি শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। তবে অনেকেই হয়তো জানি না, পানির মত বায়ুর দ্বারাও শিলাখন্ড ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। শিলা সাধারণ তিনটি উপায় ক্ষয়কার্য সাধন করে থাকে। যেমন- ক্ষয়কার্য, অপসারণ এবং প্রস্তরখন্ডের পরস্পর ঘর্ষণের মাধ্যমে। বায়ু ক্ষয়কার্য সাধন করে বিভিন্ন রকম ভুমীরুক গঠব করে। মরু অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের গতি খুব বেশি থাকে। যান্ত্রিক আবহবিকার মরু অঞ্চলের শিলাখন্ডগুলিকে আগে ভাগেই আলগা এবং বিচ্ছিন্ন করে…

Read More

কোন কোষ কীভাবে মানুষের মধ্যে আত্মসচেতনতা বোধ জাগিয়ে তোলে? আত্মসচেতনতা বোধ এমনই একটি জিমিস, যা মানুষকে কর্মে প্রবৃত্ত করে। কোনো ব্যাপারে কেউ যদি নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে তখন আর তার পক্ষে সেই বিশেষ কাজে উৎসাহী হওয়া ও কর্মে প্রবৃত্ত হওয়া সম্ভব নয়। মানুষের মধ্যে আত্মসচেতনতা বোধ সঞ্চার করার উৎস তার মগজের একটি বিশেষ অংশ। এর নাম বেসাল গ্যাংলিয়া। এটি একটি স্নায়ুকোষের সমষ্টি। এটি সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকলে আমরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যাবতীয় কাজ করতে পারি। মানুষের শরীরের সর্বত্র এই স্নায়ু জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। আমরা হাঁটতে যে পা দুটোকে ব্যবহার করি অর্থাৎ আমাদের পা দুটো আমাদের দেহের ভার বহন করে…

Read More

বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান? আসসালামু আলাইকুম। আমি ইউরোপিয়ান একটা দেশে ব্যাচলর করছি। প্রায় ৩ বছর হতে যাচ্ছে এখানে থাকছি। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই যারা অমুসলিম দেশে সেটেল হতে চাচ্ছেন তারা আরো একবার ভালো করে ভেবে দেখবেন। আর যারা অলরেডি ওয়েস্টার্নে আছেন তারা বাচ্চাদের প্রতি সচেতন হোন।ব্যচেলর লেভেলে অনেক ক্লাসমেট থাকে, অনেকের সাথে মেশার সুযোগ হয়, আর আমি ইরেসমাসের বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতে গিয়ে ইউরোপিয়ান বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে, তাই আমার অভিজ্ঞতা আর Phd/Masters(Research base) এর অভিজ্ঞতা এক হবে না। কারন Phd লেভেলে কারো অনেক ক্লাসমেট থাকে না। ১. যারা ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতে সেটেল…

Read More

আপনি কি জানেন, শিশুদের মানসিক আবেগ থাকে না কেন? শিশুদের মানসিক আবেগ নিয়ে অনেকেই হয়তো জানেন না কিংবা খুব গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করেন না।ন্যাচারালি হয়তো আমরা মনে করি, শিশুরা মানসিকভাবে আবেগী হয় না। কিন্তু কেন? এর কারণ কী? আমরা কিন্তু তার খোঁজার চেষ্টা করি না।যাহোক, আসুন আজকে শিশুদের মানসিক আবেগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা যাক। মানসিক আবেগকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইমোশন্স’। মানসিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী মানসিক উদ্দীপনা বা চিন্তার প্রতিক্রিয়া মনের ওপর এক বিশেষ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে, তা মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপর ক্রিয়া করে থাকে, এটিই আবেগ বা ইমোশন্স নামে পরিচিত। সদ্যোজাত…

Read More

সাইরাস ওয়েস্ট ফিল্ড -এর পরিচয় কী? আতলান্তিক মহাসাগর পেরিয়ে টেলিগ্রাফ বার্তা পাঠানোর কাজে সাইরাস ওয়েস্ট ফিল্ড এর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি যখন প্রথমার্ধে সার্কেন্টাই ফার্ম খুলে অর্থোপার্জনে ব্রতী হয়েছিলেন। তাঁর বয়স যখন ৩২ পেরিয়ে ৩৩ শে পড়েছিলেন তখনই ব্যাংক ব্যালেন্স পাঁচ লাখ ডলারেরও বেশি দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তিনি পড়লেন মহা দুর্ভাবনায়। এমন অগাধ অর্থ দিয়ে কি করা যায়। ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে হাত পা গুটিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকা সাইরাস ওয়েস্ট ফিল্ড এর নীতি বিরুদ্ধ। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে এক ইন্জিনিয়ার ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হলো। তিনি নিউফাউন্ডল্যান্ডে ক্যাবল তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ব্যস! সাইবার ওয়েস্ট ফিল্ড এর মাথায় পোকা ঢুকলো। আতলান্তিকের তলদেশ দিয়ে বরাবর…

Read More

জামাতের সাথে নামাজ আদায়ের ফজিলত ও জামাতের বিধান সমন্ধে জানুন। জামাতের সাথে নামাজ আদায়ের ফজিলতঃ আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, “তোমরা রুকু কারীদের সাথে রুকু করো।”রাসূল (صَلَّي الّلٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم) বলেন, ” একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ পড়ার সওয়াব সাতাইশ গুণ বেশি।” নবী করিম(صَلَّي الّلٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم) সারা জীবন নিয়মিত জামাতে সাথে সালাত আদায় করেছেন। এমনকি অসুস্থ অবস্থায়ও কদাচিৎ ব্যতীত কখনো তিনি জামাত তরক করেননি। অনুরূপভাবে সাহাবাগণও জামাতের প্রতি যত্নবান ছিলেব। মা’যুর ও প্রকাশ্য মুনাফিক ব্যতীত অন্য কেউ জামাত তরক করতেন না। যেমন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رَضِيَ الّلٰهُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, ” আমি লক্ষ্য করেছি,…

Read More

জীব থেকে জীবের উদ্ভব কে আবিষ্কার করেন? জীব থেকে জীবের উদ্ভব সত্যটির আবিষ্কর্তা হলেন ‘লুই পাস্তুর’। একে ইংরেজিতে ‘বায়োজেনেসিস’ বলা হয়। ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সের এক অখ্যাত অবজ্ঞাত গ্রামে পাস্তুর এর জন্ম হয়। বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে তিনি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন। তবে জীবন বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণাই তাঁর গবেষণায় প্রাধান্য পায়। ফ্রেন্সের লিল্লে শহর তাঁর প্রধান কর্মস্থল হয়ে দাঁড়ায়। এখানে তিনি জীবাণু নিয়ে নিরলস গবেষণায় লিপ্ত হন। ১৮৬৫ খ্রীস্টাব্দে ফ্রান্সে গুটি পোকার ভয়ঙ্কর মড়ক দেখা দেয়। গুটি পোকার চাষীদের তো মাথায় বজ্রপাত হবার যোগাড়। ফলে দেশের রেশম শিল্প ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। বিজ্ঞানী পাস্তুুর গুটি পোকার মড়কের কারণ…

Read More

স্বপ্নের বেড়াজাল ছিঁড়ে বাস্তবতা অবলোকন করেছি,নতুন ভুবনের মোহে আর বিন্দুমাত্র আকৃষ্ট হই না।জীবনের ভালো থাকার প্রজাপতিটা সেই কবে উড়াল দিয়েছে।আমি চেয়ে চেয়ে দেখেছি, কিন্তু ধরতে পারিনি।চাইলেই ধরা যেত, কিন্তু তাকে বন্দি রাখতে সায় দেয়নি মন। স্বাধীনতার পরম সুখ উৎযাপনে ব্যস্ত প্রজাপতিটা ভুলে গেছে আমায়।মিছে আশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকি তার,সে আসে না, আসবে না আর কখনো।আমি যে তার প্রচন্ড ভালোবাসতে গিয়ে ব্যথা দিয়ে ফেলেছি।শক্ত করে আগলে রাখতে গিয়ে নষ্ট করেছি তার রঙ্গিন পাখার রঙ।তবুও রাগেনি সে, অভিমানে ঘুরিয়ে রাখেনি মুখ।তবে সূক্ষ্ম করে বুঝিয়ে দিয়েছে, তোমার ভালোবাসা আমার চাই না। মুক্তি দাও আমায়।তাইতো আকাশের নীল খামে সমস্ত কষ্ট জমা রেখে তাকে আমি…

Read More

কোন রহস্যের কারণ আবিষ্কার করতে বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ? বিচিত্র এ পৃথিবী। বিশাল এ পৃথিবীর আনাচে কানাচে কত যে রহস্য ছড়িয়ে রয়েছে যাদের গুঢ় রহস্যের কিনারা করতে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা অসহায়ভাবে ব্যর্থতার জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছেন। অনুদঘাটিত রহস্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “বার্মুডা ট্র্যাঙ্গল” এর রহস্য। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি ছোট অংশের তিনটি দিক ফ্লোরিডা, পুয়ের্টো রিকো এবং বার্মূডা দিয়ে ঘেরা। এই জায়গাটিই বার্মুডা ট্রাঙ্গেল নামে পরিচিত। বাংলার এর নামকরণ করা হয়েছে “মৃত্যুর ত্রিভুজ”। আবার কোন কোন অঞ্চলের মানুষ মুখ বিকৃত করে বিতৃষ্ণার সঙ্গে উচ্চারণ করে ‘ আতলান্তিকের কবরখানা ‘। একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা ঘটে চলেছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে ১৯৪৫…

Read More

স্টিম বোট আবিষ্কারের ঘটনাঃ আজ বিজ্ঞানের আশীর্বাদ লব্ধে বিশ শতকে দাঁড়িয়ে আমরা কল্পনাও করতে পারি না, একদিন দুটো ঘোড়ার সাহায্যে জলযান চালানো হত। ঘোড়া জলযান টানে এই দৃশ্য দেখতে মানুষ ভিড় জমাতো না। কারণ পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষের চোখই অভ্যস্ত। কিন্তু ঘোড়ার জলযান টানার কথা শুনলে আমাদের কপালের চামড়ায় ভাঁজ পড়তে বাধ্য। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জলযান টানার কাজে দুটোর বেশি ঘোড়া ব্যবহার করা হত। বিভিন্ন প্রাচীন পত্র-পত্রিকা ও পুঁথি থেকে জানা যায়, সতের শ’ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে কুড়ি বাইশটি ঘোড়া ব্যবহার করে প্রায় দু’শ জন যাত্রী নিয়ে ঘোড়া জলযান টেনে নিয়ে মোটামুটি দ্রুত গতিতে ছুটতে পারত।আবার কোন জলযানে ঘোড়ার…

Read More

নার্ভ গ্যাস যুদ্ধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেন? প্রথম বিশ্বযুদ্ধ প্রাচীন যুদ্ধ ব্যবস্থাকে বাতিল করে যুদ্ধের পদ্ধতির আমুল পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। এ যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রকে প্রথম সরাসরি ব্যবহার করা হয়। ক্ষমতা লোভী, পরদেশ ও পরবিত্ত লোভীদের সাহায্যার্থে তখন এগিয়ে এসেছিলেন বিষশাস্ত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। তাঁরা তাঁদের দীর্ঘ গবেষণার ফসল তুলে দিয়েছিলেন যুদ্ধোন্মাদদের হাতে। আর তারা নির্দ্বিধায় তা প্রয়োগ করলেন শত্রু পক্ষের দেশের ওপর। ফলে এক লক্ষেরও বেশি অসহায় নিরপরাধ মানুষ মারা গিয়েছিল, বিভিন্ন ভাবে পঙ্গুত্ব লাভ করেছিল কম করেও দশ লক্ষ নর-নারী। ২য় বিশ্ব যুদ্ধে যে রাসায়নিক মরণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল তা অর্গানো ফসফরাস যৌগ দিয়ে তৈরি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত এর নাম…

Read More

সংকেত ধ্বনি উৎপাদক যন্ত্র আবিষ্কারের কাহিনী কী? সংকেত ধ্বনি উৎপাদক যন্ত্রকে ইংরেজিতে বলে ‘সাইরেন’। জনসাধারণকে সতর্ক করার যন্ত্র। এর মাধ্যমে উচ্চধ্বনি উৎপাদন করে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এটি শব্দ বিজ্ঞানের অন্তর্গত। শব্দকে উচ্চ খাদে নিয়ে গিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যুদ্ধকালীন বিপদ সঙ্কেত দানের উদ্দেশ্যেই সাইরেন আবিস্কার অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছিল। সঙ্কেত ধ্বনি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে জনগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে।যায়, সে কথা মাথায় রেখেই উদ্ভাবন করা হয় এই যন্ত্রটির। পরবর্তী কালে কলকারখানার শ্রমিকদের সময় জ্ঞাপন এবং সতর্কীকরণের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অবশ্য যুদ্ধ বিগ্রহ তেমন নেই। তাই কল কারখানাতেই এর ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। এক সময় কেবল…

Read More