আপনি কি জানেন, শিশুদের মানসিক আবেগ থাকে না কেন?

আপনি কি জানেন, শিশুদের মানসিক আবেগ থাকে না কেন?

শিশুদের মানসিক আবেগ নিয়ে অনেকেই হয়তো জানেন না কিংবা খুব গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করেন না।
ন্যাচারালি হয়তো আমরা মনে করি, শিশুরা মানসিকভাবে আবেগী হয় না। কিন্তু কেন? এর কারণ কী? আমরা কিন্তু তার খোঁজার চেষ্টা করি না।
যাহোক, আসুন আজকে শিশুদের মানসিক আবেগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা যাক।

মানসিক আবেগকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইমোশন্স’। মানসিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী মানসিক উদ্দীপনা বা চিন্তার প্রতিক্রিয়া মনের ওপর এক বিশেষ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে, তা মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপর ক্রিয়া করে থাকে, এটিই আবেগ বা ইমোশন্স নামে পরিচিত।

সদ্যোজাত শিশুর চিন্তা শক্তি থাকে না।আর চিন্তা শক্তি না থাকলে আবেগ বা ইমোশন সৃষ্টির প্রশ্নই ওঠে না। এমনকি কোনো ভয়ের দৃশ্য দেখলে তারা আঁৎকে ওঠে না, ভয়ে পিছিয়ে যায় না। তাদের সামনে যদি কোনো বিষধর সাপও যদি ফণা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে, তবুও ভীত তো হয়ই না বরং হাত বাড়িয়ে ধরতে চেষ্টা করে। কোনো রকম আবেগ থাকে না বলেই তারা দুই হাত বাড়িয়ে আগুনকে ধরতেও দ্বিধা করে না। শোক ও দুঃখ তাদের মনে আঘাত হানতেও অক্ষম।

কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন জিনিসের ধর্ম ও গুনাগুণ সমন্ধে তার মনে ধারণা জন্মায়; সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সমন্ধে ধারণা হয়, কেবল তখনই তাদের মধ্যে আবেগের সঞ্চার ঘটে।

জীবন বিজ্ঞানীদের মতে, আবেগ উত্তেজনার মুহূর্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। কেউ যদি আকষ্মিক কোনো সংকট জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, তখন তার দেহে স্থিত অ্যাড্রিনালিম নামক হরমোন রক্ত স্রোতে চালিত হয়। ফলে তার হৃৎস্পন্দন অকস্মাৎ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। আর তার ফলেই মাত্রাতিরিক্ত রক্ত মস্তিষ্কে গিয়ে ভিড় করে। তার একই কারণে রক্তে দ্রুত সুগার বা চিনি বৃদ্ধি হয়। তখন তার মাংস পেশির মধ্যে অকস্মাৎ অধিকতর শক্তির সঞ্চার ঘটে। যার ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হবাট শক্তি সামর্থ্য ও মানসিকতা তার মধ্যে ভর করে।

শিশুদের মধ্যে আবেগ সঞ্চারিত হয় না বলেই তাদের রক্তে হঠাৎ সুগার বা চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি, মস্তিষ্কে রক্তের চাপ বৃদ্ধি, রিউমটয়েড আর্থাইটিস, হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি, হিস্টোরিয়া বা স্নায়ু সংক্রান্ত রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে না।

রিপোর্টারঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment