Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

আমার নাম মাহাজাবিন শরমিন প্রিয়া। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। ইসলাম, প্রযুক্তি এবং গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিতে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে আমি পাঠকদের জন্য অর্থবহ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করি। মাহাজাবিনের লেখা বিষয়বস্তু তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়।

অশ্বের ডান দিক থেকে অশ্বারোহণ করে না কেন? এক সময় অশ্বই মানুষের যাতায়াতের সবচেয়ে বড় অবলম্বন ছিল। আরণ্যক সভ্যতার আমল থেকে অর্শের ব্যবহার দেখা যায়। রামায়ণ ও মহাভারতের যুগেও রথ চালনা, অশ্বের পিঠে চেপে মৃগয়ায় যাওয়া, অশ্বমেধ যজ্ঞ প্রভৃতিতে অশ্বের ব্যবহার ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তী কালে এমনকি মধ্যযুগেও অশ্বের বহু ব্যবহার লক্ষিত হয়েছে। মোঘল যুগেও যুদ্ধ ও যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে অশ্বের যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। বর্তমানে যানবাহন ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের ফলে অশ্বের ব্যবহার নেই বললেই চলে। যুদ্ধাস্ত্রের উন্নতির ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে অশ্বের ব্যবহার উঠে গেছে। এক সময় ডাক- ব্যবস্থায়ও প্রচুর সংখ্যক ঘোড়ার ব্যবহার দেখা গেছে। আজ এখানেও ঘোড়া অনুপস্থিত। তবে রেসের…

Read More

বাদুর কেন নিশাচর প্রাণী? আমরা প্রায়ই দেখি, এক ধরনের প্রাণী পা দিয়ে গাছের ডাল আঁকড়ে ধরে মাথা নিচের দিকে দিয়ে সারাদিন নিশ্চল নিথর ভাবে ঝুলে রয়েছে। আর তারা পেঁচা, শিয়াল, বাঘ, হায়েনা প্রভৃতি প্রাণীদের মতো নিশাচর। দিনের চেয়ে রাত্রি অন্ধকারে এরা পেঁচার মতো ভালো দেখতে পায়। ফলে সারা রাত্রি এখানে ওখানে ঘুরে খাদ্যান্বেষণ করতে কোনই অসুবিধা হয় না। ফল এদের একমাত্র খাদ্য। তবে বাদুড়ের যে ব্যাপারটি খুবই কৌতূহলের উদ্রেক করে তা হলো, তারা রাতের অন্ধকারে কি করে দেখতে পায়! তারও আগে জানা দরকার, আমরা কি করে কোন জিনিসকে দেখি। যে জিনিসটা আমরা দেখি তার ওপর আলো পড়লে তা প্রতিফলিত হয়ে…

Read More

সেলুলোয়েড কাকে বলে? সেলুলয়েড এক ধরনের প্লাস্টিক। এদের নাম থার্মোপ্লাস্টিক। সমস্ত প্লাস্টিককেই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, থার্মোপ্লাস্টিক এবং থার্মোসেটিং প্লাস্টিক। তাপের প্রভাবে এদের আবরণের পার্থক্যের জন্যই এই নাম। থার্মোপ্লাস্টিক বস্তুগুলো তাপের প্রভাবে নরম হয়ে যায় এবং ঠান্ডা হলে শক্ত হয়। যদি এই থার্মোপ্লাস্টিক জিনিসকে আবার তাপ দেওয়া যায় তাহলে সেটা আবারও নরম হবে। এই নরম থার্মোপ্লাস্টিক বস্তুকে প্রয়োজন মাফিক আগের আকার অথবা ইচ্ছেমতো বিভিন্ন আকার দেওয়া যেতে পারে। এখানে বস্তুর ভৌত পরিবর্তন ঘটছে, রাসায়নিক পরিবর্তন নয়। প্রকৃতিতে অবশ্যই এই ধরনের আরো অনেক বস্তু আছে যারা প্লাস্টিক নয় কিন্তু এরকম আচরণ করে থাকে। যেমন- মোম। (তাপের প্রভাবে থার্মোসেটিং প্লাস্টিকের আচরণ…

Read More

সেদিন নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই প্রাইভেট শেষ হলো। সরাসরি অটোতে না উঠে কারমাইকেলের ক্যাম্পাসের দিকে হাঁটতে লাগলাম। মাঝেমাঝে এভাবে উদ্দেশ্যহীন হাঁটতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর যদি সামনে পাই সবুজাভ প্রকৃতির ছোঁয়া, তাহলে তো কথাই নেই। সময় দেখতে ব্যাগের চেইন খুলে ফোনটা হাতে নিলাম। সকাল ১০টা বেজে আরো কিছু মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেছে। ভাবলাম কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করব, প্রকৃতির সাথে সময় কাটাবো আর অনুভব করব রবের দেয়া সমূহ নিয়ামাহ। হাঁটতে হাঁটতে থমকে দাঁড়ালাম কিছু ছোটছোট ছেলেমেয়েদের দেখে। ওদের হাতভর্তি শাপলা ফুল। আমি একটু দ্রুত হেঁটে ওদের কাছে এগিয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, -এই তোমরা কোথায় পেলে এতগুলো শাপলা ফুল? : ঐ যে…

Read More

কর্ক কী দিয়ে তৈরি হয়? শিশি বা বোতলের মুখ বন্ধ করার জন্য কর্ক ব্যবহার করা হয়। ওক গাছের ছাল থেকে কর্ক তৈরি করা হয়। পর্তুগাল, স্পেন ও ইউরোপের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে ওক গাছ প্রচুর জন্মায়। তবে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রভৃতি অন্যান্য কয়েকটি দেশেও ওক গাছ জন্মাতে দেখা যায়। ওক গাছ দুই জাতের হয়ে থাকে। যেমন- কর্ক ওক এবং সাধারণ ওক। সাধারণ ওক গাছের ছাল অন্যান্য গাছের চেয়ে মোটা বটে। কিন্তু কর্ক ওকের চেয়ে পাতলা। সাধারণ ওক গাছের কাঠ শক্ত ও ভারী। তা দিয়ে গঠনমূলক কাজ এমনকি আসবাবপত্র পর্যন্ত তৈরি হয়। আর গাছগুলো কর্ক ওক গাছ থেকে অধিকতর লম্বা হয়। কর্ক…

Read More

: প্রিয়া, শুনছেন? – হ্যাঁ শুনছি, বলুন। : এখনকার আকাশ দেখেছেন? – না তো। : একটু কি দেখবেন? আমি আর কোনো কথা বললাম না। ঘড়িতে এখন তিনটা বেজে তিন মিনিট। একটু বিরক্তি নিয়েই বিছানা ছেড়ে ভারী পর্দাগুলো সরিয়ে জানালা খুলে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! নীল আকাশে ধূসর মেঘের আনাগোনা। ঈশান কোণে ইতোমধ্যে কৃষ্ণ বর্ণ মেঘ জমতে শুরু করেছে। চারদিকে কি সুন্দরভাবে আঁধার নেমে আসছে। তারমানে… তারমানে… আমি যেন আর ভাবতে পারছিলাম না। প্রচন্ড উত্তেজনায় আমি যেন বাকরুদ্ধ। আমার বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি নামার আভাস! আমি ভিজবো! আমি বৃষ্টি ছোঁবো! ও আমার মালিক, তুমি আমাকে আরো ভালোবাসো প্লিজ। বিছানায় ফেলে রাখা মোবাইলটা হাতে নিয়ে…

Read More

আপনি কি জানেন, কাঁদলে চোখের পানি পড়ে কেন? কাঁদার সময় আমাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ে। শুধু দুঃখে নয়, অনেক সময় রাগে বা খুব বেশি হাসলেও চোখে পানি এসে যায়। ঠান্ডা লাগলেও চোখে পানি গড়ায়। আবার ঝাঁঝালো জিনিস বা ধোঁয়াও আমাদের চোখের পানি নাকের পানিতে একাকার করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন? দুই চোখের চক্ষু বলয়ের উপরে এবং ভ্রুর নিচে বাদামের মত দেখতে এক ধরণের গ্রন্থি আছে। এর নাম Lacrimal Gland অর্থাৎ অশ্রুগ্রন্থি। দু’চোখেরই ভেতরের কোনার উপরের দিকে এই গ্রন্থি আছে। দেখতে অনেকটা বাদামের মত। লাতিন শব্দ লাক্রিমা (Lacrima) এর মানে অশ্রু বা চোখের পানি। এই…

Read More

: আপনি কেমন যেন! – কেমন? : মেহেদি পাতার মতোন। – মানে? : মেহেদি পাতার দিকে তাকিয়ে দেখবেন, সবুজের মায়াকাড়া সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে সবাইকে অথচ ভেতরে পুষে রাখে রক্তাক্ত ক্ষত। – বুঝলাম। কিন্তু আমাকে ওমন মনে হবার কারণ কী? : কারণ আপনি হলেন প্রজাপতি-মায়াবতী। অথচ আপনার অন্তরের সিংহভাগ বেদনার নীল চাদরে আচ্ছাদিত। – তাই নাকি? : একদম তাই। – বাব্বাহ! এত নিশ্চিত হচ্ছেন কেমন করে? ওয়েট! তার আগে বলুন প্রজাপতি-মায়াবতী কেন বললেন? : প্রথমত, আমি যা বললাম তাতে আমার মন আমাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছে। এজন্য আমিও ওভাবে বলতে পেরেছি। দ্বিতীয়ত, প্রজাপতির মতো চঞ্চল আপনি, তাই প্রজাপতি। আর আপনার চোখে মুখে…

Read More

আমি ভুলগুলোকে ফুলের মালা ভেবে গলায় পরেছিলাম, কল্পনাকে দিয়েছিলাম বাস্তব রূপ। অপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে ফিরে দেখি, তুমি আর আমাতে নেই অন্য কোনো মুক্তোর সন্ধানে দিয়েছো ডুব। আমি কষ্টের সুঁই হাতে ফুঁড়ে সুখকাঁথা বুনেছিলাম, আঁধার মনে জ্বেলেছিলাম আশার আলো। সময়ের পরিক্রমায় বোহিমিয়ান হয়ে ঘুরে এসে দেখি, সাজানো মনের সবকিছুই তচনচ আর ভীষণ অগোছালো। আমি দিনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সায়াহ্নের অপেক্ষায় পথ চেয়েছিলাম, দক্ষিণা হওয়ায় খুলে দিয়েছিলাম দোর। স্মৃতির পাতায় নিবিষ্ট চোখের কপাট খুলে দেখি, রাত্রির বিভীষিকা শেষ না হতেই নেমে এসেছে শান্ত-সৌম্য ভোর। আমি মৌনতায় বসত গড়ে চঞ্চলতাকে বিদায় জানিয়েছিলাম, সুখের আশায় ছেড়েছিলাম স্বীয় ঘর। কণ্টকাকীর্ণ পথে পদযুগল রঞ্জিত করে এসে দেখি,…

Read More

আমি চলে যাচ্ছি! আবেগের ডালা সাজিয়ে আর আসব না তোমায় বরণ করতে। বর্ষার জলে কান্না লুকোবো তবুও দেখতে দিব না নিজের নয়নাশ্রু। রাতের গভীরে নিঃসঙ্গ ডাহুকের মত কাঁদব না শব্দ করে, বিশ্বাস করো। ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চায়ে আর ভাগ বসাবে না কেউ। মুঠোভরা সিক্ত শিউলীতে আর জানাবো ভালোবাসার আহ্বান। মেহেদি পাতার মত লুকাবো হৃদপিণ্ড ছেঁড়া কষ্ট, আকাশ পানে চেয়েও আর খুঁজব না তোমায়। তুমি ভালো থেকো। আমি হারিয়ে যাচ্ছি! চিরচেনা সেই নামে আর ডাকবো না তোমায়, কনসিলারে লুকাবো তোমায় নিয়ে দুশ্চিন্তার উপহার, অবহেলিত ডার্ক সার্কেল দেখে আর ভ্রু কুঁচকাতে হবে না। অকারণে বাজবে না আর তোমার অতি ব্যস্ত মুঠোফোন,…

Read More

রৌদ্রের তাপদাহে অতিষ্ঠ হবার আজ ২৯তম দিন, অর্থাৎ আজ ২৯ শে বৈশাখ। প্রতিদিনকার মতো আজ সকালে জানালা গলে চোখ ধাধানো আলো আসেনি, আসেনি আগুনঝরা সূর্যের উত্তাপ। শান্ত সকালকে অশান্ত করে তুলেছে পাখিদের গুঞ্জরন। আমার কেন যেন খুব ভালো লাগছে। ঘুমহীন চোখের পাতা এক করে শুয়ে আছি। মনোযোগী শ্রোতার মত শুনছি পাখিদের কলকাকলি। কিছু সুপরিচিত পাখির কন্ঠস্বর আমি বে..শ চিনতে পারছি। শিস দিয়ে যাচ্ছে দোয়েল, অনুভব করতে পারছি পুকুরপাড়ে হেলে যাওয়া কাঁঠাল গাছটায় বসে কয়েকজোড়া শালিক অনবরত ঝগড়া করছে, শুনতে পাচ্ছি বাড়ির সামনেই ঘুঘু ডেকে যাচ্ছে করুণ সুরে; তবে ইলেকট্রিকের তারে বসে ডাকছে নাকি মৃত্তিকার বুকে, সেটা ঠাওর করতে পারছি না।…

Read More

আমরা স্বপ্ন দেখি কেন? আমরা সকলেই অল্পবিস্তর স্বপ্ন দেখে থাকি। কিন্তু স্বপ্ন দেখার কারণটা কী? শারীরবিজ্ঞানীরা ঘুমকে দু’টো পর্যায়ে ভাগ করে থাকেন- একটা হলো Rapid Eye Movement বা REM পর্যায়। ঘুমের এই অবস্থায় চোখের তারা দ্রুত নড়াচড়া করে। দ্বিতীয় পর্যায়টির নাম হলো No Rapid Eye Movement- সংক্ষেপে NRE: ঘুমের এই অবস্থায় চোখের তারা থাকে স্থির। এই দু’টো পর্যায়ের REM ঘুমের সময়ই আমরা সাধারণত স্বপ্ন দেখে থাকি। মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেছিলেন- আমাদের চেতন মনের গভীরে আছে একটা অবচেতন মন। আমরা যখন জেগে থাকু তখন আমাদের ভাবনা, চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি থাকে চেতন মনের নিয়ন্ত্রণে। যেই আমরা ঘুমিয়ে…

Read More