কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ! আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহঃ) অনেকগুলো বিষয় উল্লেখ করেছেন যা অবলম্বন করলে আল্লাহর রহমতে যে কোন ব্যক্তি কুপ্রবৃত্তির ছোবল থেকে মুক্তি পাবে। তিনি বলেছেন, ‘যদি প্রশ্ন তোলা হয় যে কুপ্রবৃত্তির মাঝে ডুবে আছে সে কীভাবে তা থেকে মুক্তি পেতে পারে? উত্তরে বলা যায়, আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তায় নিম্নের কাজগুলো তাকে মুক্তি দিতে পারে। কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বাঁচতে ইবনুল কাইয়ুম রহঃ এর বর্ণিত উপায় সমূহ : ১. কুপ্রবৃত্তি বা খেয়াল-খুশীর অনুসরণ না করতে মন থেকে পাকাপোক্ত সংকল্প করা। ২. ধৈর্য-সহিষ্ণুতা অবলম্বন করা। যখন মনের মধ্যে প্রবৃত্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, তখনই ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। ধৈর্য হারানো চলবে না।…
Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া
▫️প্রতিদিনই আমাদের সুযোগ আসে ইমানের লেভেল যাচাই করার। সুযোগ আসে অন্তরের গাফিলতির পরিমাণ মাপার! কিন্তু কিভাবে?? উত্তরটা হচ্ছে নামাজ। নামাজে আপনার অন্তরের খুশু খুযু অবলম্বন করার যোগ্যতাই আপনাকে বলে দেবে আপনার ইমানের হালত। কারণ, বর্ণিত আছে , যে নামাজ বান্দাকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখেনা সে নামাজ তাকে কেবল আল্লাহ থেকে দূরেই নিয়ে যাবে। অর্থাৎ, খুশু খুযুর সালাতই কেবল আপনাকে নামাজের ফযিলত পূর্ণাঙ্গভাবে ভোগ করার সুযোগ করে দিবে। অন্যথায় আমরা নামাজ পড়ব ঠিকই কিন্তু তার প্রভাব আমাদের জীবনে দেখবনা। আল্লাহ কেবল নামাজের সেই অংশই কবুল করবেন যে অংশে বান্দার অন্তর উপস্থিত থাকবে। ▫️তাই যাদের অন্তর নামাজে দিক বেদিক…
রাশিয়ায় ইসলামি বই প্রকাশককে ১৭ বছরের কারাদণ্ড! জনপ্রিয় ইসলামিক প্রকাশনা সংস্থা ‘উম্মা’ এর প্রধান আসলামবেক এজায়েভকে (৬০) ইসলামিক স্টেটে (আইএস) অর্থায়নের মিথ্যা অভিযোগে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। গেলো ৩ ফেব্রুয়ারি মস্কোর একটি আদালত এ রায় দেয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার আইনজীবী মুরাদ মুসায়েভ বলেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগটি শুধুমাত্র এক ছদ্মনামধারী ‘গোপন’ সাক্ষীর দেওয়া সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। অনেক প্রভাবশালী ইসলামী পণ্ডিত, সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব এবং মানবাধিকার কর্মীরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে রাশিয়ার চরমপন্থী উপকরণের ফেডারেল তালিকা কার্যকর হওয়ার পর থেকে, বিভিন্ন সমসাময়িক এবং ইসলামের…
বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি ভর্তুকি দিয়ে চলে। সরকারের শিক্ষা বাজেটের বড় অংশ খরচ হয় এতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিজন শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারের বাৎসরিক গড় খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। ১০ টাকায় চা-চপ-সিঙ্গারা-চমুচা এমনিতেই পাওয়া যায় না। ভর্তুকির কারণেই এসব সম্ভব। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা মেডিকেল, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গড় ব্যয় পরিমাণে আরও অনেক বেশি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি বার্ষিক ব্যয় প্রায় ৪ টাকা। বুয়েটের শিক্ষার্থী প্রতি সরকারের মাথা পিছু ব্যয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প খরচে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষ করতে পারে। যেটা প্রাইভেট কোন ইউনিভার্সিটিতে শেষ করতে গেলে কয়েকগুণ বেশি খরচ লাগে। পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ঘাটতি যেটা…
।।মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে পড়ানোর বিধান।। প্রশ্ন-৩: জালালুদ্দীন মুহাক্কেকে দাওয়ানী রহ. এর মতানুযায়ী মেয়েদেরকে হাতের লেখা শিখা থেকে নিবৃত রাখাটা কতটুকু কল্যাণজনক? জানিয়ে বাধিত করবেন। উত্তরঃ জালালুদ্দীন মুহাক্কিকে দাওয়ানী রহ. এর যুগে বর্তমান যুগের মতো না কোনও স্কুল কলেজ ছিলো আর না ফেতনা ফাসাদের সয়লাব ছিলো। তারপরেও তিনি তার যুগে মেয়েদেরকে হাতের লেখা শিখতে বারণ করেছেন। তাহলে বর্তমানের এই ফেতনা ফাসাদের যুগে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষা থেকে দূরে রাখা কতটা জরুরী হবে! তথাপি তখনো মেয়েদের জন্য লেখা শিখা শিখানো থেকে নিবৃত থাকাটা কল্যাণজনক ছিল। তো বর্তমানের এই ফেতনা ফাসাদের যুগে সেই নিবৃত থাকাটা জরুরী। আর মেয়েদের প্রয়োজনীয় দ্বীনী মাসায়েল শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটি হলো…
মুসলিমা নারী অন্য নারীদের থেকে আলাদা হয়ে তাদের হায়া, গায়রত, সতীত্বের জন্য। কিন্তু আজকাল এই হায়া গায়রত সতীত্ব হারিয়ে গিয়েছে মুসলিমা নারীদের থেকে। বেদ্বীন মুসলিম নারী নিজেদের হায়া, গায়রত, আব্রু বিসর্জন দিয়ে দুনিয়াবি খায়েশাতে বেহায়াপনায় গা ভাসিয়ে দেয়। দুনিয়ার চাকচিক্যের গভীরে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়। নিজেদের জীবনের ছোট থেকে ছোট ঘটনা গুলো হাজার মানুষের সামনে তুলে ধরে শুধু মাত্র সেলেব্রিটি হওয়ায় নেশায়। সেই একি নেশায় নেশাগ্রস্ত হয়েছে দ্বীনদার মুসলিমা। নিজেদের হায়া গায়রত আব্রু সব বিসর্জন দিয়ে নিকাব পরে শুরু হয়েছে ভ্লগিং সুবহানাল্লাহ। দুনিয়াবি সব খায়েশাত তারা শুধু নিকাব লাগিয়েই করে এটাই পার্থক্য। এসব ভ্লগার বোনদের দেখে বিভ্রান্ত হয়, নতুন দ্বীনে ফেরা…
।।নেকসন্তান লাভের দোয়া।। সন্তান না থাকলে, সন্তানের জন্য দু‘আগুলো পড়া। সন্তান থাকলে তাদের ভালাইয়ের জন্য দোয়াগুলো পড়তে পারিঃ- ১) প্রথম দোয়াঃ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তোমার নিকট হতে কোনো পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি দু‘আ শ্রবণকারী। (আলে ইমরান ৩৮) ২) দ্বিতীয় দোয়াঃ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ হে আমার প্রতিপালক! আমাকেও নামায কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার আওলাদের মধ্য হতেও (এমন লোক সৃষ্টি করুন, যারা নামায কায়েম করবে)হে আমার প্রতিপালক! এবং আমার দোয়া কবুল করে নিন। (ইবরাহীম ৪০) ৩) তৃতীয় দোয়াঃ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ…
[একটি কবিতা যার ভেতর লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস। বিংশ শতাব্দীর রোমান্টিসিজমের ইতিহাস। কবিতাটি রচনা করেছিলেন সায়্যিদ কুতুব শহীদ (রহঃ) এর বোন সায়্যিদ আমিনা কুতুব (রহঃ) তার স্বামী কামাল আস সানানীরি (রহঃ) এর স্মরণে। ১৯৫৪ সালে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের বড় নেতা কামাল আস সানানীরিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও পরে তা কমিয়ে ২৫ বছর করে হয়। কিন্তু পাঁচ বছরের মাথায় কামাল অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাকে দেখতে যান সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহঃ)। তখন কামাল সানানীরী আমেনা কুতুবের জন্যে তার ভাই সাইয়েদ কুতুবের নিকট প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাব আমেনার কাছে পৌছলে মহিয়সী এই নারী…
বোনদের খ্যাতির মোহ ও কষ্টার্জিত লজ্জা জনৈক সেলিব্রিটি নিজ বিয়ের পর এক ভিডিওতে এসে জানিয়েছেন, তাকে কমপক্ষে ৫০/৬০ হাজার মেয়ে (যদিও এটা অত্যুক্তি হতে পারে) সরাসরি ইনবক্সে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে৷ জানি না তার জন্যে বিষয়টি গর্বের নাকি আফসোসের৷ তবে আমি মনে করি বিষয়টি একইসাথে চিন্তার ও আতঙ্কের৷ ওই ভাইটির ব্যাপারটি আমি পজিটিভলি নিচ্ছি৷ আল্লাহ তাকে নারীর ফিতনা থেকে হেফাজত করেছেন৷ আজকাল যে কেউ ফিতনায় পড়ে যেতে পারে৷ যেমনটা বাহ্যত ফিতনায় পড়ে ফেঁসে গেছেন সময়ের আলোচিত বৃদ্ধ ইমাম৷ আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন৷ তার আরেকটি পজিটিভ বিষয় হলো, হাজার হাজার মেয়ের প্রস্তাবের ব্যাপারটি তিনি সরাসরি প্রকাশ করে ফেলেছেন৷ লুকোচুরি করেন নি৷…
বইমেলার কয়েকটা ছবি ফিডে আসলো । ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে মেলাতে লোকজনের ভিড় সুস্পস্ট । তন্মধ্যে দু একটা ছবিতে এত এত পুরুষের ভিড়ের মাঝখানে কালো জিলবাবে আবৃত বেশ কিছু পর্দানশীন বোনদের মাথাও দেখা যাচ্ছিলো । আমার সম্মানিত বোনরা ! আপনাদের কেন বই মেলায় এত পুরুষের ভিড়ে যেতে হবে ? আপনাদের যাদের মাহরাম আছে তাদের পাঠান বই কিনে আনতে । এছাড়া এখন তো অনলাইনেও বিভিন্ন অফার সহ বই কিনতে পাওয়া যায় । যার মাহরাম নাই সেও তো অনলাইনের সুবিধা নিতে পারে । এত সুবিধা পেয়েও কেন আপনাদের মেলার মত অনুত্তম জায়গায় ভাইদের মাঝে ভিড় ঠেলে বই কিনতে যেতে হবে ? যেসব…
দুঃসাহসিক এক নারী যোদ্ধার গল্প বলি শোনোঃ না এটা রূপকথার গল্প নয়। নিম্নোক্ত গল্পের সাথে রূপকথার গল্পের তুলনাই চলে না। ▪ নুসাইবাহ বিনতে কা’ব রাদি.। তিনি উম্মে আম্মারাহ নামেই বেশ পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসের প্রথম নারী যোদ্ধা। উহুদ, খায়বার, হুনাইন এবং ইয়ামামাহ যুদ্ধে তিনি তাঁর অতি অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করে এখনো বিস্ময়ের বিস্ময় হয়ে আছেন। থাকবেন কেয়ামত পর্যন্ত। রাদিয়াল্লাহু আনহা। উহুদ যুদ্ধে তিনি যে শৌর্যবীর্য দেখিয়েছিলেন তা সত্যিই অকল্পনীয়। একজন নারী এভাবে সম্মুখ যুদ্ধ করতে পারেন! আল্লাহু আকবার। মদীনার বনু নাজ্জার গোত্রের সদস্যা তিনি। হযরত আব্দুল্লাহ বিন কা’ব রাদি.-এর বোন। দু দুটো বিয়ে হয়েছে তাঁর। প্রথম স্বামীর নাম যায়দ ইবনে আসিম।…
সহশিক্ষার হুকুম কী? প্রশ্ন: ইসলামের দৃষ্টিতে নারী পুরুষের সহশিক্ষা কি বৈধ? প্রশ্নকারী – উসামা উত্তর: بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد সহশিক্ষা ইসলামের অকাট্য বিধান পর্দার পরিপন্থী। এটি বিজাতীয় শিক্ষা-পদ্ধতি। পাশ্চাত্যের অনুকরণে এ সহশিক্ষা চালু করা হয়েছে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি সম্পূর্ণ নাজায়েয এবং ইসলামের মূলনীতি পরিপন্থী। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- “আর তোমরা তাঁর (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ।” – সূরা আহযাব (৩৩) : ৫৩ ইমাম কুরতুবী রহ. (৬৭১ হি.) উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, “উক্ত…