গায়রতে তৎকালীন নারী আর আমরা

মুসলিমা নারী অন্য নারীদের থেকে আলাদা হয়ে তাদের হায়া, গায়রত, সতীত্বের জন্য। কিন্তু আজকাল এই হায়া গায়রত সতীত্ব হারিয়ে গিয়েছে মুসলিমা নারীদের থেকে।

বেদ্বীন মুসলিম নারী নিজেদের হায়া, গায়রত, আব্রু বিসর্জন দিয়ে দুনিয়াবি খায়েশাতে বেহায়াপনায় গা ভাসিয়ে দেয়। দুনিয়ার চাকচিক্যের গভীরে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়। নিজেদের জীবনের ছোট থেকে ছোট ঘটনা গুলো হাজার মানুষের সামনে তুলে ধরে শুধু মাত্র সেলেব্রিটি হওয়ায় নেশায়।

সেই একি নেশায় নেশাগ্রস্ত হয়েছে দ্বীনদার মুসলিমা।
নিজেদের হায়া গায়রত আব্রু সব বিসর্জন দিয়ে নিকাব পরে শুরু হয়েছে ভ্লগিং সুবহানাল্লাহ।
দুনিয়াবি সব খায়েশাত তারা শুধু নিকাব লাগিয়েই করে এটাই পার্থক্য।

এসব ভ্লগার বোনদের দেখে বিভ্রান্ত হয়, নতুন দ্বীনে ফেরা বোনেরা। তারা ভাবে এই আপুরা তো নিকাব পরে সবই করছে আমরাও পারবো। তারাও নিকাব পরে, ফ্রি মিক্সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করা শুরু করে। তাদের বোরকা নিকাব থাকে অনেক আকর্ষণীয়। পর্দার নামে যাকে বলা হয় ফ্যাশন।

ভ্লগারদের হাজব্যান্ড গুলোও বে-গায়রত, বেহায়া, নির্লজ্জ। তাদের একবার মনে হয় না কেন আমার আহলিয়ার ছবি আমি ছাড়া অন্য কেউ দেখবে! এটুকু তাদের গায়রতে আঘাত করে না।

কোন ভ্লগারদের ৭০/৮০ টা বোরকা হিজাব আছে, তাদের ঘরে কি কি আছে। তারা কিভাবে বোরকা পরে, কেমন কেমন ডিজাইন হবে সবই সাধারণ বোনেরা ফলো করে। তাদের মতো লাইফস্টাইলেই অভ্যস্ত হতে চায়।

মুহস্বানাত বইয়ে পড়েছিলাম –
দ্বীনদার ভাইদের উপর করা জরিপে ভাইয়েরা বলেছেন, নারী সুলভ আচরণে তারা আকৃষ্ট হয়। পরিপূর্ণ পর্দায় আবৃত থাকলেও, বোনদের কথাবার্তা, চঞ্চলতা, নারীসুলভ আচরণে তারা আকৃষ্ট হয়। এমনকি ভুল-বশত তাদের চোখে চোখ পরলে, কিংবা নারীদের চোখ আকর্ষনীয় ভাবে সাজানো থাকলেও, ভাইয়েরা আকৃষ্ট হয়।

নারী হলো পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনা। ইতিহাসে নারী আর মদে যারা আকৃষ্ট হয়েছে তারাই ধ্বংস হয়েছে।

ভ্লগার বোনদের ভিডিও তে হাসি, কথাবার্তা, নারীসুলভ আচরণে ভরপুর থাকে সবসময়ই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন নারীরা যেন পরপুরুষের সাথে মিষ্টি ভাষায় কথা না বলে।

ভ্লগারদের বিয়ে, হাজব্যান্ড, লাইফস্টাইল, ফ্রি মিক্সিং সব কিছুই বোনেরা নিজেদের লাইফে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। পর্দা করে সব করা যায় এই ফতোয়া ব্লগার বোনদের থেকেই আগত। শাড়ির সাথে নিকাব, চোখে কপালে মেকআপ, হিজাব টিউটোরিয়াল, নিকাবের বদলে মাস্কের ব্যবহার, হাজব্যান্ডের জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, হারাম রিলেশনশিপ, কি নেই তাদের মধ্যে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানেন?? তাদের সাপোর্ট করে একদল কথিত দ্বীনি লেবাসের ভাই-বোন।

হাশরে যদি এই পর্দার কোনোপ্রকার ফায়দা না হয়, সেদিন কি হবে ভেবে দেখেছেন!

©

হজের মওসুম।
তীব্র ভীড়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে এক নারী কান্নাভেজা কণ্ঠে
‘ খালিদ খালিদ ’ করে ডাকছেন।
ছেলেটা হারিয়ে গেছে।

একজন বলল – নেকাব তুলে দিন না, ছেলেটা দূর থেকে দেখতে পেলে ফিরে আসবে।

নেকাব খুলে ‘হায়া’ খোয়ানোর বেদনার চেয়ে সন্তান হারানোর কষ্টই বেশি সহনীয়।

– শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

এই ছিল তৎকালীন নারীদের গায়রত। আর আমাদের গায়রতের দিকে তাকালে মনে হয় আমরা ভন্ড দ্বীনদার!!

Leave a Comment