আমাদের বৃক্ক থেকে নিঃসৃত গুরুত্বপূর্ণ একটি এনজাইম হলো রেনিন।এই রেনিন আমাদের রক্তচাপে ভূমিকা রাখে। বৃক্কের মাধ্যমে রেনিন নামক এনজাইমটি ক্ষরিত হয়।এই রেনিন এনজাইমের ক্ষরণের বৃদ্ধি হ্রাস হতে পারে।রেনিন এনজাইমের ক্ষরণ বাড়ায়-*হাইপোভলেমিয়া*ক্যাটেকোলামিন*ইডিমাস স্টেট, যেমন–সিরোসিস-নেফ্রোটিক সিনড্রোম-সিসিএফ আর রেনিন এনজাইমের ক্ষরণ কমায়-*হাইপারভলেমিয়া*এনজিওটেনসিন ২*এন্টি ডাই ইউরেটিক হরমোন*হাইপারন্যাট্রেমিয়া*হাইপারক্যালেমিয়া রেনিন এনজাইম আমাদের ফিজিওলজিকাল সিস্টেমের একটি অংশ।আমাদের রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে এনজাইম টি।রেনিন এনজিওটেনসিন নামক প্রোটিনের উপর কাজ করে।ফলে প্রোটিনের কিছু পরিবর্তন ঘটে।এভাবে ধাপে ধাপে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে রেনিন এনজাইম। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
Author: Dipa Sikder Jyoti
থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করে থাকে।সেই কাজগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা জানব। ★শর্করা বিপাকঃথাইরয়েড হরমোন গ্লাইকোলাইসিস, গ্লুকোনিওজেনেসিস, গ্লাইকোজেনোলাইসিস, ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ★আমিষ বিপাকঃআমিষের সংশ্লেষণে কাজ করে থাইরয়েড হরমোন। ★স্নেহ বিপাকঃথাইরয়েড হরমোন মুক্ত ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বাড়ায়।আবার ফ্যাটি এসিডের বিটা অক্সিডেশনও বাড়িয়ে দেয়।বাইল এবং মলের মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিঃসরণে সাহায্য করে।ফলে দেহে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে। ★থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দেয়।★আমাদের বিএমআর বৃদ্ধি করে।★আমাদের ওজন হ্রাস করে। এগুলো হলো থাইরয়েড হরমোনের বিপাকীয় ভূমিকা।এই কাজগুলো করার মাধ্যমে হরমোনটি আমাদেরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
গ্রোথ হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলে হওয়া একটি রোগ হলো এক্রোমেগালি।পিটুইটারি গ্রন্থিতে যখন এসিডোফিলিক টিউমার হয় তখন এই রোগটি হয়ে থাকে। এক্রোমেগালি হলে রোগীর মধ্যে অন্যরকম কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।কঙ্কালতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে-*হাত এবং পায় অতিরিক্ত বাড়ে।*নিচের চোয়াল অতিরিক্ত নিচে নেমে আসে।*কপাল,মাথার অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটে।*কাইফোসিস হয়। টিস্যুতে যে পরিবর্তন আসে-*ত্বক মোটা হয়।*ঠোঁট,নাক,জিহ্বা বড় হয়।*যকৃত,বৃক্ক,হৃদপিণ্ড,থাইরয়েড গ্রন্থি এবং অন্যান্য অঙ্গের অতিরিক্ত বৃদ্ধি হয়। বিপাকীয় পরিবর্তন-*গ্লুকোজ ইনটলারেন্স*ডায়াবেটিস মেলাইটাস*হাইপারটেনশন*ডিসলিপিডেমিয়া এ রোগে যে টেস্ট করতে হয়-*গ্রোথ হরমোন পরিমাপ*গ্রোথ হরমোন সাপ্রেশন টেস্ট*পিটুইটারি গ্রন্থির এমআরআই ©দীপা সিকদার জ্যোতি
আমাদের শরীরের কার্বন ডাই অক্সাইডের চাপের একটা নির্দিষ্ট সাধারণ মান আছে।এই চাপের মান সাধারণ মান থেকে বেড়ে বা কমে গেলে তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়। প্রাথমিক হাইপোভেন্টিলেটরি ডিসঅর্ডার এর কারণে আমাদের শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইড এর চাপ সাধারণ থেকে বেড়ে গেলে যে এসিডোসিস হয় তাকে বলে রেসপিরেটরি এসিডোসিস।এর কারণগুলো হলো-*বিভিন্ন পালমোনারি রোগ।যেমন- এজমা, তীব্র নিউমোনিয়া, পালমোনারি ইডিমা, পালমোনারি এমবলিজম, পালমোনারি ফাইব্রোসিস ইত্যাদি।*স্ট্রোক, ব্রেইন টিউমার ইত্যাদির কারণে রেসপিরেটরি সেন্টার ডিপ্রেশন।*মেকানিকাল হাইপোভেন্টিলেশন।*নিউরোমাসকুলার ডিফেক্ট।যেমন- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, পোলিওমাইলাইটিস ইত্যাদি। প্রাইমারি জাইপারভেন্টিলেটরি ডিসঅর্ডার এর কারণে আমাদের শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চাপ সাধারণ মান থেকে কমে গিয়ে যে এলকালোসিস হয় তাকে বলে রেসপিরেটরি এলকালোসিস।এর কারণগুলো…
আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি হলো পিটুইটারি।এই গ্রন্থিটি আমাদের শরীরের জন্য এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে একে প্রভুগ্রন্থিও বলা হয়ে থাকে।দৈর্ঘ্যে,ওজনে সবচেয়ে ছোট এই গ্রন্থিটির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন পিটুইটারি হরমোন হিসেবে পরিচিত। পিটুইটারি গ্রন্থির দুইটি অংশ রয়েছে।১.অগ্র পিটুইটারি২.পশ্চাৎ পিটুইটারিঅগ্র পিটুইটারি থেকে ক্ষরিত হরমোন হলো-*গ্রোথ হরমোন*এড্রেনোকর্টিকট্রপিক হরমোন*থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন*ল্যুটিনাইজিং হরমোন*ফলিকল উদ্দীপক হরমোন*প্রোল্যাক্টিন পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে ক্ষরিত হরমোনগুলো হলো-*এন্টি ডাই ইউরেটিক হরমোন বা, ভ্যাসোপ্রেসিন*অক্সিটোসিন -গ্রোথ হরমোন আমাদের দেহ বৃদ্ধিতে কাজ করে।-এড্রেনোকর্টিকট্রপিক হরমোন এড্রেনোকর্টিকাল হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে।-থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণে কাজ করে থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন।-ল্যুটিনাইজিং হরমোন ওভুলেশন,কর্পাস লুটিয়াম তৈরী সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।-ফলিকলের বৃদ্ধিতে কাজ করে ফলিকল…
আমাদের মূত্রের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য।সেইসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজকে আমরা জানব। আমাদের মূত্রের পরিমাণ ৫০০-২৫০০ মিলিলিটার/দিন।এর অসমোলারিটি ৬০০-৯০০ মিলিঅসমোল/লিটার।পিএইচ ৪.৫-৮।মূত্রে সাধারণত খুব সামান্য পরিমাণে প্রোটিন থাকে।কিংবা থাকেনা বলা চলে। মূত্রের অজৈব পদার্থের মধ্যে থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট।আর জৈব পদার্থের মধ্যে থাকে এমোনিয়া, ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন, ইউরোবিলিনোজেন। ★অস্বাভাবিক অবস্থাঃঅনেক সময় মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।সাধারণত ডায়াবেটিসে এমন হয়ে থাকে।আবার রেনাল ফেইলার, কার্ডিয়াক ফেইলারের ক্ষেত্রে মূত্রের পরিমাণ কমে যায়।এসিডোসিস হলে মূত্রের পিএইচ কমে যায় আর এলকালোসিস হলে পিএইচ বেড়ে যায়।মূত্রে ক্রিয়েটিনিনের সাধারণ ঘনত্ব ০.৭-১.৪% আর ইউরিয়ার ঘনত্ব ১৫-৪০%. মূত্রে সব উপাদানেরই নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ আছে।এর চেয়ে বেড়ে গেলেও…
আমাদের অগ্রপিটুইটারি থেকে ক্ষরিত একটি হরমোন হলো গ্রোথ হরমোন।আমাদের দৈহিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই হরমোনটি ভূমিকা রাখে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে গ্রোথ হরমোন জড়িত।এই হরমোনের বিপাকীয় কাজ সম্পর্কে আজ আমরা জানব। ★আমিষ বিপাক*কোষপর্দার মাধ্যমে এমিনো এসিডের পরিবহন বৃদ্ধি করে।*আরএনএ ট্রান্সলেশন বৃদ্ধি করে।*ট্রান্সক্রিপশন বৃদ্ধি করে।*প্রোটিন এবং এমিনো এসিড এর অপচিতি হ্রাস করে। ★স্নেহ বিপাক*এডিপোস টিস্যু থেকে ফ্যাটি এসিড নিঃসরণ বৃদ্ধি করে।*ফ্যাটি এসিড থেকে এসিটাইল কো-এ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ★শর্করা বিপাক*যকৃৎ থেকে গ্লুকোজ উৎপাদন বৃদ্ধি করে।*ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রচলিত একটি রোগ হলো Diabetes Mellitus তথা Diabetes.আমাদের শরীরে ইনসুলিনের অভাব দেখা দিলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায় যাকে বলা হচ্ছে Hyperglycemia.আর এই Hyperglycemia যখন দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় তখন যে অবস্থার সৃষ্টি হয় সেটিই হচ্ছে Diabetes Mellitus(DM).এর কিছু টাইপ রয়েছে।যেমনঃ* Type 1 or Insulin dependent DM.এক্ষেত্রে 70-90%% বিটা কোষ ধ্বংস হয়ে যায়।* Type 2 or Non insulin dependent DM.যা Insulin resistance এবং বিটা কোষের Desensitization এর কারণে হয়ে থাকে।* Type 3 Secondary diabetes mellitus.Endocrinopathies,Pancreatic disease,Chronic liver disease,Drug abuse এর কারণে secondary DM হয়ে থাকে।* Type 4 Gestational diabetes mellitus.আগে DM না থাকা নারীর গর্ভাবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে…
আজ আমরা আমাদের পশ্চাৎমস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশটির সম্পর্কে জানব।হ্যাঁ,আমাদের আজকের বিষয় Cerebellum. ⭕Position:The cerebellum is situated in the posterior cranial fossa.এটি superiorly আবৃত থাকে tentorium cerebelli দ্বারা।আর আমরা জানি যে আমাদের anterior এবং middle cranial fossa তে থাকে cerebrum.তাই cerebellum এর superiorly tentorium cerebelli এর আবরণ থাকায় বলা যায়, the cerebellum is separated from the cerebrum by tentorium cerebelli. ⭕Connection:Brainstem এর সাথে cerebellum তিনটি cerebellar peduncle এর মাধ্যমে যুক্ত থাকে।The cerebellum is connected with-➡️ Midbrain through superior cerebellar peduncle.➡️ Pons through middle cerebellar peduncle.➡️ Medulla oblongata through inferior cerebellar peduncle. ⭕Parts of cerebellum:তিনটি lobe থাকে-⏩ Anterior lobe⏩ Middle lobe⏩ Flocculonodular…
আমাদের রক্তে যে তিন ধরনের রক্তকণিকা থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো শ্বেত রক্তকণিকা।এর সাধারণ পরিমাণ হলো প্রতি কিউবিক মিলিমিটার রক্তে ৪০০০-১১০০০ টি।তবে এই পরিমাণ অনেকসময় বেড়ে যেতে পারে।এ অবস্থাকে বলা হয় লিউকোসাইটোসিস। আমাদের প্রতি কিউবিক মিলিমিটার রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ যখন ১১০০০ এরও বেশি হয় তখন সে অবস্থাকে বলে লিউকোসাইটোসিস। এ রোগের ফিজিওলজিকাল কারণ হলো-*শারীরিক ব্যায়াম*ভারী খাদ্য গ্রহণ*গর্ভাবস্থা এবং সন্তান জন্মদান*মানসিক চাপ*ঠান্ডা পানিতে গোসল করা এ রোগের প্যাথলজিকাল কারণ হলো-*এলার্জিজনিত রোগ*ঔষুধের প্রতিক্রিয়া*পারিবারিক কারণ*পলিসাইথেমিয়া*ম্যালেরিয়া*সিফিলিস*কোলাজেন ভাসকুলার ডিজিজ*ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ*ভাইরাসঘটিত রোগ*প্রোটোজোয়াঘটিত রোগ স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কোনোকিছুই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।শ্বেতরক্তকণিকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াও আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।এমনকি এর পরিমাণ অতিরিক্ত…
আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয় হলো পালমোনারি ভেন্টিলেশন এবং এলভিওলার ভেন্টিলেশন।আজ এই দুটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। প্রতি মিনিটে আমরা যে পরিমাণ বাতাস পরিবেশ থেকে গ্রহণ করি বা পরিবেশে ত্যাগ করি সেই পরিমাণ বাতাসকে বলা হয় পালমোনারি ভেন্টিলেশন।আমাদের শ্বসন হারকে টাইডাল ভলিউম দিয়ে গুণ করে যে মান পাওয়া যায় সেটিই হলো পালমোনারি ভেন্টিলেশন।এর মান সাধারণত ৬ লিটার/মিনিট। আর প্রতি মিনিটে যে পরিমাণ বাতাস আমাদের এলভিওলাসে পৌঁছায় সেই পরিমাণ বাতাসকে বলা হয় এলভিওলার ভেন্টিলেশন।টাইডাল ভলিউম আর ডেড স্পেস ভলিউমের অন্তরকে শ্বসন হার দিয়ে গুণ করে এর মান পাওয়া যায়।সাধারণত এর মান ৪.২ লিটার/মিনিট। পালমোনারি ভেন্টিলেশন আমাদের টিস্যুকে অক্সিজেন…
আমাদের লোহিত রক্তকণিকায় যে আয়নগুলো থাকে সেগুলোর মধ্যে সাধারণত আয়নিক সাম্যাবস্থা বজায় থাকে।কিন্তু অনেক সময় এই সাম্যাবস্থা বজায় থাকেনা।তখন সাম্যাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য লোহিত রক্তকণিকা থেকে বাই কার্বোনেট আয়ন বের হয়ে যায় এবং এর পরিবর্তে লোহিত রক্তকণিকায় ক্লোরাইড আয়ন প্রবেশ করে।এই ঘটনাকে ক্লোরাইড শিফট বলা হয়। এই ক্ষেত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড লোহিত রক্তকণিকায় ঢুকে এর পানির সাথে যুক্ত হয়ে কার্বোনিক এসিড গঠন করে।তারপর তা ভেঙ্গে হাইড্রোজেন আয়ন ও বাই কার্বোনেট আয়ন তৈরী করে।বাই কার্বোনেট আয়নের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেগুলো লোহিত রক্তকণিকা থেকে বের হয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে।ফলে ওগুলো বের হয় এবং সাম্যাবস্থা ধরে রাখতে সেখানে ক্লোরাইড আয়ন প্রবেশ করে।…