ক্লোরাইড শিফট ও এর গুরুত্ব

আমাদের লোহিত রক্তকণিকায় যে আয়নগুলো থাকে সেগুলোর মধ্যে সাধারণত আয়নিক সাম্যাবস্থা বজায় থাকে।কিন্তু অনেক সময় এই সাম্যাবস্থা বজায় থাকেনা।তখন সাম্যাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য লোহিত রক্তকণিকা থেকে বাই কার্বোনেট আয়ন বের হয়ে যায় এবং এর পরিবর্তে লোহিত রক্তকণিকায় ক্লোরাইড আয়ন প্রবেশ করে।এই ঘটনাকে ক্লোরাইড শিফট বলা হয়।

এই ক্ষেত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড লোহিত রক্তকণিকায় ঢুকে এর পানির সাথে যুক্ত হয়ে কার্বোনিক এসিড গঠন করে।তারপর তা ভেঙ্গে হাইড্রোজেন আয়ন ও বাই কার্বোনেট আয়ন তৈরী করে।বাই কার্বোনেট আয়নের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেগুলো লোহিত রক্তকণিকা থেকে বের হয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে।ফলে ওগুলো বের হয় এবং সাম্যাবস্থা ধরে রাখতে সেখানে ক্লোরাইড আয়ন প্রবেশ করে।

ফুসফুসের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ঘটনা ঘটে।অর্থাৎ,ফুসফুসে যা হয় তা হলো ক্লোরাইড আয়ন লোহিত রক্তকণিকা থেকে বের হয়ে আসে।একে বলা হয় প্রতিবর্তী ক্লোরাইড শিফট প্রক্রিয়া।

ক্লোরাইড শিফটের প্রয়োজন হলো-
*আয়নিক সাম্যাবস্থা বজায় থাকে।
*রক্তের পিএইচ বজায় থাকে।
*কার্বনডাইঅক্সাইড পরিবহন সহজ হয়।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Comment