Author: Dipa Sikder Jyoti

দীপা সিকদার জ্যোতি একজন পেশাদার লেখিকা এবং সাংবাদিক, যিনি Rangpur Daily-এর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য নিবন্ধন ও প্রতিবেদন লিখেন। তিনি বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক বিষয়গুলোতে তথ্যসমৃদ্ধ, বিশ্বাসযোগ্য এবং পাঠকবান্ধব কনটেন্ট তৈরি করেন। দীপার লেখনীতে স্থানীয় ও জাতীয় সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরা হয়, যা পাঠকদের জীবনে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর তথ্য পৌঁছে দেয়। তার মূল লক্ষ্য হলো সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা। পাঠকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ তার লেখালেখির মূল প্রেরণা।

আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশের নাম সেরেব্রাম।এই সেরেব্রামের কর্টেক্সের কিছু স্তর বা লেয়ার আছে।যেমন-১.মলিকিউলার লেয়ার/প্লেক্সিফর্ম লেয়ার২.এক্সটার্নাল গ্রানুলার লেয়ার৩.এক্সটার্নাল পিরামিডাল লেয়ার৪.ইন্টার্নাল গ্রানুলার লেয়ার৫.ইন্টার্নাল পিরামিডাল লেয়ার৬.মাল্টিফর্ম লেয়ার মলিকিউলার লেয়ারে থাকে স্নায়ুতন্তু।বাহ্যিক গ্রানুলার লেয়ার থাকে পিরামিডাল কোষ ও স্টেলেট কোষ।তবে পিরামিডাল কোষ পরিমাণে কম থাকে।বাহ্যিক পিরামিডাল কোষে থাকেও পিরামিডাল কোষ ও স্টেলেট কোষ থাকে।এখানে পিরামিডাল কোষ বেশি থাকে। ইন্টার্নাল গ্রানুলার লেয়ারে পিরামিডাল কোষ কম ও স্টেলেট কোষ বেশি থাকে।ইন্টার্নাল পিরামিডাল লেয়ারে পিরামিডাল কোষ বেশি ও স্টেলেট কোষ কম থাকে।মাল্টিফর্ম লেয়ারে দুই ধরনের কোষ থাকে। এই ছয়টি লেয়ারই যে কর্টেক্সের মধ্যে থাকে হোমোটিপিকাল কর্টেক্স বলে।আর যে কর্টেক্সে কিছু লেয়ার বাদ থাকে তাকে হেটারোটিপিকাল কর্টেক্স…

Read More

থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে তাকে বলে হাইপারথাইরইডিজম।এটি একটি রোগ।এই রোগের কারণ সম্পর্কে আজ আমরা জানব। হাইপারথাইরইডিজম এর লক্ষ্মণ গুলো হলো-*গ্রেভ রোগ*থাইরোটক্সিকোসিস*টক্সিক ইডিনোমা*টক্সিক মার্টিনডুলার গয়টার*থাইরোডিটিস*পিটুইটারি টিউমারএগুলো সব প্রাইমারি কারণ। সেকেন্ডারি কারণ হলো-*এক্টোপিক থাইরয়েড টিস্যু এই রোগে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।তাই বেশি বেশি করে আয়োডিনসম্পন্ন খাবার খেতে হবে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য খুব প্রয়োজনীয়।কিন্তু এই খাদ্য বলতে আসলে কি বোঝায়?এর ধরণ কি?কতটুকু শক্তিই বা দেয়?আজ আমরা এগুলো জানব। খাদ্য হলো পরিপাকযোগ্য পদার্থ যা পুষ্টি বহন করে,আমাদের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার ক্ষমতা রাখে এবং আমাদের বৃদ্ধি ও বিকাশের কাজে শরীরে ব্যবহৃত হয়।খাদ্য মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে-১.শক্তি প্রদানকারী২.দেহ গঠনকারী৩.রক্ষাকারী শক্তি প্রদানকারী খাদ্যের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট,ফ্যাট।দেহ গঠনকারী খাদ্যের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন।রক্ষাকারী খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ। এবার জেনে নেয়া যাক কোন ধরনের খাদ্য কি পরিমাণে শক্তি দেয়-*কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য শক্তি দেয় ৪ কিলোক্যালরি/গ্রাম*প্রোটিন দেয় ৪ কিলোক্যালরি/গ্রাম*ফ্যাট দেয় ৯ কিলোক্যালরি/গ্রাম*এলকোহল দেয় ৭ কিলোক্যালরি/গ্রাম*ভিটামিন ও ফাইবার কোনো শক্তি দেয়না। ©দীপা সিকদার…

Read More

গ্লুকোজ আমার শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান।এর নির্দিষ্ট মাত্রা আমাদের জন্য খুব দরকারী।কিন্তু মাঝে মাঝে এই পরিমাণ বেড়ে বা কমে যেতে পারে। গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে তাকে বলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া।এর কারণগুলো হলো-*অপুষ্টি*যকৃতের রোগ*মদ্যপান*অতিরিক্ত ইনসুলিন গ্রহণ*এডিসন’স ডিজিজ রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গেলে তাকে বলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া।এর কারণগুলো হলো-*ডায়াবেটিস মেলাইটাস*গ্লুকোজ হজম করতে না পারা*গর্ভাবস্থা*অগ্ন্যাশয় এর রোগ*থাইরোটক্সিকোসিস*এক্রোমেগালি*কুশিং সিনড্রোম ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন বের হয় সেগুলো অতিরিক্ত বের হলে তাকে বলে হাইপারথাইরইডিজম।এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজ আমরা জানব। *ভয়াতুর থাকা*অতিরিক্ত কম্পন*অতিরিক্ত ঘামা*বিএমআর বেড়ে যাওয়া*স্থাবিত্ত*ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া*পেশি দূর্বল হওয়া*গরম সহ্য করতে না পারা*হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া*পালস প্রেশার বেড়ে যাওয়া*নরম ত্বক*ঘুম না হওয়া*ডায়রিয়া*চোখ বাইরে বেরিয়ে যাওয়া এসব থেকে দূরে থাকতে আমাদের আয়োডিন সম্পন্ন খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

এমিনো এসিড অনেকধরনের আছে।তার মধ্যে আটটি এমিনো এসিড দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।তার মধ্যে একটি হলো গ্লাইসিন। আমাদের শারীরবৃত্তীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ একটি এমিনো এসিড হচ্ছে গ্লাইসিন।এটির কাজ সম্পর্কে আজ জানব। *গ্লাইসিন নানারকম টিস্যু প্রোটিন তৈরি করে।যেমন-কোলাজেন।*পরফাইরিন এবং হিম এর সংশ্লেষণ করে।*ক্রিয়েটিনিন সংশ্লেষণ করে।*গ্লুটাথিয়োন সংম্লেষণ করে।*পিউরিন সংশ্লেষণ করে।*বাইল এসিডের সাথে যুক্ত হয়।*পিত্ত এসিড কে পিত্ত লবণ হিসেবে বের করতে সাহায্য করে।*যকৃতে বিষ অপসারণে সাহায্য করে।*গ্লুকোনিওজেনেসিস এ অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ,আমাদের শরীরের জন্য গ্লুকোজ উৎপাদনে,শরীরের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে,বিভিন্ন প্রোটিন তৈরিতে গ্লাইসিন কাজ করে থাকে।এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের পিটুইটারি গ্রন্থির পশ্চাৎ অংশ থেকে নিঃসৃত একটি হরমোন হলো এন্টি ডাই ইউরেটিক হরমোন।একে ভ্যাসোপ্রেসিন নামেও ডাকা হয়।আজ আমরা এই হরমোনের কাজ সম্পর্কে জানব। এন্টি ডাই ইউরেটিক হরমোন পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে নিঃসৃত হলেও এটি তৈরি হয় হাইপোথ্যালামাসে।এটি মূলত একটি পলিপেপটাইড হরমোন যা নয়টি এমিনো এসিড দিয়ে তৈরি।হরমোনটির কাজগুলো হলোঃ*এটি বৃক্ককোষে পানির পুনঃশোষণ করে।এতে করে মূত্র ঘন হয়।এবং এর মাধ্যমে আমাদের দেহে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের সাম্য রক্ষা হয়।*এটি বৃক্ক কোষের সংগ্রাহী নালিকায় ইউরিয়ার ভেদ্যতা বাড়ায়।*এটি ভেসোকন্সট্রিকশন করে।ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।*যকৃতে গ্লাইকোজেন ভাঙ্গনে এটি সহায়তা করে।*অগ্র পিটুইটারি থেকে এড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন নিঃসরণ বাড়ায়।*অন্ত্র,মূত্রথলি,মূত্রনালির পেশির সংকোচনে এই হরমোন কাজ করে। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমরা নানারকম খাদ্য গ্রহণ করি।তারপর সেই খাদ্যের বিপাক ঘটে।এর ফলে সেই খাদ্যগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে লাগে।পরিপাক বিপাক আছে বলেই খাদ্য আমাদের কাজে লাগে। খাদ্য গ্রহণ করার পরই তার বিপাক ঘটে।কিন্তু এই বিপাক কেন ঘটে?এর উদ্দেশ্য কী?বিপাকের একটি উদ্দেশ্য হলো গ্রহণ করা খাদ্য থেকে শক্তির নিঃসরণ।এই শক্তি কোষের বিভিন্ন কাজে দরকার পড়ে।যেমন-*মেকানিকাল কাজ (পেশি সংকোচন)*কেমিকাল কাজ (প্রোটিন সংশ্লেষণ)*ইলেক্ট্রিক কাজ (স্নায়ুর চলন)*অসমোটিক কাজ*মেমব্রেন ট্রান্সপোর্টএছাড়াও দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য শক্তি উৎপাদনের প্রয়োজন পড়ে। বিপাকের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন ম্যাক্রোমলিকিউলসের সংশ্লেষণ।বিপাকের ফলে এদের সংশ্লেষণ ঘটে যা আমাদের শরীরের কাজে লাগে।তাই বলা যায়,আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি প্রক্রিয়া হলো বিপাক। ©দীপা সিকদার…

Read More

উত্তরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে দেখা যাওয়া খুব সাধারণ একটি রোগ হলো গয়টার।এই রোগে গলা ফোলা দেখা যায়।আজ আমরা এই গয়টার সম্পর্কে জানব। থাইরয়েড গ্লান্ড এর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অবস্থাকে বলে গয়টার।এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে-১.সাধারণ গয়টার২.মাল্টিনডুলার গয়টারসাধারণত সাধারণ গয়টার পরবর্তীতে মাল্টিনডুলার গয়টারে পরিণত হয়।এখন আমরা জেনে নেব সাধারণ গয়টার কিভাবে সৃষ্টি হচ্ছে-আমাদের শরীরে যখন আয়োডিনের অভাব দেখা দেয় তখন থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে প্রযোজনীয় পরিমাণে থাইরক্সিন এবং ট্রাইআয়োডোথাইরনিন উৎপন্ন হয়না।এতে করে থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।বিশাল পরিমাণে এই হরমোন ক্ষরিত হতে থাকে।এতে করে থাইরয়েড ফলিকুলার কোষের সংখ্যা বেড়ে যায়।এবং একপর্যায়ে গয়টার এর উপস্থিতি ঘটে। এই অবস্থার সম্মুখীন যাতে না হতে হয় সেজন্য আমাদেরকে…

Read More

শরীরে প্লাজমা সোডিয়ামের ঘনত্ব যখন ১৩৫ মিলিমোল/লিটার এর চেয়ে কমে যায় তখন যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে বলে হাইপোন্যাট্রেমিয়া।এর কারণ হিসেবে সোডিয়াম এর অসামঞ্জস্য অবস্থার চেয়ে পানির অসামঞ্জস্য অবস্থাই দায়ী।কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ অবস্থাটি হাইপোঅসমোলারিটি এর সাথে সংশ্লিষ্ট। হাইপোন্যাট্রেমিয়ার সাধারণ কিছু কারণ হলো-*সোডিয়ামের রিটেনশনের সাথে কিছুটা পানির রিটেনশন,যেমন–কার্ডিয়াক ফেইলার-লিভার সিরোসিস-ক্রোনিক রেনাল ফেইলার-নেফ্রোটিক সিনড্রোম*শুধু পানির রিটেনশন*সোডিয়াম লস এবং সাথে কিছু পানির লস এই অবস্থাটির ফলে শারীরিক নানারকম ক্ষতি হতে পারে।যেমন-*তন্দ্রাভাব*দ্বিধা*খিঁচুনি*অসাড়তা*কোমা*এমনকি মৃত্যু ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

এড্রেনাল হরমোন আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় হরমোন।এদের ক্ষরণ আমাদের শারীরিক বিভিন্ন কাজের জন্য দরকারী।কিন্তু এই হরমোনগুলোর অতিরিক্ত ক্ষরণ আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।এটি রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।যে রোগটি হয় তার নাম কুশিং সিনড্রোম। এড্রেনাল কর্টেক্স থেকে নিঃসৃত হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে গেলে যে রোগটি হয় সে রোগের নাম কুশিং সিনড্রোম।রোগটি হলে শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন আসে।যেমনঃ*মুখ চাঁদের মত গোলাকার হয়ে যায়*পেট বড় হয়ে যায়*পেট পেন্ডুলাসের মত হয়*থুতনি লাল হয়ে যায়*অস্টিওপরোসিস*ক্ষত দেরিতে শুকানো*চামড়া পাতলা হয়*মুখে চুল বেড়ে যায়*স্থুলতা*ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া*রাতে ঘুম না আসা*হাইপারটেনশন*হাইপারগ্লাইসেমিয়া*ডায়াবেটিস মেলাইটাস*পুরুষে পুরুষত্বহীনতা,নারীতে মাসিক নিয়মিত না হওয়া। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More

আমাদের দেহের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হলো হরমোন।বিভিন্ন হরমোন আমাদের শরীরের বিভিন্নরকম কাজ করে থাকে।তাদের নিয়মতান্ত্রিক কাজের জন্য আমাদের শরীর সুস্থ থাকে,ভালো থাকে।নানাবিধ হরমোনের মধ্যে অন্যতম একটি হলো থাইরয়েড হরমোন। থাইরয়েড হরমোনের ফলিকুলার কোষ থেকে আসে থাইরক্সিন ও ট্রাইআয়োডোথাইরনিন।আর প্যারাফলিকুলার কোষ থেকে আসে ক্যালসিটোনিন। থাইরয়েড হরমোনের সংশ্লেষণের কাঁচামাল হলো-*আয়োডাইড*এমিনো এসিড*পারঅক্সিডেজ এনজাইম আয়োডিনের উৎস সম্পর্কে জানা যাক-*সামুদ্রিক মাছ*সামুদ্রিক খাবার*সমুদ্র তীরবর্তী শাকসবজি*পানি আয়োডিনের দৈনিক প্রয়োজনীয়তাঃপ্রাপ্তবয়স্কের জন্য ১৫০ মাইক্রোগ্রামশিশুদের জন্য ৫০ মাইক্রোগ্রামবাচ্চাদের জন্য ১২০ মাইক্রোগ্রাম আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই আয়োডিন থাকা উচিত।এতে করে থাইরয়েড হরমোনের অভাব পূরণ হয়। ©দীপা সিকদার জ্যোতি

Read More