Author: Dipa Sikder Jyoti

দীপা সিকদার জ্যোতি একজন পেশাদার লেখিকা এবং সাংবাদিক, যিনি Rangpur Daily-এর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য নিবন্ধন ও প্রতিবেদন লিখেন। তিনি বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক বিষয়গুলোতে তথ্যসমৃদ্ধ, বিশ্বাসযোগ্য এবং পাঠকবান্ধব কনটেন্ট তৈরি করেন। দীপার লেখনীতে স্থানীয় ও জাতীয় সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরা হয়, যা পাঠকদের জীবনে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর তথ্য পৌঁছে দেয়। তার মূল লক্ষ্য হলো সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা। পাঠকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ তার লেখালেখির মূল প্রেরণা।

লোহিত রক্তকণিকায় থাকা প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো হিমোগ্লোবিন।এর জন্যই লোহিত রক্তকণিকার রং লাল হয়ে থাকে।এই হিমোগ্লোবিন রক্তকে লাল করার পাশাপাশি অক্সিজেনও পরিবহন করে থাকে। হিম ও গ্লোবিনের সমন্বয়ে তৈরী হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বয়স ও লিঙ্গভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।নবজাতকে এর পরিমাণ ২৩ গ্রাম/ডেসিলিটারশিশুতে ১২ গ্রাম/ডেসিলিটারপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষে ১৪-১৮ গ্রাম/ডেসিলিটারপ্রাপ্তবয়স্ক নারীতে ১২-১৬ গ্রাম/ডেসিলিটারসাধারণত নারীর তুলনায় পুরুষের দেহে বেশি পরিমাণে হিমোগ্লোবিন থাকে।কারণ পুরুষের দেহে থাকা টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়ায়।ফলে হিমোগ্লোবিনও বেশি থাকে। হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ কিন্তু লোহিত রক্তকণিকার মতই।অর্থাৎ, এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে এসে সারা টিস্যুতে দেয় এবং টিস্যু থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড নিয়ে ফুসফুসে দেয়।এছাড়াও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্তের বাফার হিসেবে…

Read More

জন্ডিস রোগটির কথা আমরা সবাই কমবেশি শুনেছি।জন্ডিস হলে যে চোখ, ত্বক হলুদ হয়ে যায় তা হয়তো আমরা জানি।কিন্তু কেন হয় সেই ব্যাপারে আমাদের বেশিরভাগেরই ধারণা নেই।আজকে আমরা জন্ডিস সম্পর্কে জানব। জন্ডিস এমন একটি রোগ যেই রোগে আমাদের রক্তে প্রচুর পরিমাণে বিলিরুবিন জমা হয়।আর বিলিরুবিনের রং যেহেতু হলুদ,তাই রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণে বিলিরুবিন জমা হওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ হলুদ দেখা যায়।যেমন- ত্বক, চোখের স্ক্লেরা এবং মিউকাস মেমব্রেন।আমাদের দেহে বিলিরুবিনের সাধারণ পরিমাণ ০.৩-১ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার।কিন্তু বিলিরুবিন যখন ৩ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এর চেয়ে বেড়ে যায় তখন জন্ডিস হয়।আর বিলিরুবিনের পরিমাণ যখন সাধারণের চেয়ে বেড়ে যায় কিন্তু ৩ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এর চেয়ে কম থাকে তখন তাকে বলে…

Read More

আমাদের রক্ত দুইটি ভাগে বিভক্ত- রক্তরস এবং রক্তকণিকা।রক্তকণিকা আবার তিন ধরনের।লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা।আজ লোহিত রক্তকণিকা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে। লোহিত রক্তকণিকা দ্বিঅবতল, গোলাকার।এতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না।এখানে পানি থাকে ৬৫% এবং কঠিন উপাদান থাকে ৩৫%। কঠিন উপাদানের মধ্যে রয়েছে হিমোগ্লোবিন যা ৩৩% পরিমাণে থাকে।আর অন্যান্য পদার্থ থাকে ০২%।প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষে আরবিসি বা রেড ব্লাড সেলের সংখ্যা ৪.৯-৫.৫ মিলিয়ন/ঘন মিলিমিটার রক্ত।প্রাপ্তবয়স্ক নারীতে এর সংখ্যা ৪.৪-৫ মিলিয়ন আর শিশুদেহে থাকে ৬-৭ মিলিয়ন।লোহিত রক্তকণিকা তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে Erythropoiesis. ভ্রূণদেহে তৃতীয় সপ্তাহে এটি শুরু হয়।জন্মের আগে কুসুমথলি, যকৃত, প্লীহা, লাল অস্থিমজ্জা- এসব স্থান হতে লোহিত রক্তকণিকা তৈরী হয়। জন্মের পর ২০ বছর…

Read More

কোটি কোটি কোষ নিয়ে গঠিত আমাদের এই শরীর।আর কোষেরই একটি অংশ হলো কোষের পর্দা তথা কোষঝিল্লী।আজকের আলোচনায় কোষঝিল্লীর গঠন ও কাজ নিয়ে বলা হবে। আমাদের প্রতিটি কোষের বাইরের পৃষ্ঠ একটি পাতলা আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে যা কোষের সাইটোপ্লাজমকে বাহ্যিক পরিবেশ থেকে পৃথক করে রাখে।এটাই হলো কোষঝিল্লী।একে প্লাজমাঝিল্লী, কোষপর্দা বা প্লাজমালেমাও বলা হয়।কোষঝিল্লী সাধারণত ৭.৫-১০ ন্যানোমিটার পুরু হয়ে থাকে।কোষঝিল্লীর মূল উপাদান হলো প্রোটিন,লিপিড ও কার্বোহাইড্রেট।এখানে প্রোটিন ৫৫%, লিপিড ৪২% ও কার্বোহাইড্রেট ৩% পরিমাণে থাকে। কোষঝিল্লীতে মূলত তিনটি জিনিস থাকে-১.মেমব্রেন লিপিড২.মেমব্রেন প্রোটিন৩.মেমব্রেন কার্বোহাইড্রেট মেমব্রেন লিপিড মূলত ফসফোলিপিড এর সমন্বয়।এগুলো পানিতে দ্রবণীয়।এই লিপিডগুলোর মূলত দুইটি প্রান্ত থাকে।একটি পানিতে দ্রবণীয় লেজ ও পানিতে অদ্রবণীয়…

Read More

আমাদের দৈহিক কাজকর্ম বজায় রাখতে হরমোন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।হরমোন মূলত রাসায়নিক উপাদান যা এক বা একাধিক কোষ থেকে নিঃসৃত হয়ে দেহের অন্য কোষের উপর ভূমিকা রাখে। অবস্থানের উপর ভিত্তি করে হরমোন তিন প্রকার।১.লোকাল হরমোন২.সাধারণ হরমোন৩.ট্রপিক হরমোনলোকাল হরমোনের মধ্যে আছে গ্যাস্ট্রিন, সিক্রেটিন, কোলেসিস্টোকাইনিন ইত্যাদি।সাধারণ হরমোনের মধ্যে আছে বৃদ্ধি হরমোন, থাইরয়েড হরমোন, ইনসুলিন ইত্যাদি।আর ট্রপিক হরমোনের মধ্যে আছে থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন, ফলিকল উদ্দীপক হরমোন, ল্যুটিনাইজিং হরমোন, এড্রেনোকর্টিকোট্রফিক হরমোন। আবার রাসায়নিক ধরনের উপর ভিত্তি করেও হরমোন তিন প্রকার।১.স্টেরয়েড হরমোন২.প্রোটিন বা পেপটাইড হরমোন৩.টাইরোসিন নামক এমিনো এসিড থেকে উদ্ভূত হরমোন।স্টেরয়েড হরমোনের মধ্যে রয়েছে এলডোস্টেরন, করটিসল, এনড্রোজেন, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, টেস্টোস্টেরন ও ১,২৫ – ডাইহাইড্রোক্সি…

Read More

আমাদের অতি পরিচিত একটি শব্দ হলো ইনসুলিন।ডায়াবেটিস রোগী ইনসুলিন নেয়- ইনসুলিন সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগের জ্ঞান এতটুকুই।এই লেখাটি পড়ার পর আশা করি ইনসুলিনের ব্যাপারে আমাদের ধারণা অনেকটা স্পষ্ট হবে। ইনসুলিন মূলত একটি হরমোন যেটি অগ্ন্যাশয় থেকে ক্ষরিত হয়।আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ইনসুলিন একটি পলিপেপটাইড হরমোন যেখানে এমিনো এসিডের দুইটি চেইন(A ও B) থাকে।এই চেইন দুটি ডাইসালফাইড ব্রিজ দ্বারা যুক্ত থাকে।এখানে ৫১টি এমিনো এসিড থাকে যার ২১টি থাকে A চেইনে এবং ৩০টি থাকে B চেইনে।ইনসুলিনের মূল কাজ হলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমানো।ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে গ্লুকোজ যেহেতু বেড়ে যায় তাই তাদেরকে ইনসুলিন দেয়া হয়।এতে করে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে।আমাদের শরীরে ইনসুলিন নির্ভর টিস্যু…

Read More

আমাদের মুখমন্ডল আমাদের প্রত্যেকের কাছেই ভীষণ স্পর্শকাতর।মুখটা সুন্দর রাখতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।তবে প্রত্যেক মুখই কিন্তু সুন্দর।কারণ তা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি।আমাদের মুখের গঠন নিয়েই আজ কথা হবে। আমাদের মুখমন্ডলে তিন ধরনের মাসল থাকে।১.চোখের চারপাশের মাসল২.নাকের মাসল৩.মুখের মাসল (ঠোঁট ও গাল)চোখের চারপাশে আবার তিন ধরনের মাসল থাকে-১.অরবিকুলারিস অকুলি২.লিভেটর পালপিব্রা সুপিরিয়রিস৩.করুগেটর সুপারসিলিনাকেও থাকে তিন ধরনের মাসল-১.প্রোসেরাস২.ন্যাজালিস৩.ডিপ্রেসর সেপটিআর মুখে থাকে সাত ধরনের মাসল-১.অরবিকুলারিস অরিস২.লিভেটর মাসল৩.জাইগোমেটিকাস মাসল৪.ডিপ্রেসর মাসল৫.রাইসোরিয়াস৬.মেনটালিস৭.বাক্সিনেটরএই মাসলগুলো আমাদের বিভিন্ন মুখভঙ্গিতে অংশগ্রহণ করে থাকে।যেমন-★হাসির এক্সপ্রেশনে সাহায্য করে জাইগোমেটিকাস মাসল।★কান্নার এক্সপ্রেশনে সাহায্য করে লিভেটর ল্যাবাই সুপিরিয়রিস, লিভেটর এঙ্গুলি অরিস,ডিপ্রেসর এঙ্গুলি অরিস এবং জাইগোমেটিকাস মাসল।★রাগান্বিত মুখভঙ্গি দিতে সাহায্য করে ডায়ালেটর ন্যারিস এবং ডিপ্রেসর সেপটিস।এরকম বিভিন্ন মুখভঙ্গিতে…

Read More

আমাদের পাকস্থলী ও ডায়াফ্রামের মাঝামাঝি থেকে যে অঙ্গটি দেহের নানারকম দরকারে কাজ করে যাচ্ছে সে অঙ্গটি হলো প্লীহা।এটি একটি হিমোলিম্ফয়েড অঙ্গ।রেটিকুলো এন্ডোথেলিয়াল সিস্টেমের অন্তর্গত এ অংশটিকে সেকেন্ডারি লিম্ফয়েড অঙ্গও বলা যায়।আমাদের দেহকে সুস্থ ও জীবণুমুক্ত রাখতে এটি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।আজ আমরা প্লীহার কাজ সম্পর্কে জানব। প্লীহার প্রধান কাজ হলো আমাদের রক্তে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত উপাদান থাকলে প্লীহায় সেগুলোর পরিস্রাবণ ঘটানো।এই কাজটি মূলত প্লীহার ম্যাক্রোফেজ কোষ দ্বারা হয়ে থাকে।এতে করে আমাদের রক্তের অপ্রয়োজনীয় উপাদানগুলো রক্ত থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে রক্ত বিশুদ্ধ থাকে এবং আমাদের সংবহন প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে সংগঠিত হয়। প্লীহার গুরুত্বকে আরেকটু বাড়িয়ে এতে থাকা ম্যাক্রোফেজ কোষ।কারণ এই ম্যাক্রোফেজ কোষগুলো অস্বাভাবিক…

Read More

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।এর অর্থ কি? ভিটামিন ডি এর অন্যান্য উৎস কি?এর কাজই বা কি?এসবের উত্তর দিতে আজ থাকছে ভিটামিন ডি এর গল্প। ভিটামিন ডি এর অন্য একটি নাম হলো ক্যালসিফেরল।প্রকৃতিতে এর দুইটি রূপ আছে।ভিটামিন ডি-টু এবং ভিটামিন ডি-থ্রি।ভিটামিন ডি-টু এর অন্য নাম আরগোক্যালসিফেরল।আর ভিটামিন ডি-থ্রি এর অন্য নাম হলো কোলেক্যালসিফেরল।ভিটামিন ডি-টু পাওয়া যায় উদ্ভিদে।আর প্রাণীতে থাকে ভিটামিন ডি-থ্রি।যেহেতু ভিটামিন ডি-টু আমরা উদ্ভিদ থেকে পাই,তাই এটি সহজে শোষণ হয়না।এই কারণে পুষ্টিগত দিক থেকে ভিটামিন ডি-টু অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।ভিটামিন ডি-থ্রি তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-থ্রি আমরা দুই ধরনের উৎস থেকে পেয়ে থাকি।একটি হলো বাহ্যিক উৎস,আরেকটি…

Read More

আমাদের দেহের মধ্যে চলে বিপাক প্রক্রিয়া।এই বিপাকের হার সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত না।আজকে বিপাকের হার নিয়ে থাকছে বিস্তারিত। BMR বা Basal Metabolic Rate এর অর্থ হলো মূলগত বিপাকীয় হার।ব্যাসাল কন্ডিশনে একজন ব্যক্তি যে পরিমাণ শক্তি খরচ করেন তাকেই বলা হয় বিএমআর বা মূলগত বিপাকীয় হার।ব্যাসাল কন্ডিশন বলতে বুঝায়-১. ১২ ঘন্টা না খেয়ে থাকা২. পুরো রাত ভালো ঘুম৩. জাগা৪. সম্পূর্ণ মানসিক এবং শারীরিক বিশ্রাম৫. উপযুক্ত পরিবেশের তাপমাত্রা এবং চাপ। এই অবস্থায় যে শক্তি একজন ব্যক্তি খরচ করেন তা মূলত শারীরবৃত্ত্বীয় কাজে ব্যবহৃত হয়।যেমন-1.cardiac activity2.respiratory activity3.renal function4.neural activity5.GIT movement6.temperature regulation7.muscle tone maintenance8.ion transport9.synthesis of enzyme,hormone etc. আমরা যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করি…

Read More

মানুষের শরীর যেন আজব এক কারখানা।আর হৃদপিন্ড, যকৃত, ফুসফুস, প্লীহা এইসব সেই আজব কারখানার এক একটি যন্ত্র।প্রত্যেকের রয়েছে নির্দিষ্ট কাজ,নির্দিষ্ট অবস্থান।বিশেষত এদের নির্দিষ্ট অবস্থানগুলো এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে নির্দিষ্ট অবস্থানের একটু হেরফেরেই দেখা দেয় নানারকম শারীরিক জটিলতা।প্লীহার অবস্থানও এর ব্যতিক্রম নয়।দেহে প্লীহাও একটি নির্দিষ্ট জায়গা জুড়ে থাকে এবং নির্দিষ্ট কাজে অংশগ্রহণ করে।আজ আমরা মানবদেহে প্লীহার অবস্থান নিয়ে জানব। প্লীহা মূলত আমাদের দেহের উদর অঞ্চলে অবস্থান করে।উদরের একেবারে উপরে একটু বামদিকে এর অবস্থান।আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, পাকস্থলীর ফানডাস এবং মধ্যচ্ছদার মাঝামাঝি এর অবস্থান।পাকস্থলীর ফানডাস ও মধ্যচ্ছদা সম্পর্কে যারা পরিচিত নয়,তাদের ক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি- আমাদের পাকস্থলীর রয়েছে তিনটি অংশ:১.ফানডাস২.দেহ৩.পাইলোরিক অংশপাকস্থলীর যে…

Read More

আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে,খাবার চাবানোর ক্ষেত্রে সহায়ক একটি অংশ হচ্ছে জিহ্বা।জিহ্বা মূলত মাংসল একটি অঙ্গ যা মিউকাস পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে।জিহ্বায় রয়েছে নানারকম অংশ।যেমন-১.সামনের অংশ২.পিছনের অংশ৩.উপরের অংশ৪.নিচের অংশ৫.দুইটি পাশের অংশ জিহ্বার সামনের অংশটি আমাদের ইনসিসর নামক দাঁতের সংস্পর্শে থাকে।আর এর পিছনের অংশের সংস্পর্শে থাকে আলজিহ্বা।জিহ্বার উপরের অংশ আবার দুই ভাগে বিভক্ত।সামনের দুই তৃতীয়াংশ আর পেছনের এক তৃতীয়াংশ। সামনের দুই তৃতীয়াংশে প্রচুর প্যাপিলা বা ছোট ছোট প্রবর্ধন থাকে।আমরা খালি চোখেই তা দেখতে পারি।আর পেছনের এক তৃতীয়াংশ আবার তিন ভাগে বিভক্ত থাকে।*মিউকাস*সাবমিউকাস*মাসলএই অংশে লিঙ্গুয়াল টনসিল নামের প্রবর্ধন থাকে।জিহ্বার নিচের অংশ মসৃণ এবং এখানে কোনো প্যাপিলা থাকেনা। এবার স্বাদকুঁড়ির কথায় আসা যাক। Taste…

Read More