ভিটামিন ডি কেন দরকারি?

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।এর অর্থ কি? ভিটামিন ডি এর অন্যান্য উৎস কি?এর কাজই বা কি?এসবের উত্তর দিতে আজ থাকছে ভিটামিন ডি এর গল্প।

ভিটামিন ডি এর অন্য একটি নাম হলো ক্যালসিফেরল।প্রকৃতিতে এর দুইটি রূপ আছে।ভিটামিন ডি-টু এবং ভিটামিন ডি-থ্রি।ভিটামিন ডি-টু এর অন্য নাম আরগোক্যালসিফেরল।আর ভিটামিন ডি-থ্রি এর অন্য নাম হলো কোলেক্যালসিফেরল।ভিটামিন ডি-টু পাওয়া যায় উদ্ভিদে।আর প্রাণীতে থাকে ভিটামিন ডি-থ্রি।যেহেতু ভিটামিন ডি-টু আমরা উদ্ভিদ থেকে পাই,তাই এটি সহজে শোষণ হয়না।এই কারণে পুষ্টিগত দিক থেকে ভিটামিন ডি-টু অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।ভিটামিন ডি-থ্রি তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন ডি-থ্রি আমরা দুই ধরনের উৎস থেকে পেয়ে থাকি।একটি হলো বাহ্যিক উৎস,আরেকটি অভ্যন্তরীণ উৎস।বাহ্যিক উৎস বলতে মূলত প্রাণীজ উৎস থেকে পেয়ে থাকি।যেমন-মাছ,মাছের তেল,ডিম,যকৃত,দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ইত্যাদি।
আর অভ্যন্তরীণ উৎসের ক্ষেত্রে বলা যায়- আমাদের দেহই এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে।
ভিটামিন ডি-থ্রি অর্থাৎ, কোলেক্যালসিফেরল তৈরী হয় ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল থেকে।এই ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল থাকে আমাদের ত্বকে।সূর্যের আলো আমাদের ত্বকে পড়লে এটি কোলেক্যালসিফেরলে পরিণত হয়।

আমাদের দেহে ভিটামিন ডি নানারকম কাজে অংশগ্রহণ করে।এটির মূল কাজ হলো দেহে সেরাম ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।এছাড়াও এটি ফসফেটের পুনঃশোষণ বৃদ্ধি করে।হাড়কে শক্তিশালী করতেও এর ভূমিকা রয়েছে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে ছোটরা রিকেটস এবং বড়রা অস্টিওম্যালেসিয়া রোগে ভুগে থাকে।তাই সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করা জরুরী।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Comment