Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

My name is Mahazabin Sharmin Priya, and I am an author who studied Mathematics at the National University. I have a deep passion for writing in various genres, including Islam, technology, and mathematics. With my knowledge and expertise, I strive to provide insightful and engaging content to readers in these areas.

আমি আর ফিরবো না,এই যে আমাকে ঘর থেকে বের করে চৌকির উপর শোয়ানো হলো,এই শেষ দুনিয়ার আরামের জীবন।আমি আর ফিরবো না।তুমি কেঁদেকেটে অস্থির হয়ে যাবে,আমি আর তোমার চোখের জলমুছে দিতে পারবো না।আমার স্মৃতিরা তোমাকে ঘিরে ফেলবে, আমার স্মৃতির কারাগারেবন্দি থেকে তুমি ছটফট করবে,এই কারাগার আর কখনও খুলবে না।নোনতা জলে ভেজা চোখবোবা আর্তনাদে ক্ষয়ে গেলেওপ্রতিবাদের ঝড় তুলবে হৃদয়।ছিন্নভিন্ন হৃদ-গহীনেআনাড়ি হাতে কষ্ট আঁকবেনিকষ কালো মেঘ।প্রিয় ডায়েরীর হারানোকোনো একটি পাতার মতোআমিও হারিয়ে যাব।আর কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! writer: Mahazabin Sharmin Priya

Read More

যান্ত্রিক শহরের বিশ্রী কোলাহলধ্বনি নির্জনতাকে ভুলিয়ে দেয়। আরও ভুলিয়ে দেয় নিজেকে নিয়ে ভাবতে। অন্যকে নিয়ে অযথা ভেবে মূল্যবান সময়গুলোকে আমরা বন্যার স্রোতে ভাসিয়ে দিই। যেমন ভাসিয়ে দিতাম ছোটবেলায় কলাগাছের খোলস কেটে বানানো নৌকাকে। ছেলেবেলার সেই মজার স্মৃতিগুলো মাঝেমধ্যেই মনে এসে খানিকটা সুখের হাওয়া বইয়ে দেয়। বাচ্চাকালের সেই স্মৃতিগুলো মনে হলে আপনার ঠোঁটে মৃদ্যু হাসির রেখা ফোটে না? আমি জানি, নিশ্চয়ই ফোটে। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে সেই স্বর্ণালি দিনগুলোতে। চলুন না হারিয়ে যাই! মন খারাপের দিনগুলোতে আপনার মন ভালো করার জন্য কারো সহায়তা নিবেন না। কোনো সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে নিজেই নিজের সঙ্গী হোন। এত কঠিন করে বললাম আপনারই ভালোর…

Read More

প্রথমে কুদৃষ্টি সম্পর্কে দু’টি ঘটনা জেনে নিই। এর পর আমরা এই বিষয়টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানবো। ঘটনা-১:ফিংকাপরট নামক একুশ বছর বয়সী এক যুবক ছিল। সে আশ্চর্য ধরণের ক্ষমতার অধিকারী ছিল। তার চোখে এক বিশেষ গোপন রহস্য পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা উহার তত্ত্ব উৎঘাটনে লিপ্ত হল। স্টিফেনের চোখ থেকে অদৃশ্য রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়ে যার উপর প্রতিফলিত হতো তা খতম হয়ে যেত। স্টিফেন একটি বন্ধ দরজার উপর শুধুমাত্র কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। এতেই দরজা টুকরা টুকরা হয়ে গেল। অনুরূপভাবে সে কোনে একটি খুঁটির দিকে কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকায় উহাতে ফাটল ধরলো। সে আরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে উক্ত খুঁটি ভেঙ্গে পড়লো।[তথ্যসূত্র:…

Read More

১.-“ধুরো মামা! কিল্লায় যে মেহেজাবীন এর লগে হুদাই ঝামেলা করছিলাম। আর মাইয়াডাও ব্রেক আপ কইরা দিল! সেই ৫ বছর থাইকা মোর আর কোনো প্রেমই টিকতেছে না। এর পর কতগুলো মাইয়ার লগে প্রেম হইলো হিসেব ছাড়া। লাস্ট একবছরে ১৫+ প্রেম হইছে রে। একটাও টিকে নাই। আইজ আবার লিসা ব্রেক আপ করছে। মাথাটা কেমনে ঠিক থাকে তুই ক দেখি? ছেলেটার এহেন কথাবার্তায় যখন সবাই তার দিকে পাশ ফিরে তাকাচ্ছিল, তখনই বোধ হয় ছেলেটার একটু টনক নড়লো। সে ধপাস করে আমাদের সামনের সীটে আয়াজের মুখোমুখি হয়ে বসলো। গলা নামিয়ে এবার বেশ ভদ্র সুরে বলতে শুরু করলো, -এই যে এত প্রেম করলাম। মেহেজাবীনের মতো…

Read More

-বোন, তুমি আমার স্বামীকে বিয়ে করো। -হেই নূহা! আর ইউ ম্যাড? হাউ ইজ ইট পসিবল? আমার হাজবেন্ড আছে। সে এখন বিদেশে। আর সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট কথা হচ্ছে, হি ইজ এ মিলিওনেয়ার। বাট রাফানের তো এত টাকা নেই। ও আমার সাথে শপিং এ বের হলে আমাকে মাত্র ৩টা ড্রেসই কিনে দিতে পারে না, হা হা হা! বাট রাফান ইজ এ ভেরি স্মার্ট এন্ড চার্মিং বয়। তাকে ভালবাসা যায়, বাট বিয়ে! ঊফ! নো ওয়ে। -তাহলে, তোমরা কি এভাবেই বেপরোয়া হয়ে ঘুরবে শুধু! আই মীন জাস্ট টাইম পাসিং? -ইয়াহ্, বেইবি! এইতো বুঝেছো। আর এটাতে কি আর প্রবলেম? কাম অন ডিয়ার, ইট’স এ নরমাল ম্যাটার।…

Read More

কবিতা:” অন্য তুমি” তোমার ওষ্ঠাধরের হাসিতেবিষাদের মেঘ কেটেরাতের নীলিমায় হাতছানি দেয়উদ্ভাসিত পূর্ণিমার একখানি বিশাল চাঁদ। সেই চাঁদ বেয়ে নেমে আসাস্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ফোয়ারায়ভিজে উঠে তোমার মায়াবী বদন।ঐ বদনে কোনো ক্লান্তি নেই,ললাটে নেই কোনো দুশ্চিন্তার ছাপ!হঠাৎ দেখে মনে হয় যেনসুখের নদীতে ভেসে চলাবিলাসী নৌকোর এক পরিতৃপ্ত পাল। কিন্তু! এ-কী?তোমার চোখের নীচে সাজিয়ে রাখাঅনিদ্রার শোকচিহ্ন আমার ভাবনারজানালায় উঁকি দিয়ে হেসে যায়।বিদ্রুপের হাসি হেসেআমার চেতনাকে জেগে তোলে।আমি লক্ষ্য করি,তোমার নয়নদ্বয়ের অভয়ারণ্যেমুখ থুবড়ে পড়ে আছেব্যাথার অনলে পুড়ে যাওয়াকিছু কাঠগোলাপ আর শিউলীফুল। ভাল থাকার প্রামাণ্য ছায়াছবিতেতুমি ঠোঁটের হাসি, মুখের অবয়বেতোমার ভিতরের আসল তুমিটাকেঢাকতে এত ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলে যে,দু’চোখ ঢাকা কষ্টের করাল মেঘটাআর সরাতে পারোনি।আমি তা দেখে…

Read More

“মাম্মাম, বাপী কবে আসবে? আমার ড্রয়ারটাতো ভর্তি হয়ে গেল চিঠিতে। বাপী কবে আমার সব চিঠি পড়বে?”__সূহা আমার মধ্যমা আঙ্গুল আলতো হাতে ধরে নাড়া দিচ্ছিল। যেমনিভাবে বাচ্চারা কিছু একটার বাহানা করে। আমি শেষ বিকেলের আকাশটা দেখছিলাম। মৃদুমন্দ বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছিলো আমায়। নীলিমার সব রং ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আকাশে রাজত্ব করছে শুধুই ধূসর মেঘ। আকাশ তার মোহনীয় রুপে মেঘেদের সাজিয়ে রেখেছে। মনে হচ্ছে, গগন-হৃদয়ে বারীশের আবির্ভাব শুরু হবে খানিক পরেই। হোক না শুরু ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। কতদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। শেষবার আয়ানের সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম, সেই কয়েক বছর আগে। বৃষ্টি আয়ানের খুব পছন্দের ছিল। বৃষ্টি হলেই সে পাগলের মতো আমাকে নিয়ে ছাদে…

Read More

এই পৃথিবীটাই তো চিরকাল থেকে যাবার জায়গা নয়। কেউ আসবে তো কেউ চলে যাবে, আবার বিপরীতটাও ঘটবে__এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। প্রকৃতি পূর্ণতা পছন্দ করে, শূন্যতা নয়। কেউ চলে গেলে সেই শূন্য জায়গা অন্য কেউ না কেউ এসে পূরণ করবেই। চলে যাওয়া আর নতুন কেউ আসা,এই দু’য়ের মধ্যবর্তী সময়টাতে আত্মনিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।আবেগের মাত্রার আধিক্যের কারণে আপনার জীবনে ঘটতে পারে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আবেগের বশে, সেটা আপনি নিজেই ঘটাতে পারেন যা একেবারেই অযৌক্তিক। কেননা এই সময়টাতে মানুষ বাস্তবতা বুঝতে চায় না। বাস্তবতার উপর আবেগটাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলে। একটা সম্পর্ক থাকাকালীন তো দু’টো মানুষকে নিয়ে ভাবতে হতো। এবার আসুন না, নিজেকে নিয়ে…

Read More

শত্রুও কিভাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হবে? “ও কি আমার সাথে ভাল ব্যবহার করে, যে আমি ওর সাথে ভাল ব্যবহার করব?”__আমরা অনেকেই রাগের বশে এসব কথা বলে ফেলি। কেউ আমাদের সাথে অন্যায় করলে আমাদের জিদ চেপে যায়। আমাদের ইগোতে আঘাত লাগে। আর আমরা সেটা সহ্য করতে পারিনা। তাতে কি হয়, বলুন তো? প্রথমত, ঐ মানুষটার সাথে কথা বলা বন্ধ হয়। তারপর আসে হিংসা,অহংকার,বিদ্বেষী মনোভাব আরও কত কি! এগুলোর প্রভাব আমাদের শরীরে পড়ে। নিজেদের মনের শান্তিও নষ্ট হয়। আমাদের আবেগ দ্বারা আমরা আসলে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আপনার প্রশ্ন হতে পারে, তবে আমার কি করা উচিত?আসুন আপনাকে একটা সুকৌশল শিখিয়ে দিই। যেটা এপ্লাই…

Read More