💟কিভাবে কাটাবেন মাহে রমযানঃ বয়ানঃ শাইখুল ইসলাম মুফতী তাকী উসমানী (দাঃবাঃ) সংকলন ও অনুবাদঃমুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক রমযান মাস আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক মহান নেয়ামত। এ মাসের প্রকৃত মর্যাদা ও তাৎপর্য আমরা উপলব্ধি করব কিভাবে? আমরা তো দিন-রাত দুনিয়ার কাজে নিমগ্ন থাকি। সকাল থেকে সন্ধ্যা দুনিয়ার পিছনে ছুটি। বস্তুবাদের ফাঁদে আমরা আটকে গেছি। তাই আমরা কিভাবে বুঝব রমযান কী? আল্লাহ যাদেরকে অনুগ্রহ করেন, রমযানের নূর ও বরকত ধারা যারা বুঝেন, তারাই উপলব্ধি করেন এ মাসের প্রকৃত মর্যাদা। আপনি নিশ্চয় শুনে থাকবেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজবের চাঁদ দেখার পর থেকেই পাঠ করতেন এ দোয়াاللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْ…
Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া
পৃথিবীর বৃহত্তম ফুল “র্যাশফ্লেশিয়া” আবিষ্কারের কাহিনী জানুন। পৃথিবীর বৃহত্তম ফুলটির নাম র্যাশফ্লেশিয়া। সমুদ্রবেষ্টিত সুমাত্রা দ্বীপে এটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল। এ ফুলটি আবিষ্কার ও নামকরণের পিছনে সুন্দর একটি কাহিনি প্রআলিত রয়েছে। অতিকায় এ ফুলটির রঙ এমন কিছু আকর্ষণীয় নয়। আবার গন্ধের বিচারেও এরা সমাদর পাওয়ার যোগ্য নয়। তবুও একমাত্র বৃহত্তম ফুল বলেই এর আবিষ্কারের সঙ্গে পৃথিবীর উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তুমুল সাড়া পড়ে গিয়েছিল। তবে আকৃতির বিচারে ফুলটি আলোড়ন সৃষ্টি করার মতোই বটে। একটি ফুলের ব্যাস পুরো দুই হাত বা তিন ফুট, কল্পনা করা যায়? পৃথিবীর বৃহত্তম এই ফুলটির আবিষ্কারের কাহিনি মোটামুটি এরকম-আজ থেকে প্রায় একশ’ আশি বছর আগে সুমাত্রা দ্বীপের শাসনকর্তা…
মসলিন বিলুপ্ত প্রায় হয়ে যাবার কারণ কী ছিল? তার আগে জেনে নিই, মসলিন কবে এসেছিল। খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচশ অব্দ থেকেই পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের কাছে মসলিনের বিশেষ কদর ছিল। কেবল মসলিনই নয়, ভারতের সুতি বস্ত্র ভারতের বাইরে রপ্তানি করা হত। তখন ভারতীয় মসলিন যে মিশরেও যথেষ্ট সমাদর পেত তার প্রমাণ মেলে মিশরের ফ্যারাও এর মৃতদেহ ভারতীয় মসলিন ব্যবহার করে মমি করা হয়েছিল, প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রীক দার্শনিক হেরোগেটাস এর প্রবন্ধে ভারতীয় মসলিন কথা বার বার উল্লেখ দেখা যায়। মসলিন গুণগত মান পরীক্ষা করার একটি চমৎকার উপায়ও ছিল। হাতের আংটির ভেতর দিয়ে পুরো কাপড়টি যদি টেনে বের করে নেয়া যেত, তবেই…
🍀 ঘরে মহিলাদের ইতি’কাফের ব্যাপারে বিস্তারিত নিয়ম কানুন যারা জানতে চান তাদের জন্য এই লিখা- #ই’তিকাফ অর্থ হচ্ছে, অবস্থান করা, বিচ্ছিন্ন হওয়া, নিঃসঙ্গ হওয়া৷ বান্দা ই’তেকাফে বসবে একমাত্র আল্লাহ পাকের সঙ্গে সুনিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যে৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।তাই শেষ ১০ রমজান ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়াহ। ◼ রমজানের শেষ ১০ দিন সুন্নত ইতেকাফ করতে চাইলে সুন্নত ইতেকাফের নিয়ত করে ২০ রমজান সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বেঅর্থাৎ মাগরীব হবার পূর্বেই ইতেকাফের স্থানে অবস্থান গ্রহণ করতে হবেএবং ঈদের চাঁদ উঠলে ইতেকাফ শেষ হবে।(মাগরীব হয়ে গেলে তারপর নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করলে সুন্নত ইতিকাফ হবে না)…
আম আবিস্কারের কাহিনি সমন্ধে জানতে পড়ুন। আম অমৃত ফল নামে পরিচিত। কেউ কেউ একে ফলের রাজা বলেও অভিহিত করে থাকেন। আমের ইংরেজি নাম “ম্যাঙ্গো”। এটি দক্ষিণ ভারতের মাঙ্গা শব্দ থেকে এসেছে বলে অনুমান করা হয়। তবে কি আমের জন্মভূমি প্রাচীন ভারতবর্ষে? উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে কিন্তু আমের জন্মভূমি ভারতবর্ষ নয়, মালয় দ্বীপ পুঞ্জে। আমকে তাঁরা নামকরণ করেছেন ম্যাঙ্গোফেরা ইন্ডিকা। ভারতবর্ষের আমের কথা প্রথম উল্লেখ দেখা যায়, আলেকজান্ডারের দিনলিপির পাতায়। খ্রীস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে তিনি নাকি সিন্ধু উপত্যকায় গাছে গাছে পাকা আম ঝুলে থাকতে দেখেছিলেন। পরবর্তীকালে আমের স্বাদ ও গুণাগুণের কথা জানতে পেরেছেন চীন পর্যটক হিউয়েন সাঙ ৬৪০ খ্রীস্টাব্দে। সেই সময় তিনি আমকে…
চারদিকে এত কষ্ট কেন বলতে পার?কলিজা পোড়া ঘ্রাণে আজ ধরণী মাতোয়ারা,জ্যোৎস্নার শুভ্রতায় কালো মেঘের আগমনে শশীর অভিমান,ওপাশের বাড়িতে অবহেলায় পড়ে থাকে বৃদ্ধা বেচারি। চারদিকে এত কষ্ট কেন বলতে পার?রাতাজাগা চাতক পাখির বিরহী সুরে রাত্রি ভার,প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে এসেছে শিথিলতা,সন্তানহারা মায়ের অশ্রু ভেজা আঁচলে কতশত হাহাকার। চারদিকে এত কষ্ট কেন বলতে পার?বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত বাবা, ছেলেমেয়ের বায়না পূরণে অক্ষম মা,নিয়তির যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সংসারে অশান্তি। চারদিকে এত কষ্ট কেন বলতে পার?সাতাশ পেরিয়ে যাওয়া যুবতী মেয়েটা প্রতিনিয়ত গলাধঃকরণ করে পড়শিদের খোঁটা,মধ্যবিত্তের বোঝার ভারে নূহ্য পরিবারের সদস্য,বাতাসে ভেসে আসে ধর্ষিতা মেয়ের আর্তচিৎকার। চারদিকে এত কষ্ট কেন বলতে পার?সুদের টাকার প্রভাবে হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছেলেটা…
আমি কিছুই ভুলিনি, প্রিয়মআপনার দেয়া যত কথা,মন ভুলানো আপনার সেই হাসি,চোখের তারায় লুকোনো দুষ্টুমি,আমার রাগান্বিত চেহারার দিকে আপনার আড় চোখের দৃষ্টি। আমি কিছুই ভুলিনি, প্রিয়মমাঝ রাতে ঘুম ভাঙিয়ে চোখে চোখ রাখার বায়না,তাহাজ্জুদে উঠতে দেরি হলেগ্লাসে রাখা পানিতে মুখ ভিজিয়ে দেয়া,মুনাজাতে আমাকে আরো বেশি ভালোবাসবার আপনার যে আকুতি, তা আমি কী করে ভুলি? আমি কিছুই ভুলিনি, প্রিয়মআমার হালকা জ্বরে আপনার অস্থিরতা,রাত জেগে হাত ধরে বসে বসে চোখের জল ফেলা,শুধু আমারই জন্য আপনার নিয়মতান্ত্রিক জীবনে অনিয়মের পাবন্দি। আমি এ জীবনে কীভাবে ভুলতে পারি? আমি কিছুই ভুলিনি, প্রিয়মএকসাথে চা পানে হঠাৎ উঠে গেলে, আমার কাপে দেয়া আপনার চোরা চুমুক।রোজ সকালে ঘুম জড়ানো কন্ঠে…
বিশ্বের আশ্চর্যতম যাদুঘর ও অবিকল মানুষরূপী মূর্তি সমন্ধে আশ্চর্য তথ্য জানুন। বিশ্বের বৃহত্তম ও আশ্চর্যতম যাদুঘর লন্ডন শহরে মেরিলিবোর্ন রাজপথের মাদাম মাদাম মেরী তুঁসোর মোম যাদুঘর। বিশ্বের বিখ্যাত ও কুখ্যাত নর-নারীদের মূর্তি প্রদর্শনের জন্য রক্ষিত আছে। হল অব ফেম নামক বিশালায়তন একটি কক্ষে এদের আশ্চর্য ভঙ্গিমায় এক একটি মূর্তিকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ‘ট্যাবলোর ছাঁচে সাজানো’। যেমন ধরা যাক- হিটলার, মুসোলিনি, কেনেডি, ক্রুশ্চেভসহ প্রভু কার নাম আমাদের জানা নেই? আরও আছে। তাদের দাঁড়ানোর ভাবভঙ্গি, মুখের ভাব, পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে দৈহিক উচ্চতা পর্যন্ত সব দিক থেকেই সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। প্রথমবার চোখ বুলিয়ে দেখেই দর্শককে সচকিত…
কখনো কি মনে পড়ে?শেষ কবে ডেকেছেন আমার নাম ধরে?গুঁজে দিয়েছেন ফুল আপনার প্রিয়ার শূন্য খোপার ভাঁজে? কখনো কি মনে পড়ে?শেষ কবে মুছে দিয়েছেন আমার আঁখির উপচে পড়া দুঃখ?জানতে চেয়েছেন কেন এত কাঁদে সে, কিসে তার সুখ? কখনো কি মনে পড়ে?শেষ কবে রসিকতা করে রাগিয়েছিলেন আমাকে?রাগ ভাঙাতে আইসক্রিম এনে মাখিয়ে দিয়েছিলেন মুখে। কখনো কি মনে পড়ে?শেষ কবে রেখেছিলেন চোখ আপনার প্রেয়সীর চোখে?শেষ কবে আবৃত্তি করেছি কবিতা একসাথে দুজনে? কখনো কি মনে পড়ে?শেষ কবে রেখেছিলেন হাত আমার মেহেদি রাঙা হাতে?শেষ কবে হেঁটেছি দুজন জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে? কখনো কি মনে পড়ে?শেষ কবে পরিয়ে দিয়েছেন নূপুর আমার উদাম পায়ে?শেষ কবে হেসে কথা হয়েছে আমাদের দুজনাতে?…
টেম্পার টেস্টার যন্ত্রের কাজ কী? মৌমাছির বিষ হুলকে ভয় করে না, এরকম লোকের জুড়ি মেলা ভার। শত্রুর সুতীক্ষ্ণ তরবারিকে মানুষ ভয় করুক আর না-ই করুক মৌমাছির হুলের আঘাতকে তার চেয়ে অনেক বেশি ভয় করে। এখন প্রশ্ন হলো, মৌমাছি হলেই কি আমাদের আতঙ্কের কারণ হবে? না। এক প্রজাতির মৌমাছি দেখা যায়, যারা আপাতদৃষ্টিতে শান্ত। কিন্তু এই শান্ত মৌমাছির শণাক্তকরণের উপায় কী? মৌমাছিকে চেনার অর্থাৎ কে নিরীহ গৃহপালিত মৌমাছি আর কোনটি বা খুনি মৌমাছি তা সনাক্ত করণের জন্য আধুনিক বিজ্ঞান একটি চমৎকার যন্ত্র তৈরি করেছেন। আর সে যন্ত্রটির নাম করণ করা হয়েছে ‘টেম্পার টেস্টার’। যন্ত্রটি নির্মাণ করেছেন এরিক এরিকসন এবং হেওয়ার্ড স্প্যাঙলার।…
উল্লেখিত এই ছবিটি সমন্ধে কেউ জানেন কী? আচ্ছা, জানার কথা বাদ দিলাম। এই ছবিটির দিকে একবার গভীরভাবে তাকান তো! নিজেকে প্রশ্ন করুন, মূর্তিটি কিসের হতে পারে? মূর্তিটির দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে তাকিয়েও যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আপনাকে কিছু ক্লু দিব। এরপরও যদি বুঝতে না পারেন, তবে সর্বেশেষে বিস্তারিতভাবে লেখা থাকবে। সেটি দেখে আপনি স্বচ্ছ ধারণা পাবেন, আশা করা যায়। শৈশবে আপনার- আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল কোথায় ছিল? বাবার কাঁধ বা পিঠ আর মায়ের কোল। কতই না ভালোবেসে তাঁরা আমাদের বড় করেছেন। নিজে হাজারো পরিশ্রম করে আমাদের ঠোঁটে ফুটিয়েছেন তৃপ্তির হাসি। আমাদের চাওয়াগুলোকে পূর্ণতা দিতে তাঁদের কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে,…
ধূসর মনে রংধনু হয়ে এসেছিল তার স্বামীরং তুলিতে সাজানো ছিল তনয়ার জীবনভূমি।খেলুড়ে মেঘের ছোটাছুটিতে মুগ্ধ ছিল তার নয়ন,শিউলি কুড়াতে সিক্ত হতো বনিতার রাঙা চরণ।আরো ছিল তার খেয়ালিপনা ঘুড়ি উড়াবার মতন,পা দুলিয়ে পড়তো বই কাঁদতো আবার ভীষণ।রেগে গেলে হানা দিত সে জামাইয়ের কোঁকড়া চুলে,মেকি রোষে তাকিয়েই জামাই হাসতো প্রাণ খুলে।বাচ্চাসুলভ মেয়েটির মন থাকত সরল সাজেতাইতো পতি করতো না রাগ সায় দিত সব কাজে। বহুদিন বাদে দেখা হলো সেই অপরূপার সাথে,প্রথম দেখায় মুষড়ে গিয়েছি আহত মনোরথে।একি হয়েছে তার?নিমিষেই যেন খুইয়ে গেছে সকল রূপের বাহার!পরনে সাদা থান আর নেইতো নোলক নাকে,চোখের নিচে বসেছে কালি, হাসিও নেই ঠোঁটে। রোয়াকের গ্রিলে কপাল ঠেকিয়েচেয়ে থাকে আকাশ…