আপনি নারী। আপনার আত্ম-সম্মান কেমন হবে? নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম আম্মাবাদ লজ্জা মু’মিন নারীর অলংকার। তাঁর ইজ্জত ও মর্যাদার জামিন। একজন লজ্জাবতী নারী তাঁর পরিবারের জন্য মর্যাদার প্রতীক। নেককার নারী মাত্রই লজ্জাবতী হয়ে থাকে। একজন পবিত্র মু’মিন নারী তার পরিবার ও সমাজের জন্য বরকত ও কল্যাণ এর কারণ। ইসলামী সংস্কৃতি ও সভ্যতায় নারী হলো পরিবার রাজ্যের রানী।একেকজন মুসলিম নারী একেকটি পরিবারের আলোর প্রতীক। তার প্রিয়তম স্বামীর স্বপ্নের রাজকুমারী। পরিবারের রাজ্যপাঠ গোছানোর দায়িত্ব তাঁর। ইসলাম কখনও নারীকে মঞ্চের বেহায়া নর্তকী কিংবা জনসমাবেশে পুরুষের মনোরঞ্জনকারী অথবা পণ্যের মোড়কে সস্তা বিজ্ঞাপন রূপে দেখে না। নারীকে লাঞ্চিত ও অপদস্থ জীবনের পথ দেখিয়েছে পাশ্চাত্য…
Author: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া
❝কুরআনপ্রেমী এক মেয়ে এবং ফেরেশতাদের কান্না…❞ উপসাগরের পার্শ্ববর্তী কোন এক দেশে, একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে একটি মেয়ে পড়তো। মেয়েটি কুরআন কারীমকে খুবই ভালোবাসতো। সারাক্ষণই কুরআন কারীম তিলাওয়াত করতো। তার ভ্যানিটি ব্যাগে সবসময় একটা ছোট কুরআন কারীম থাকতো। সুযোগ পেলেই তিলাওয়াত করতো। বাসে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতো। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠেও কুরআন তিলাওয়াতে বসতো। তার তিলাওয়াতও ছিলো খুবই মিষ্টি-মধুর। পাষাণ হৃদয় ব্যক্তির মনটাও ভিজে উঠতো তিলাওয়াত শুনে। তার তিলাওয়াতে অভূতপূর্ব এক আকর্ষণ ছিলো। এভাবে দিন কাটছিলো। একবার মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লো। অবস্থা ক্রমশঃ অবনতির দিকে যাচ্ছিলো। দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলো। কয়েকদিন পর মেয়েটা ইন্তিকাল করলো। দুঃখিনী মা শোকে…
ডিয়ার সিস্টার্স আন্ড ব্রাদার্স, আল্লাহমুখী হোন। সমস্ত এক্সপেকটেশন শুধু আল্লাহর প্রতি রাখুন। কারণ আপনার রিজিক, খাবার, জামা, সুস্থতা, সম্পদ, উত্তম নেককার স্বামী, নেককার সন্তান, বাবা-মায়ের সন্তুষ্টি, সুন্দর সুখের সংসার, আপনার প্রতি আপনার স্বামীর ভালবাসা, যত্ন, আর্থিক সহায়তা, আপনার বাসস্থান, আপনার মনের শান্তি সব কিছু একদম সব কিছু আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে, আপনার স্বামী থেকে না, একটা সরষে দানা পরিমাণ কিছুই আপনার স্বামী থেকে আসে না। আসে আল্লাহর তরফ থেকে, যে মেয়ের জামাই নাই সেই মেয়েও একজন বিবাহিতা মেয়ের মত খাওয়াদাওয়া করছে, জামাকাপড় পরছে, বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছে, হাসির কারণে হাসছে, দুঃখের কারণে কাঁদছে। আল্লাহ আপনার তাকদিরে যা লিখে রেখেছেন,…
শীত চলে এসেছে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার দরুন ত্বক ও চুলের জন্যও চাই বাড়তি যত্ন। কারণ এই সময় চুল পড়ার প্রকোপ বেড়ে যায়, মাথায় চিরুনি চালালেই উঠে আসে মুঠো ভর্তি চুল। এছাড়া, খুশকি, চুলের আগা ফাঁটা থেকে শুরু করে চুল হয় রুক্ষ। চুল ভালো রাখতে চান? জেনে নিন কিছু টিপস। ১। প্রথমত, চুল ভালো রাখতে আপনাকে নজর দিতে হবে আপনার খাবারের প্রতি। আপনার শরীরে পুষ্টিমান বজায় থাকলে চুলও হয়ে উঠবে সুন্দর। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন সবধরণের ফল ও লাল, সবুজ শাক ও সবজি। এই শীতে টাটকা ফল থেকে শুরু করে নানা রকমের সবজি অহরহ পাওয়া যায়। আপনাকে ডে টু ডে…
ব্যাঘ্র প্রকল্প গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা কি? মানুষের শত্রু যেমন বাঘ তেমনি বাঘের সবচেয়ে বড় শত্রু মানুষ। মানুষ শিকারের নেশা, উন্মাদনায় এবং সুদৃশ্য ও মূল্যবান চামড়ার লোভে বন্দুক কাঁধে ঘুরে বেড়ায় বনের আনাচে-কানাচে, নির্বিচারে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করে বনের সৌন্দর্যের অপরিহার্য উপাদান বাঘকে। সুন্দরবনের ডোরাকাটা বাঘ সবচেয়ে বেশি সুন্দর হলেও পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের বাঘ আমাদের দৃষ্টি কম আকর্ষণ করে না। বনের বাস্তু রীতির ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ রাখার ও তাগিদেও বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্ব কম নয়। অতএব বনভূমিতে বাঘের সংখ্যা যাতে কমে না যায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া সব দেশের পক্ষে আজ অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ভারতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গেছে…
বেশিক্ষণ ছোটার পর পা ব্যথা করে কেন? বেশিক্ষণ ছোটাছুটি করলে পা ব্যথা করে। অনেকদিন পর খেলাধুলা করলেও অনভ্যাসে গা পায়ে হাতে প্রচন্ড ব্যথা হয়। নিয়মিত যারা খেলে বা ব্যায়াম করে তাদের কিন্তু এই ধরনের অভিজ্ঞতা ব্যথার অভিজ্ঞতা কম। এর কারণ কি? খেলাধুলার সময় শক্তি লাগে বেশি। এইজন্য অক্সিজেনের সাহায্যে বেশি গ্লুকোজ দহন করা দরকার। বাড়তি অক্সিজেন যোগানোর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। কিন্তু যত দেবে তত নেবে – তা তো নয়। ফলে শরীরের অক্সিজেন নেওয়ার ক্ষমতারও একটা সীমা আছে। অক্সিজেনের বয়ে নিয়ে কোষে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব রক্তের শ্বাস কণিকা হিমোগ্লোবিনের। হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা কিন্তু নির্দিষ্ট। তাই একটা সময়ের পরে রক্তের আর…
কুমেরুতে স্তন্যপায়ী প্রাণী বাস করে না কেন? কুমেরু দেশটি আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচিত। সেখানকার এস্কিমোদের জীবনযাত্রা এবং সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে কুকুর এবং বর্গা হরিণের টানা স্লেজ গাড়ি এবং অতিকায় সব প্রাণীদের কথা অল্পবিস্তর অনেক আগে থেকেই জানি আমরা। বিভিন্ন অভিযাত্রী দল তাদের অভিযানের সারগর্ভ অমূল্য ভ্রমণ বৃত্তান্ত আমাদের উপহার দিয়েছেন তা-ই তাদের সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান লাভের মাধ্যম। কিন্তু সুমেরু? মহাদেশ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু এখনো আমাদের কাছে আজও তেমন পরিচিত হয়ে উঠতে পারেনি। এখানে কুমেরু থেকে অনেক পুরু বরফের আস্তরণে দেশটি আগাগোড়া ঢাকা। গোলাকার সে দেশে ধরতে গেলে উদ্ভিদ ও প্রাণী বিরল। পৃথিবীর বারোটি দেশের যেসব বৈজ্ঞানিক ও গবেষক প্রচুর শৈত্য…
আমার কষ্ট হচ্ছে হোক তুমি আর জানবে না। চোখের কোলে উপচে পড়া অশ্রুকথন তোমাকে আর শোনাবো না। লালচে চোখের ইতিকথা তোমাকে আর পড়তে হবে না। অশ্রু শুকিয়ে যাওয়ার দাগ তুমি আর বুঝতেই পারবে না। নিয়মের পাবন্দি করা তনয়া কেন অনিয়মে বন্দী হলো তুমি আর জানবে না। কষ্ট চেপে ঠোঁটে ঝুলিয়ে রাখা মিথ্যে হাসির রহস্য তুমি আর খুঁজে পাবে না। কনসিলারে লুকানো ডার্ক সার্কেলে কত বেদনার আঁচড় তোমার তা কখনই জানা হবে না। হ্যাঁ, তোমার অনেক কিছুই আর জানা হবে না। আমিই জানতে দিব না। বেদনার অনলে দগ্ধ আমির ঝলসানো চেহারা কখনই আর তোমার সামনে প্রকাশ করব না।…
দাঁড়িয়ে যখন আছে তখন কাজ করছি না তবু এক টানা অনেকক্ষণ দাঁড়ালে শরীর খারাপ লাগে কেন? অনেকক্ষণ একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে পা অবশ লাগে, ভার হয়ে আসে, শরীর ঝিমঝিম করতে থাকে। মনে হয় যেখানে হোক বসে পড়ি। পাঠকগণ তা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। দাঁড়িয়ে থাকা যে কম পরিশ্রম নয় এ তো বোঝাই যায়। কীভাবে? আগেরকার সময়ে স্কুলের অনেকগুলো শাস্তির মধ্যে একটি শাস্তি হলো, “দাঁড়িয়ে থাকো”। এমন শাস্তি হয়তো অনেকেই পেয়েছি আমরা, তাই না? আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন, দাঁড়িয়ে থাকলে শরীর খারাপ লাগে, পা ব্যথা করে? অবশ্যই এমন হয়। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে শরীর খারাপ লাগবে কেন আর পা-ই বা ব্যথা করবে কেন…
রঙের সঙ্গে ঠান্ডা গরম লাগার সম্পর্ক আছে কি? গরমের দিনে দুপুর রোদে টকটকে লাল রঙের জামা পরে কেউ রাস্তা দিয়ে হাঁটলে, তাকে দেখলেই যেন কেমন গরম গরম লাগে, তাই না? কিছু কিছু রং যেমন- লাল, হলুদ, কমলা গরম রং বা ওয়ার্ম কালার বলে পরিচিত। আর নীল, সবুজ, ধূসর প্রভৃত রং কে বলে ঠান্ডা রং বা কুল কালার। ঘরের দেয়ালের রং হলুদ রাখলে ঘরটা কেমন যেন গরম মনে হয়, তেমনি যে ঘরের দেয়ালের রং হালকা নীল তার ভেতর কেমন একটা ঠান্ডার আমেজের আভাস মেলে। সত্যি কি লাল রঙের সাথে গরম লাগার আর নীল রঙের সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোন সম্পর্ক আছে? আসলে…
মেয়েদের সাঁতার কাটতে দম কম লাগে কেন? চলতি কথায় আমরা বলি হালকা জিনিস পানিতে ভাসে আর ভারী জিনিস ডুবে যায়। ভারী বা হালকা বলতে এখানে কি বোঝাচ্ছে? কোন জিনিসের ওজন তার সমান আয়তনে পানির তুলনায় যতটা বেশি সেটাকে বলে তার আপেক্ষিক গুরুত্ব। যে জিনিসের আপেক্ষিক গুরুত্ব কম তাকে আমরা হালকা বলি। যেমনঃ কাঠ। কাঠ হালকা বলেই পানিতে ভাসে। আর এক টুকরো লোহার আপেক্ষিক গুরুত্ব বেশি বলে তা পানিতে ডুবে যায়। আপনি কি জানেন, লোহাকেও কিন্তু পানিতে ভাসানো যায়? হ্যাঁ যায়। তবে শর্ত আছে। শর্তটি হলো যদি তাকে এমন আকার দেয়া যায় যে পানিতে ভাসবার সময় ঐ লোহা যতটা পানি সরাবে…