আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত রক্তের চলাচল হচ্ছে।পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবখানেই রক্তের যাতায়াত।আমরা জানি যে কোথাও কেটে গেলে রক্ত বের হওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যায়।এখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাহলে শরীরের ভেতরে অবস্থানকালে আমাদের রক্ত জমাট বাঁধেনা কেন?আজকে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর জানব। আমাদের রক্তের মধ্যেই কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধার মত অনেক উপাদান আছে।এসবের কার্যক্রমে কেটে কোথাও কেটে গিয়ে রক্তপাত হলে রক্ত দ্রুত জমাট বেঁধে রক্তপাত বন্ধ হয়।রক্ত জমাট বাঁধানোর মত উপাদান যেমন আমাদের রক্তে আছে, তেমন রক্তকে জমাট বাঁধা থেকে মুক্ত রাখার উপাদানও আমাদের রক্তেই আছে।এই উপাদানগুলোকে বলা হয় এন্টিকোয়াগুলেন্টস বা রক্ত জমাট প্রতিরোধের উপাদান।এগুলো…
Author: Dipa Sikder Jyoti
বলা হয়ে থাকে মানুষ করতে পারেনা এমন কিছু দুনিয়ায় নেই।তবে আমরা কি সবসময় এটি বিশ্বাস করি?করিনা হয়তো।এর ফলো আমরা হতাশায় ভুগি।হাল ছেড়ে দেই খুব সহজে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।তার মধ্যে এমন কিছু আছে যা তাকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে।তাকে করেছে সেরার সেরা।সেটি হলো তার মস্তিষ্ক।তার চিন্তা চেতনা।তার বিবেক বুদ্ধি।প্রত্যেক মানুষই এই বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।তবে এগুলো শুধু নিজের মধ্যে থাকাটাই যথেষ্ট নয়।জীবনে চলার পথে এগুলোকে কাজে লাগানো অত্যন্ত জরুরী।আর তারচেয়েও বেশি জরুরী নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা।মানুষকে সৃষ্টিকর্তা এমন কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন যেগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করতে পারে।এর জন্য তাকে বিশ্বাস করতে হবে যে সে পারবে।সামান্য…
বিভিন্ন ঘটনায় আমাদের রক্তপাত হয়।ক্ষত খুব গুরুতর না হলে কিছুক্ষণ পরে নিজে থেকেই রক্তপাত বন্ধ হয়।অর্থাৎ রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত থামে।আমাদের শরীরে এটি নিজে থেকেই হয়।বাহ্যিক কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়না।কিভাবে এটি হচ্ছে তা নিয়ে আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি?যারা জানিনা তারা আজকেই জেনে নেব কিভাবে এটি হচ্ছে। আমাদের রক্ত জমাট বাঁধার জন্য অনেকগুলো ফ্যাক্টর বা উৎপাদক রয়েছে।সাধারণত তেরটি ফ্যাক্টরকে মূল হিসেবে ধরা হয়।সেগুলো হলো-১.ফাইব্রিনোজেন২.প্রোথ্রোম্বিন৩.টিস্যু থ্রম্বোপ্লাস্টিন৪.ক্যালসিয়াম৫.ল্যাবাইল ফ্যাক্টর৬.(এটির অস্তিত্ব নেই)৭.স্ট্যাবল ফ্যাক্টর৮.এন্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর৯.ক্রিসমাস ফ্যাক্টর১০.স্টুয়ার্ট ফ্যাক্টর১১.এন্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর সি১২.হ্যাগম্যান ফ্যাক্টর১৩.ফাইব্রিন স্ট্যাবিলাইজিং ফ্যাক্টর তবে এই ১৩ টি ফ্যাক্টরের মধ্যে চারটি ফ্যাক্টর রক্ত জমাট বাঁধায় মূল ভূমিকা পালন করে-*ফাইব্রিনোজেন*প্রোথ্রোম্বিন*টিস্যু ফ্যাক্টর*ক্যালসিয়াম এরা মূলত তিনটি ধাপে রক্তকে জমাট বাঁধায়।ধাপগুলো…
বিভিন্ন সময়ে আমাদের নিজের দেহের রক্ত আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়না।তখন অন্য কারো কাছ থেকে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন পড়ে।এই অন্য কাউকে বলা হয় দাতা।তবে যেকোনো দাতার কাছ থেকেই রক্ত নেয়া ঠিক নয়।কারো থেকে রক্ত নেয়ার আগে অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিৎ। আমরা যখন প্রয়োজনে কারো কাছ থেকে রক্ত নেব তখন খেয়াল রাখতে হবে যে-*দাতার স্বাস্থ্য যেন অবশ্যই ভালো হয়।*দাতা যেন বিনামূল্য রক্ত দান করে।রক্তদানের বিনিময়ে টাকা চাইলে সেই দাতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।*দাতার বয়স বিবেচনায় রাখতে হবে।তার বয়স কখনোই ১৮ বছর বয়সের কম এবং ৬৫ বছর বয়সের বেশি হওয়া যাবেনা।*একজন দাতা বছরে সাধারণত ২-৩ বার রক্ত দিতে পারবেন।ঘন ঘন রক্ত দান ঠিক নয়।*মহিলা…
আমরা সবাই হয়তো আমাদের রক্তের গ্রুপ জানি।কারণ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের রক্তের গ্রুপ জানা থাকার প্রয়োজন পড়ে।কাউকে রক্ত দেয়া,কারো থেকে রক্ত নেয়া বা বিভিন্ন চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্তের গ্রুপ জানতে হয়।কিন্তু নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানলেও রক্তের গ্রুপ নিয়ে অনেক কথাই আমরা জানিনা।তাই আজ রক্তের গ্রুপ নিয়ে জানব। আমাদের লোহিত রক্তকণিকার প্লাজমা মেমব্রেনে বিভিন্ন এন্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে রক্তের যে শ্রেণীবিভাগ করা হয় সেটাই ব্লাড গ্রুপিং নামে পরিচিত।সাধারণত তিন ধরনের রক্তের গ্রুপ হয়।যেমন-*ABO blood group*Rh blood group*M & N blood group বিশেষ কিছু এন্টিজেনের উপস্থিতি/অনুপস্থিতির ভিত্তিতে ABO blood group হয়।Rh নামক এন্টিজেনের উপস্থিতি,অনুপস্থিতির ভিত্তিতে Rh blood group হয়।পিতৃত্ব নির্ধারণের জন্য…
আমাদের যখন কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হই তখন আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেই, ঔষুধ গ্রহণ করি।এতে করে আমাদের রোগ সেরে যায়।কিন্তু এর বাইরেও আমাদের শরীরে অনেকসময় অনেক জীবণু প্রবেশ করে।তবুও আমরা সবসময় অসুস্থ হয়ে পড়িনা।এর কারণ হলো আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।আমাদের দেহ বাইরে থেকে প্রবেশকৃত জীবাণুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।তাই খুব সহজেই আমরা সবসময় অসুস্থ হয়ে পড়িনা।এরই নাম অনাক্রম্যতা। অনাক্রম্যতা হলো আমাদের শরীরের এমন এক ক্ষমতা যার দ্বারা আমাদের শরীরে বাইরে থেকে প্রবেশ করা ক্ষতিকর ও বিষাক্ত জীবসত্তা ধ্বংস হয়।এর আবার প্রকারও হয়েছে।সেগুলো হলো-*প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা এবং*অর্জিত অনাক্রম্যতাপ্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা আমরা জন্মগতভাবেই অর্জন করে থাকি।আমাদের মধ্যেই তা গড়ে ওঠে স্বাভাবিক নিয়মে।তবে…
একই কৌতুক কতবার শুনে আপনি হাসেন?দুইবার?তিনবার?সর্বোচ্চ চারবার?তাহলে একই দুঃখের কথা অগণিতবার মনে করে কষ্ট পান কেন? আমরা বোধহয় খুশির চেয়ে দুঃখকেই বেশি প্রাধান্য দেই,তাই না?আর সেজন্যই একই দুঃখের কথা বারবার মনে করে কষ্ট পাই।আমাদের চোখ ভিজে ওঠে।অথচ একই সুখের স্মৃতি বারবার মনে করে আমরা সুখে ভাসি না।মানুষের খারাপ অভ্যাসগুলোর মধ্যে এটি বোধহয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট।আমাদের জীবনে অনেক ধরনের ঘটনাই ঘটে থাকে।ভালো ঘটনা যেমন আছে,খারাপ ঘটনাও তেমন আছে।ভালো কিছু ঘটলে আমরা খুশি হই,আনন্দ পাই।আবার খারাপ কিছু ঘটলে কষ্ট পাই।এটি স্বাভাবিক।কিন্তু জিনিসটা অস্বাভাবিক তখনই হয় যখন আমরা আনন্দগুলোর চেয়ে দুঃখগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেই।একই কষ্টের কথা বারবার মনে করে কষ্ট পাই। কিন্তু বারবার একই…
আমাদের রক্তের রয়েছে দুইটি অংশ- রক্তরস ও রক্তকণিকা।আর রক্তকণিকা আবার তিন ধরনের- লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা।আজ আমরা শ্বেত রক্তকণিকা সম্পর্কে জানব। শ্বেত রক্তকণিকা একধরনের রক্তকণিকা।একে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- দানাদার ও অদানাদার।দানাদার এর মধ্যে রয়েছে নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল ও বেসোফিল।আর অদানাদারের মধ্যে রয়েছে লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট। লিম্ফোসাইট অবশ্য বড় ও ছোট- এই দুধরনের হয়ে থাকে। আমাদের দেহে সাধারণত প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪০০০-১১০০০ টি শ্বেত রক্তকণিকা থাকে।যখন দেহে এর পরিমাণ ১১০০০ এর চেয়ে বেড়ে যাবে তখন সেই অবস্থাকে বলে লিউকোসাইটোসিস।আর পরিমাণ যখন ৪০০০ এর চেয়ে কমে যায় তখন সেই অবস্থাকে বলে লিউকোপেনিয়া। আমাদের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা নানারকম কাজ করে…
আমাদের সকলের চাহিদা হলো সাফল্য।সবাই সাফল্য চাই।সাফল্য চাওয়া কোনো সমস্যা নয়।সমস্যা হলো আমরা অনেকেই একদিনেই সফলতা চাই।কিন্তু সফলতার বৈশিষ্ট্য হলো এটি একদিনে আসেনা।এর জন্য প্রয়োজন হয় চেষ্টা;দরকার পড়ে কঠোর অধ্যবসায়ের। আমরা যখন মনেপ্রাণে কোনোকিছু চাই তখন তা পাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা করার প্রয়োজন পড়ে।কারণ ভালো কিছু কখনোই নিজে থেকে আসেনা।নিজের চেষ্টায় তাকে অর্জন করতে হয়।তবেই সাফল্যকে জীবনে বন্দী করা যায়।কিন্তু সমস্যা হলো অনেকেই এই অধ্যবসায় এর বিষয়টি এড়িয়ে চলতে চায়।চেষ্টা বা পরিশ্রম করতে নারাজ থাকে।তারা মনে করে অমুকের যেহেতু সাফল্য এসেছে,আমিও শীঘ্রই সফলতা পাব।কিন্তু সেই অমুক ব্যক্তিটির সফলতার পিছনে কত পরিশ্রম আছে তা তার চোখে পড়েনা।নিজের চেষ্টার ব্যাপারেও থাকে উদাসীন।ফলে…
আমাদের অনেকের খুব বড় একটি সমস্যা হলো সব বিষয় ধরে নিয়ে বসে থাকা।কেউ কোনো একদিন আপত্তিজনক কিছু বললে বারবার সেটা মনে করে মনখারাপ করে ফেলা আমাদের অনেকেরই অভ্যাস।এতে করে আমাদের কষ্ট বাড়ে বৈ কমে না। চলার পথে এমন অনেক কিছুর সম্মুখীন আমাদের হতে হয় সেগুলা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত।আমাদের কমফোর্ট জোনের বাইরে।আমাদের মনকে তা খারাপ করে দেয়।এটা স্বাভাবিক বিষয়।হতেই পারে।কিন্তু সেই খারাপ স্মৃতিগুলো আজীবন বয়ে নিয়ে বেড়ানোর মত খারাপ অভ্যাস দ্বিতীয়টি নেই।কারণ সেই স্মৃতিগুলো বারবার মনে করার ফলে বারবার আমাদের মন খারাপ হয়।আমরা তখন বর্তমান সুখ উপভোগ করতে পারিনা।তাই আমাদেরকে সুখ উপভোগ করতে হলে শোক উপেক্ষা করা শিখতে হবে।আমাদের জীবনে যত দুঃখ…
আমরা যখন কাঁদি তখন আমাদের চোখের পানি যে নাকেও আসে এ বিষয়টি কি আমরা জানি?অনেকেই জানিনা।তবে আজকের পর আমরা জানব যে আমরা কান্না করলে আমাদের নাকও ভিজে যায়। সাধারণত ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে আমাদের চোখের পানি নিঃসৃত হয়।তারপর তা আমাদের অক্ষিগোলকের সার্ফেসে চলে আসে।তারপর তা নিচের পাংকটামে যায়।পাংকটাম কি তা আমরা পরে কোনো একদিন জানব।এরপর চোখের পানি যায় উপরের ও নিচের ক্যানালিকুলিতে।তারপর ল্যাক্রিমাল স্যাক নামক অংশে যায়।সেখান থেকে যায় ন্যাসোল্যাক্রিমাল নালীতে।আর এই নালী থেকে অবশেষে যায় নাকের ভিতরের মিটাসে।অর্থাৎ, নাকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে চোখের পানি ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়ে তার পরে বিভিন্ন অংশ হয়ে অবশেষে নাকে পৌঁছায়।তাই বলা যায় যে,কোনো…
আমরা এতদিন জেনে এসেছি উদ্ভিদ সূর্যের আলো ও ক্লোরোফিলের সাহায্যে নিজের খাদ্য নিজে তৈরী করে।কিন্তু পৃথিবীতে এমনও কিছু উদ্ভিদ আছে যারা হলো মাংসাশী।অর্থাৎ, তারা প্রাণীকে তাদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ছড়িয়ে আছে।আজ আমরা তাদের মধ্যে অন্যতম একটি উদ্ভিদ-কলসী উদ্ভিদ নিয়ে জানব। কলসি উদ্ভিদের পাতার আকৃতি অনেকটা কলসের মত।তাই এর নাম কলসী উদ্ভিদ।বর্তমানে পৃথিবীতে ৮০ হাজারেরও বেশি রয়েছে এই উদ্ভিদ।গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশে এদের বেশি দেখা যায়;যেমন- ভারত, শ্রীলংকা ইত্যাদি।পাতা দিয়েই মূলত তারা প্রাণী শিকার করে।ছোট উদ্ভিদগুলো পিঁপড়া,মাছি, পোকামাকড় এইসব শিকার করে।আর বড় উদ্ভিদগুলো ছোট আকারের ইঁদুর, ব্যাঙ, সাপ শিকার করে।মূলত এই উদ্ভিদের…