রক্ত ও রক্তকণিকা

গরু,ছাগল, হাঁস,মুরগি জবাই করতে আমরা কে না দেখেছি।এসব প্রাণী জবাই করার সময় ফিনকি দিয়ে লাল বর্ণের এক ধরনের তরল পদার্থ বের হয় তা আমরা সকলেই লক্ষ্য করেছি।তা হলো রক্ত;এক ধরনের তরল যোজক কলা।ইহা মৃদু ক্ষারীয় এবং লবণাক্ত তরল। রক্ত হৃদপিণ্ড,শিরা,উপশিরা,ধমনী, কৈশিকনালি পথে বাহিত হয়।আর রক্ত সঞ্চালনের জন্য হৃদপিণ্ড মানবদেহের পাম্পযন্ত্র রূপে কাজ করে।

তিন ধরনের রক্তকণিকার মধ্যে লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।শিশুদেহে যকৃৎ লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন করা।পরবর্তীতে হাড়ের অস্থিমজ্জার কোষগুলো লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের দায়িত্ব পালন করে।এদের গড় আয়ু ১২০ দিন।পুরুষের তুলনায় মহিলাদের দেহে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কম থাকে কিন্তু শিশুদের লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বেশি থাকে।আমাদের জীবনের প্রতিমুহূর্তে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হচ্ছে আবার উৎপন্নও হচ্ছে।লোহিত রক্তকণিকার আয়তন পরিমাপের শতকরা হিসাবকে হেমাটোক্রিট বলা হয়। লোহিত কণিকায় উপযুক্ত পরিমাণ হিমোগ্লোবিন না থাকলে তাকে রক্তশূন্যতা বলা হয়।হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ আবার একেবারে বেশি হয়ে গেলে তাকে বলা হয় পলিসাইথেমিয়া।

শ্বেত রক্তকণিকা হলো স্বচ্ছ,দানাদার বা অদানাদার, নিউক্লিয়াস যুক্ত রক্তকণিকা।এরা ‌ফ্যাগোসাইটেসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে।এদের দেহের প্রতিরক্ষাকারী একক বলা হয়।এতে কোনো রঞ্জক পদার্থ নেই,এরা বর্ণহীন।তাই এদের শ্বেত রক্তকণিকা বলা হয়।এরা রক্তে খুব সামান্য পরিমাণে থাকে।

অনুচক্রিকা হলো ক্ষুদ্রতম কণিকা;যা দেখতে গোল,দানাদার, নিউক্লিয়াস বিহীন।দেহের কোনো স্থান কেটে গেলে এরা থ্রোম্বোপ্লাস্টিন নামক প্লাজমা প্রোটিন উৎপন্ন করে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

Reporter: Fahima Fi Ne

Leave a Comment