বংশগতি বলতে কি বুঝায়

বংশগতি

জিন হলো DNA অনুর একটি খণ্ডাংশ যা এক বংশ থেকে পরবর্তী বংশে জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে।জীবের ক্রোমোজোমের লোকাস নামক স্থানে এটি অবস্থান করে।এক জোড়া ক্রোমোজোমে জিন জোড়ায় জোড়ায় অবস্থান করে। ব্যক্তির একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য একটি নির্দিষ্ট জিন কাজ করে।তবে কখনো কখনো একাধিক জিন মিলিতভাবে একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।মাতাপিতার যে বৈশিষ্ট্য প্রথম বংশধরে প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় প্রকট বৈশিষ্ট্য।এর জন্য প্রকট জিন দায়ী।আর যে বৈশিষ্ট্য প্রথম বংশধরে প্রকাশ না পেয়ে‌ দ্বিতীয় বংধরের এক চতুর্থাংশ জিবে প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।আর এর জন্য দায়ী প্রচ্ছন্ন জিন।

আর এভাবেই পিতামাতার বৈশিষ্ট্য সন্তান সন্তুটির দেহে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো বংশগতি।বংশগতির প্রধান উপাদান জিন।ক্রোমোজোমের কাজ ই হলো মাতাপিতার জিন সন্তান সন্তুটিতে বহন করা।মানুষের চোখের রং,চামড়ার গঠন,চুলের প্রকৃতি সবই ক্রোমোসোম কতৃর্ক পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হয়।যার কারণে ক্রোমোসোম কে বংশগতির ভৌতভিত্তি বলা হয়।বিজ্ঞানী Strasburger সর্বপ্রথম ক্রমোজম আবিষ্কার করেন।মানুষের দেহে প্রতি কোষে ২৩ জোড়া করে ক্রোমোজোম থাকে।এদের মধ্যে ২২ জোড়া অটোজম এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম।এসব ক্রোমোজোম কে A/2A(অটোজোম) এবং X,Y,Z,O,W(সেক্স ক্রোমোজোম) নামে চিহ্নিত করা হয়।নারী সদস্যে যেসব গ্যামেট সৃষ্টি হয় তাতে শুধু x ক্রোমোজোম থাকে;যার কারণে নারীকে হোমোগ্যামেটিক সেক্স বলে আর এসব গ্যামেটকে বলা হয় হোমোগ্যামেট। অন্যদিকে পুরুষ সদস্যে X ক্রোমোজোম ছাড়াও Y ক্রোমোজোম থাকে।তাই পুরুষকে বলা হয় হেটারোগ্যামেটিক সেক্স আর এই ক্রোমোজোম কে বলা হয় হেটারোগ্যামেট।মানুষের যেসব জিন নিয়ন্ত্রিত বংশগতিয় রোগ সেক্স ক্রোমোজোমের মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয় তাদের সেক্স লিংকড ডিসঅর্ডার বলে।এদের মধ্যে উল্লেখোগ্য রোগগুলো হলো:লাল সবুজ বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়া,মাস্কুলার ডিষ্ট্রফি।

Reporter: Fahima Fi Ne

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *