তৃতীয় ধাপেও সাতক্ষীরায় নৌকার ভরাডুবি

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাতক্ষীরায় আবারও আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। জেলার কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার ১৭ ইউপির মধ্যে ১১টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।গতকাল রোববার কালীগঞ্জের ১২ ও দেবহাটার ৫টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি করে ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ৪টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ১টি ইউপিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

বেসরকারিভাবে কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন কৃষ্ণনগরে সাফিয়া পারভিন (জাপা), দক্ষিণ শ্রীপুরে গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল (নৌকা), তারালিতে এনামুল ইসলাম (নৌকা), চাম্পাফুলে মোজাম্মেল হক গাইন (নৌকা), আবুল কাশেম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (নৌকা), রতনপুরে আলিম আল রাজী (নৌকা), বিষ্ণুপুরে বিএনপির জাহাঙ্গির আলম (স্বতন্ত্র), নলতায় বিএনপির আজিজুর রহমান (স্বতন্ত্র), মৌতলায় মো. ফেরদৌস মোড়ল (স্বতন্ত্র), মথুরেশপুরে আবদুল হাকিম (স্বতন্ত্র), ভাড়াশিমলায় নাজমুল হাসান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও ধলবাড়িয়ায় গাজী শওকত হোসেন (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী)।অন্যদিকে, দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন কুলিয়া ইউনিয়নে মো. আছাদুল হক (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), পারুলিয়ায় গোলাম ফারুক বাবু (স্বতন্ত্র), দেবহাটায় মো. আবদুল মতিন (স্বতন্ত্র), সখীপুরে সাইফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও নওয়াপাড়ায় আলমগীর হোসেন সাহেব আলী (নৌকা)।

দলের এমন বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান বলেন, কোনো কোনো ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। এর মধ্যে দলের কোনো কোনো নেতা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। এ জন্য ভোটের ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে।এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম বলেন, নিজের পছন্দের প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় উপজেলার কয়েকজন নেতা নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি কেউ কেউ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবার অন্য দলের প্রার্থীদেরও সমর্থন করেছেন। এ কারণে অনেক ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, তালা, কলারোয়ার ৩৪টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১২টিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া ১৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ৬টিতে স্বতন্ত্র, ২টিতে জামায়াতে ইসলামী ও ১টিতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

Leave a Comment