জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব নিয়ে বিভক্তির ইঙ্গিত

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদটি শূন্য হওয়ায় এ পদে নতুন কাকে বসানো হবে তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিভক্তির ইঙ্গিতও দেখা গেছে। দুবছরের বেশি সময় ধরে এ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বাবলু। জাপা থেকে তার মুত্যুর তিন দিনের শোক শেষ হওয়ার পর এ পদে নুত কে আসবেন তা নিয়ে আলোচনায় আসতে শুরু করছে একাধিক নাম। জানা গেছে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে হতে পারেন এদের মধ্যে কো চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপার নাম রয়েছে।

তবে পার্টির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, দেশের একমাত্র বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে জাতীয় পার্টি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে এ মহাসচিব পদে হেভিওয়েট নেতা প্রয়োজন। এ সময় তৃণমুলে যার জনপ্রিয়তা আছে, পার্টির দুঃসময়ে যিনি কাজ করেছেন তাকে এ পদে প্রয়োজন। যে কাউকে এ মহাসচিবের আসনে বসালে পার্টি জনগণের আস্থা হারাবে। জানা গেছে, মহাসচিব পদে কে আসবেন তা নিয়ে কো-চেয়ারম্যানরা দফায় দফায় বৈঠক শুরু করেছে। জাপা সূত্র থেকে জানা যায়, মহাসচিব পদে গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হতে চেষ্টা করেছিলেন। এমন খবরে জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ কলাবাগানের অফিসে গত সোমবার একত্র হন জ্যেষ্ঠ নেতারা।

এ বৈঠকে ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মজিবুল হক চুন্নু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাবেক মহাসচিব তথা বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান ও লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি। বৈঠক থেকে উপস্থিত নেতাদের পক্ষে মজিবুল হক চুন্নু টেলিফোনে জি এম কাদেরকে বলেন, সারাদেশের নেতাকর্মীদের কেউ অল্প ক’দিন আগে দলে আসা কাউকে মহাসচিব পদে মানবে না। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি যদি জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে কাউকে মহাসচিব নিয়োগ করেন, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরকেই দায়ী থাকতে হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এই জাতীয় পার্টিতে শুরু থেকে দলের জন্য কাজ করে আসছি। পদ-পদবির জন্য আমি রাজনীতি করি না। মহাসচিব পদে বিগত সময়ে যার এ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল, এবং তৃণমৃলে যার বেশি গ্রহণযোগ্যতা আছে তাকেই পার্টির মহাসচিব পদে আনা উচিত।তিনি বলেন, এ সময়ে দেশের মানুষের কাছে আগের থেকে আরও জনপ্রিয়তা বেড়েছে জাতীয় পার্টির। তাই যাকে-তাকে মহাসচিব পদে না আনাই ভালো।

Leave a Comment