ই-অরেঞ্জের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

গ্রাহকের ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ৩১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে রোববার বিকেলে কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা নগরের কাপ্তানবাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল খান।

মামলায় নড়াইলের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ই-অরেঞ্জের পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী সাইফুল খান এজাহারে উল্লেখ করেন, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের পণ্য কেনার জন্য বিভিন্ন তারিখে ই–অরেঞ্জকে ৩৯ জন গ্রাহক ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ৩১১ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে প্রতিষ্ঠানটি মালামাল দেয়নি। এমনকি দাপ্তরিক কার্যক্রমও গুটিয়ে নেয়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

ই–অরেঞ্জের অফিশিয়াল নাম ই–অরেঞ্জ ডট শপ। দুই বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া প্রতিষ্ঠান এটি। ট্রেড লাইসেন্সের ফরমে ই–অরেঞ্জের মালিকের নামের অংশে উল্লেখ রয়েছে সোনিয়া মেহজাবিন, পিতা শেখ আবদুস সালাম ও মাতা নাজমা সালাম।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে ই-অরেঞ্জের কার্যালয়ের সামনে এবং ই–অরেঞ্জের সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজার মিরপুরের বাসার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ভুক্তভোগীরা।

ই–অরেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এ নোটিশ দেওয়া হয়। এতে সাত দিনের মধ্যে ই–অরেঞ্জকে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সম্পদ, দায় ও চলতি মূলধনের পরিমাণ কত জানাতে হবে। সরবরাহকারীদের কাছে বকেয়া থাকলে তার পরিমাণ কত, তা–ও জানাতে হবে। একই সময় পর্যন্ত টাকা নিয়েও পণ্য দেওয়া হয়নি, এমন গ্রাহক কত এবং গ্রাহকের কাছ থেকে কী পরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ জানাতে হবে।

Leave a Comment