আসিফ নজরুলের কক্ষের তালা খুলে দিলো ঢাবি প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. আসিফ নজরুলের কক্ষে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঝুলানো তালা খুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


গতকাল বিকেল ৫টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঝুলানো তালা খুলে দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষ। এটি কারো কোনো ব্যক্তিগত কক্ষ নয়। আমরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করি। তাই আমরা তালা খুলে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সার্বিক বিষয়ে যতœশীল ও সহনশীল হওয়া উচিত।’


এর আগে বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বিভাগীয় কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।


ড. আসিফ নজরুল গত মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন-‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে।’ ড. আসিফ নজরুলের এক লাইনের এ ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বিভাগীয় কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এছাড়া শাহবাগ থানায় তার নামে ছাত্রলীগের এক নেতা জিডিও করেন।


মঙ্গলবার ওই স্ট্যাটাসের পর বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নতুন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আগের স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যা দেন ড. আসিফ নজরুল। এতে তিনি লিখেছেন, আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো মহল থেকে যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে, আমি তাতে বিস্মিত ও মর্মাহত। আমার স্ট্যাটাসে কাউকে উল্লেখ করে কিছু বলা হয়নি। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী সরকার দৃঢ়ভাবে দুনীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে এ ধরনের মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়। এমন একটা কথা সম্ভাবনা হিসেবে আমার স্ট্যাটাসে বলার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে তিনি আরো লিখেছেন, আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার সাথে উগ্রবাদ বা মৌলবাদকে উৎসাহিত করার কোনো সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদী ও মৌলবাদীরা বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিপক্ষ হয়। আশা করি আমার বক্তব্য নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।

Leave a Comment