আমাদের শর্করাগুলো কোথায় যাচ্ছে?

সুস্থ থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট তথা শর্করা গ্রহণ করা প্রয়োজন।তাই আমরা প্রতিদিন কমবেশি শর্করা আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখি।আমরা শর্করা খাবারের মাধ্যমে নেয়ার পর তার কি হয় তা নিয়েই থাকছে আজকের বিস্তারিত।

আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্করাগুলো হলো স্টার্চ,ল্যাকটোজ এবং সুক্রোজ।
ল্যাকটোজ আর সুক্রোজের পরিপাক হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে।কিন্তু স্টার্চের পরিপাক আমাদের মুখেই শুরু হয়।স্যালাইভারি এমাইলেজ নামক এনজাইমের দ্বারা প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।এই স্যালাইভারী এমাইলেজ ২০-৪০% স্টার্চ পরিপাক করে থাকে।এমাইলেজগুলো মূলত স্টার্চের মধ্যে যে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন থাকে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে এবং ম্যালটোজ, ম্যাল্টোট্রায়োজ এগুলো তৈরী করে।
দেহে শর্করার পরিপাক সম্পন্ন হয় যখন বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়ায় ক্ষুদান্ত্রে শর্করা থেকে নানারকম মনোস্যাকারাইড উৎপন্ন হয়।

শর্করা পরিপাকে প্রয়োজন হয় ডাইস্যাকারাইডেজ এনজাইম।কিন্তু দেহে এই এনজাইমটির অভাব হলে অসমোটিক ডায়রিয়া,পেট ফাঁপার মত নানারকম রোগ হয়ে থাকে।কারণ এক্ষেত্রে পরিপাক না হওয়া ডাইস্যাকারাইডগুলো বৃহদন্ত্রে গিয়ে চারপাশের রক্তনালী থেকে পানি টেনে নেয় অসমোটিক প্রক্রিয়ায়।ফলে ডায়রিয়া হয়।
আবার ল্যাকটেজ নামের যে এনজাইমগুলো থাকে সেগুলোর অভাব হলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স হয়।এতে করে মানুষ দুধ খেয়ে হজম করতে পারেনা।এই রোগ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

শর্করা হজমের পর হয় শর্করার শোষণ।এটি মূলত ডিওডেনাম এবং জেজুনামে হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরল শর্করা প্রথমে কোষে শোষিত হয়।তারপর তা ব্যাপন প্রকিয়ায় রক্তে গিয়ে শোষিত হয়।
সরল শর্করার মধ্যে ফ্রুক্টোজ একটু আলাদাভাবে শোষিত হয়।এরা ব্যাপন প্রক্রিয়ায় আগে কোষে এবং একই প্রক্রিয়ায় সেখান থেকে রক্তে যায় ও শোষিত হয়।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *