আমাদের হৃদপিণ্ড প্রতি মিনিটে যতবার স্পন্দিত হয় তাকে বলা হয় হার্ট বিট বা হৃৎস্পন্দন।এর মান ৪০-১০০ বিট/মিনিট হতে পারে।কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বিশ্রামকালে এর গড় মান ৭০ বিট/মিনিট হয়ে থাকে। বিশেষ কিছু সময়ে বা কারণে আমাদের হৃৎস্পন্দন বেড়ে বা কমে যেতে পারে।যে কারণে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে-*প্রশ্বাস নেয়ার সময়*উত্তেজিত হয়ে গেলে*রেগে গেলে*ব্যথার উদ্দীপনা পেলে*শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে*ব্যায়াম করলে*বিভিন্ন কিছু থাইরয়েড হরমোনের কারণে*জ্বর হলে যে কারণে হৃৎস্পন্দন কমতে পারে সেগুলো হলো-*নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে*কোনো কারণে ভয় পেলে*বিষাদগ্রস্ত হলে বা দুঃখ পেলে*ট্রাইজেমিনাল নার্ভে ব্যথার উদ্দীপনা আসলে*ক্রানিয়ামের ভেতরের চাপ বেড়ে গেলে অর্থাৎ,বিভিন্ন কাজে, পরিস্থিতিতে, উপাদানের প্রভাবে আমাদের হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক থেকে বেড়ে বা কমে যেতে পারে।তবে…
Author: Dipa Sikder Jyoti
একজন মানুষের করোনারি ধমনীর রোগ এবং আর্থেরোস্ক্লেরোটিক এর শঙ্কা আছে কিনা তা জানার জন্য তার শরীরে থাকা লিপিডের বিভিন্ন অংশের পরিমাপকে বলা হয় লিপিড প্রোফাইল। লিপিড প্রোফাইলের মধ্যে যেগুলো অন্তর্ভূক্ত সেগুলো হলো-*সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল*লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল*ট্রাইএসাইলগ্লিসারল*হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল ★লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কখন করতে হবে?একজন ব্যক্তির দেহের সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ ২০০-২৩৯ মিলিগ্রাম শতাংশ হলে বুঝতে হবে উক্ত ব্যক্তির করোনারী ধমনীর রোগ আছে বা এই রোগের আশঙ্কা আছে।তখন লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করা যায়।আর লিপিড প্রোফাইল টেস্টে যদি দেখা যায় যে,দেহের সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ ২০০ মিলিগ্রাম শতাংশ বা এর বেশি তাহলে অবশ্যই তার লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো দরকার। ★লিপিড প্রোফাইল…
সদ্যজাত শিশুতে দেখা দেয়া একটি রোগ হলো কার্নিকটেরাস।এটি মূলত একটি বিরল স্নায়বিক অবস্থা যেখানে তীব্র জন্ডিস থাকে।জন্ডিস থাকায় এ রোগে শিশুর ত্বক হলুদ দেখা যায়। অধিক পরিমাণে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কার্নিকটেরাস হয়।সিরাম বিলিরুবিন এর পরিমাণ ১৮ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এর চেয়ে বেড়ে রোগটি দেখা দেয়।এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আনকনজুগেটেড বিলিরুবিন জমা হয়।ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।সাধারণত জন্মের প্রথম সপ্তাহেই কার্নিকটেরাস দেখা দিতে পারে।তবে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এটি থাকতে পারে। কার্নিকটেরাস রোগের বৈশিষ্ট্য হলো-*অতিরিক্ত জন্ডিস*মানসিক দুর্বলতা*বধিরতা*অধিক ঘুম হওয়া*অধিক কান্না এই রোগটি হলে স্থায়ীভাবে শিশুর মস্তিষ্ক ড্যামেজ হতে পারে।শিশু শ্রবণক্ষমতা হারাতে পারে।এমনি বিষয়টি বেশি গুরুতর হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এই রোগের চিকিৎসা দুই রকমের হয়।লাইট থেরাপি…
রক্তের সঞ্চালনের ফলে আমাদের ধমনীর গায়ে যে ধাক্কা অনুভূত হয় সেটাই হলো পালস বা নাড়ীস্পন্দন।পালস দুইধরনের হতে পারে।১.স্বাভাবিক পালস২.অস্বাভাবিক পালস স্বাভাবিক পালসের পরিমাণ ৬০-৯০/মিনিট।গড়ে ৭২/মিনিট।স্বাভাবিক পালস আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে,১.আর্টারিয়াল বা ধমনীর পালস এবং২.ভেনাস বা শিরার পালস।ধমনীর পালসের মধ্যে রয়েছে-*রেডিয়াল পালস*ক্যারোটিড পালস*ফিমোরাল পালস*ব্রাকিয়াল পালস*অক্সিলারি পালস*পপলিটিয়াল পালস*পোস্টেরিয়র টিবিয়াল পালস*আর্টারিয়া ডর্সালিস পেডিস পালস*ফেসিয়াল পালসআর ভেনাস পালসের মধ্যে আছে জুগুলার ভেনাস পালস। অস্বাভাবিক পালসের অন্তর্ভূক্ত হলো-*এনাক্রোটিক পালস*পালস অলটার্নান্স*পালসাস বিসফেরিয়েন্স*কলাপ্সিং পালস*পালসাস প্যারাডক্সাস*ডাইক্রোটিক পালস*পালসাস ডেফিসিট*সাইনাস এরিথমিয়া পালস পরিমাপ করা খুব জরুরী একটি বিষয়।কারণ পালস পরীক্ষা করার মাধ্যমে আমরা-*হৃদপিন্ডের অবস্থা জানতে পারি*ধমনীর অবস্থা জানতে পারি*রক্তচাপের পরিমাণ জানতে পারি ©দীপা সিকদার জ্যোতি
বিভিন্ন অবস্থায় বা রোগে আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যায়।কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের রক্তচাপ ঠিক থাকে।এই রক্তচাপ কে স্বাভাবিক রাখার জন্য অনেকগুলো প্রক্রিয়া কাজ করে।আজ সেই প্রকিয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক। রক্তচাপ ঠিক রাখতে মূলত দুই ধরনের রেগুলেশন আছে-1.Short term regulation2.Long term regulation Short term regulation আবার দুই ধরনের-1.Nervous regulation2.Hormonal regulationNervous regulation এর মধ্যে আছে-*ব্যারোরিসেপ্টর ফিডব্যাক মেকানিজম*কেমোরিসেপ্টর ফিডব্যাক মেকানিজম*কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ইশচেমিক সাড়াদানHormonal regulation এর মধ্যে আছে-*রেনিন এনজিওটেনসিন ভেসোকনস্ট্রিকটর মেকানিজম*ক্যাপিলারি ফ্লুইড শিফ্ট মেকানিজম*স্ট্রেস রিলাক্সেশন অব দ্য ভাসকুলেচার Long term regulation এর মধ্যে আছে-1.Renal blood volume pressure control mechanism2.Renin angeotensin aldosterone mechanism3.ADH mechanism4.Thirst mechanism5.ANF mechanism এই প্রক্রিয়াগুলো কাজ করার ফলে আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।বিভিন্ন অসামঞ্জস্য…
আমাদের লোহিত রক্তকণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন।আর সেই হিমোগ্লোবিনে থাকে অক্সিজেন।তবে হিমোগ্লোবিনে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন না থাকলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অক্সিজেনযুক্ত হিমোগ্লোবিন এর অভাবে ত্বক,মিউকাস মেমব্রেন যখন নীল হয়ে যায় তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় সায়ানোসিস।অন্যভাবে বলা যায়, শরীরে ডিঅক্সিজেনেটেড হিমোগ্লোবিন বেড়ে গেলে ত্বক,মিউকাস মেমব্রেনের নীল হয়ে যাওয়াকে বলে সায়ানোসিস।এক্ষেত্রে ডিঅক্সিজেনেটেড হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ ৫ গ্রাম/ডেসিলিটার এর বেশি থাকে। সায়ানোসিস দুই ধরনের হয়ে থাকে-*সেন্ট্রাল সায়ানোসিস*পেরিফেরাল সায়ানোসিসকোনো ব্যক্তি সায়ানোসিসে আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ পরীক্ষা করবার প্রয়োজন পড়ে।অংশগুলো হলো-*জিহ্বার ডগা*কান*নখ*নাকের প্রান্ত*ঠোঁট সায়ানোসিসের অনেক কারণ রয়েছে।যেমনঃ-হৃদপিণ্ডজনিত কারণ-ফুসফুসজনিত কারণ-মাংসপেশিজনিত কারণ-স্নায়ুজনিত কারণ-পলিসাইথেমিয়া-শক-উচ্চতা পেরিফেরাল সায়ানোসিস সাধারণত জিহ্বায় হয়ে থাকে।কারণ…
আমাদের টিস্যুর বেঁচে থাকার জন্য এতে নির্দিষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হয়।এই অক্সিজেনই টিস্যুর খাদ্য।কিন্তু বিভিন্ন কারণে টিস্যুতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে।টিস্যুতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়াকে হাইপোক্সিয়া বলে। হাইপোক্সিয়া চার ধরনের হতে পারে-১.হাইপোক্সিক হাইপোক্সিয়াধমনীর রক্তে অক্সিজেনের চাপ কমে যায় এক্ষেত্রে।২.এনিমিক হাইপোক্সিয়াএক্ষেত্রে অক্সিজেনের চাপ ঠিক থাকলেও অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিন পরিমাণে কমে যায়।৩.ইশচেমিক হাইপোক্সিয়াএক্ষেত্রে রক্তের প্রবাহ এত কমে যায় যে টিস্যুতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ হয়না।৪.হিস্টোটক্সিক হাইপোক্সিয়াএক্ষেত্রে সব নরমাল থাকলেও কিছু বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতির কারণে টিস্যু অক্সিজেন ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনা। হাইপোক্সিয়া গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলে শরীরের কোষগুলো মারা যায়।কারণ তারা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত থাকে। হাইপোক্সিয়া রোগের চিকিৎসা হিসাবে অক্সিজেন…
আমাদের দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্তপাত হয়।খুব গুরুতর ক্ষত না হলে নিজে থেকেই রক্ত জমাট বাঁধে।তবে এমন একটি রোগ আছে যে রোগে রক্ত সহজে জমাট বাঁধেনা।জমাট বাঁধতে অনেক সময় নেয়।এই রোগের নাম হিমোফিলিয়া। হিমোফিলিয়া একটি সেক্স লিংকড ডিসঅর্ডার।এর দুটি ধরণ রয়েছে-*হিমোফিলিয়া A বা ক্লাসিক বা সত্য হিমোফিলিয়া*হিমোফিলিয়া B বা Christmas disease.রক্ত জমাট বাঁধার ৮ নম্বর ফ্যাক্টর এর অভাবে হিমোফিলিয়া A এবং ৯ নম্বর ফ্যাক্টরের অভাবে হিমোফিলিয়া B হয়। আগেই বলেছি,হিমোফিলিয়া একটি সেক্স লিংকড ডিসঅর্ডার।নারীরা এর বাহক এবং পুরুষেরা রোগী হয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো-*দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত*টিস্যু থেকে রক্তপাত*মুখ,নাক থেকে রক্তপাত*জিহ্বা থেকে রক্তপাত এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বলা যায়, হিমোফিলিয়া…
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো ফুসফুস।আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে এটি বড় একটি ভূমিকা পালন করে।তবে এর বাইরেও আমাদের ফুসফুস অনেক কাজ করে থাকে। ফুসফুসের কাজ কী হলো গ্যাসের বিনিময় করা।আমাদের টিস্যুতে অক্সিজেন দেয়া এবং টিস্যু থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড বের করা ফুসফুসের প্রধান দায়িত্ব। ফুসফুস সারফেকটেন্ট সংশ্লেষ করে থাকে।আমাদের রক্ত সঞ্চালনে বিভিন্ন পদার্থ ক্ষরণ করে ফুসফুস।যেমন- Prostaglandin,Histamine,kallikrein.এছাড়াও আমাদের কার্বনডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত থেকে ফুসফুস বের করে- Prostaglandin,Histamine,kallikrein. Bradykinin. আমাদের দেহে অম্ল-ক্ষারের সমতা রক্ষা করে ফুসফুস।শরীরের তাপমাত্রা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।পানিসাম্যতায়ও সহায়তা করে। ফুসফুসের গবলেট এবং মিউকাস কোষ থেকে ক্ষরিত হয় মিউকাস।এই মিউকাসে থাকে ইমিউনোগ্লোবিউলিন A যা কিনা আমাদেরকে ইমিউনিটি প্রদান করে।এছাড়াও ফুসফুস আমাদের দেহ…
সারফেকটেন্ট এমন একটি পদার্থ যা সার্ফেস টেনশন বা পৃষ্ঠটান কমায়।রাসায়নিকভাবে এতে থাকে ফসফোলিপিড,প্রোটিন এবং আয়ন। ফুসফুসের টাইপ-টু এলভিওলার এপিথেলিয়াল সেল থেকে সারফেকটেন্ট উৎপন্ন হয়।ভ্রূণীয় অবস্থায় থাকাকালীন ২৮ তম সপ্তাহে এটির ক্ষরণ শুরু হয়। সারফেকটেন্ট থাকার কারণে ফুসফুস চুপসে যায়না।কারণ এটি পৃষ্টটান কমিয়ে দেয়।সদ্যজাত শিশুর ক্ষেত্রে ফুসফুসকে প্রসারিত হতে সাহায্য করে।প্রশ্বাসের সময় ফুসফুসের প্রসারণে সাহায্য করে সারফেকটেন্ট।ফুসফুসের এলভিওলাসের সাইজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।সারফেকটেন্ট উপস্থিত থাকার ফলে সহজে পালমোনারি ইডিমা হয়না।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ একটি রোগ হলো Respiratory Distress Syndrome. সারফেকটেন্ট যখন কমে যায় বা অনুপস্থিত থাকে তখন বাচ্চাদের এই রোগটি হয়।তাই বলা যায়,সারফেকটেন্ট থাকার ফলে শিশুরা এই রোগ থেকে রক্ষা পায়।…
আমাদের হৃদপিণ্ডে দুইটি অলিন্দ এবং দুইটি নিলয় আছে।দুইটি নিলয়ের মধ্যে বাম নিলয় থেকে রক্ত বেরিয়ে পুরো শরীরে যায়।আর বাম নিলয় থেকে প্রতি মিনিটে যতটুকু রক্ত বের হয় সেই পরিমাণ রক্তকে বলা হয় কার্ডিয়াক আউটপুট।এর সাধারণ পরিমাণ ৫-৬ লিটার/মিনিট। বাম নিলয় থেকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বিভিন্ন ধমনীর মাধ্যমে বের হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যায়।এটাই কার্ডিয়াক আউটপুট।এর স্বাভাবিক পরিমাণ ৫ লিটার/মিনিট হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ পুরুষের চেয়ে ১০-২০% কম হয়ে থাকে।কার্ডিয়াক আউটপুট হিসাব করার একটি সূত্র আছে।সেটি হলো,কার্ডিয়াক আউটপুট= স্ট্রোক ভলিউম*হার্টরেট।স্ট্রোক ভলিউম হলো আমাদের বাম নিলয় প্রতি হৃৎস্পন্দনে যে পরিমাণ রক্ত বের করে দেয়।আর হার্টরেট হলো প্রতি মিনিটে হৃৎস্পন্দন।স্ট্রোক ভলিউম সাধারণত ৭০…
আমাদের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে সাধারণত ৭০-৮০ বার হয়।গড়ে ৭৫ ধরা চলে।এটিই স্বাভাবিক মান।এর চেয়ে বেড়ে গেলে যেমন সমস্যা,কমে গেলেও সমস্যা।দুক্ষেত্রেই শরীরে অসুবিধা দেখা দেয়। স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন হার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষে হৃৎস্পন্দন হার বেড়ে গেলে তাকে বলা হয় ট্যাকিকার্ডিয়া।এক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ১০০ বারের চেয়েও বেশিবার হৃৎস্পন্দন হয়।এর কিছু কারণ রয়েছে।ট্যাকিকার্ডিয়ার ফিজিওলজিকাল কারণগুলো হলো-*ব্যায়াম*আবেগ*আতঙ্ক*উত্তেজনা*গর্ভাবস্থা*খাদ্য হজম*সদ্যজাত শিশু*হৃদপিণ্ডের সিমপ্যাথেটিক এক্টিভিটি বেড়ে যাওয়াপ্যাথোলজিকাল কারণ হলো-*জ্বর*হেমোরেজিক শক*এনিমিয়া*হার্ট ফেইলার*হৃদপিণ্ডের বিষাক্ত অবস্থা*মায়োকার্ডিয়ামের দুর্বলতা*ফিয়োক্রোমোসাইটোমা*ড্রাগস হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০ এর চেয়ে কম হলে সেই অবস্থাকে বলা হয় ব্রাডিকার্ডিয়া।এর ফিজিওলজিকাল কারণ হলো-*ক্রীড়াবিদের ক্ষেত্রে হয়*ঘুমন্ত অবস্থায় হয়প্যাথোলজিকাল কারণ হলো-*হার্ট ব্লক*শক*ক্যারোটিড সাইনাস সিনড্রোম ©দীপা সিকদার জ্যোতি