গরমে অতিষ্ঠ পৃথিবী

কুয়েত থেকে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ট্রেলিয়া। গেল জুনে গোটা পৃথিবীর মানুষ অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হিমশিম খেয়েছে। শুধুমাত্র কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে ৪৮৬ জনের।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, কানাডায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে এসেছে।

চলতি বছর পৃথিবীর কোন অঞ্চলে কেমন তাপমাত্রা ছিল সেটি একটি ম্যাপে তুলে ধরেছে আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে কুয়েতে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পৃথিবীতে। নুয়াইসিব শহরে গত ২২ জুন ৫৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল তাপমাত্রা!

এমনিতে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি থাকে। গ্রীষ্মের সময়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রায়ই দেখা যায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ২৩টি দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।

পৃথিবীতে এর আগে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা গেছে ১৯১৩ সালে, ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেবার ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল।

আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৩১ সালে।

কানাডায় যে গরম সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি দাবানলকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তীব্র গরমে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের জনবহুল শহর ভ্যাঙ্কুভার ও পাশের বার্নাবি শহরে বেশির ভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বয়স্ক।

মুখপাত্র আরসিএমপির করপোরাল মাইকেল কালাঞ্জ বলেন, মৃত্যুর এসব ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তারা মারা গেছেন।

Leave a Comment