৩০ বছর পর বাগদাদে মিসরের প্রেসিডেন্ট

নব্বইয়ের দশকে সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত আক্রমণের সূত্র ধরে ইরাক ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিছিন্ন হয়ে যায়। এর প্রায় তিন দশক পর কায়রো থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট এই প্রথম বাগদাদ সফর করছেন।

ভয়েস আব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করতে জর্ডান ও ইরাকের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান এই সফর।

রবিবার সকালে আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি বাগদাদে পৌঁছানোর পর ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। এরপর পৌঁছান জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।

আবদুল্লাহ ও এল-সিসি পরে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ওই অঞ্চল জুড়ে ইরানের প্রভাবকে খর্ব করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই বৈঠককে দেখা হচ্ছে।

ইয়েমেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার বৈঠকের আয়োজনের পর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ইরাকের অবস্থানকে সুদৃঢ় করা ও আঞ্চলিক জোট তৈরিও কাদিমির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

আলোচনায় সিরিয়া সংকট, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনিদের দ্বন্দ্ব এবং ইয়েমেনের যুদ্ধসহ আঞ্চলিক বিষয়াদিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে।

ইরাক ইতিমধ্যে জর্ডান ও মিসর উভয় দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে।

Leave a Comment