সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবার স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়লে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুপারিশ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ শুক্রবার ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমেছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলেছে। সংক্রমণের হার আবার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই নেবে। আমরাও সেভাবেই পরামর্শ দেব। আমরা চাইব না আমাদের ছেলেমেয়েরা সংক্রমিত হয়ে যাক।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমায় দেড় বছর বন্ধের পর রবিবার থেকে আবার সব স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। বছরের শেষের দিকে এসএসসি, এইচএসসি,প্রাথমিক সমাপনী, অষ্টমের জেএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা নেওয়ার কথাও ভাবছে সরকার।

তবে ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের এখনো টিকার আওতায় আনা হয়নি। তাঁদের টিকা না দিয়েই স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন করলে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৮ বছরের নিচে কোভিড টিকা দেওয়ার অনুমোদন এখনো দেয়নি। যদিও কিছু দেশ ইতিমধ্যে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দিচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর খুব বেশি দেশে শিশুদের টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। দু-একটা দেশে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশও নীতি অনুসরণ করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটি অনুমতি দিলে বাংলাদেশও এ বয়সী ছেলেমেয়েদের টিকা দেবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সিনোফার্মের টিকা নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চীন থেকে কেনা টিকার চালান প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ ডোজ করে দেশে আসবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার একটি শিডিউল পেয়েছি। যেমন ধরেন, আজ শুক্রবার ৫০ লাখ টিকা আসবে। এভাবে এ মাসের চার সপ্তাহে ৪টি চালান আসার কথা রয়েছে। এভাবে সপ্তাহে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত।’

এ ছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টিকা নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের মেডিকেল ও ডেন্টাল পরীক্ষা আজ নেওয়া হচ্ছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সংক্রমণের মধ্যেই ২ এপ্রিল সারা দেশের এমবিবিএস কোর্সের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং ডেন্টাল ইউনিটের ৩০ এপ্রিলের নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়, যা আজ শুক্রবার নেওয়া হলো।

Leave a Comment