রংপুরে পৃথক দুই ঘটনায় ছিনতাই হলো শিক্ষকের মোবাইল এবং মারাত্বক জখম বেরোবি শিক্ষার্থী

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামান মজনু নগরীর লালবাগে ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।

ওই শিক্ষক ভোরে মর্নিং ওয়ার্কে বের হয়ে লালবাগ যাওয়ার পথে  ছিনতাইকারীরা তার ব্যবহ্ত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ও কুপিয়ে জখম করে। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে একই দিন (শুক্রবার,১০ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদ পার্কের মোড় পার্কভিউ ছাত্রাবাস হতে সরদারপাড়ায় তার বন্ধুর ছাত্রাবাসে যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের পূর্ব পাশে মর্ডান মোড়ের দিক থেকে আসা ১৮/১৯ বছর বয়সী তিনজন ছেলে তাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তার ব্যবহৃত ফোন চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় তিনজনের একজন প্যান্টের ভেতর থেকে একটি চাপাতি বের করে পরাগের ডান হাতে কোপ দিয়ে তার ফোনটি কেড়ে নিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় পরাগকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।

পৃথক এই দুটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী  জানান, রাতে কয়েকজন ছিনতাইকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে তার মুঠোফোনটি নিয়ে যায়। শিক্ষার্থী বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে, আমি রাত সাড়ে চারটার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে দেখতে যাই। বর্তমানে সে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।

তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে আমাদের আর এক শিক্ষক প্রতিদিনের ন্যায় সকালে হাঁটতে গেলে তিনিও ছিনতাইকারীর আঘাতে জখম হন।

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফের ছিনতাইকারীর এসব ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধিসহ এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

Leave a Comment