শারদ উৎসবে মিমের সাজ

শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। উৎসবের আমেজ চারদিকে। করোনাকাল চললেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো চলবে। আর ঘরে-বাইরে আনন্দ উদ্‌যাপন তো আছেই। খাওয়াদাওয়া, সাজগোজ—চলে আরও কত আয়োজন। শারদীয় উৎসবের এ আনন্দ আয়োজনে বাদ যান না তারকারাও। অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম বলছিলেন, ‘পূজার এই কটা দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকি সারা বছর।’ এবার পূজা উদ্‌যাপন করতে মিম থাকবেন রাজশাহীতে। সাজপোশাকের পরিকল্পনা তাই করেছেন বেশ আগেই।

মিম জানালেন, কাজের কারণে ভারী মেকআপ নিতে হয় তাঁকে। তাই পূজার এই কটা দিন একটু নিজের মতো করেই সাজতে ভালোবাসেন। হালকা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। পোশাকের ক্ষেত্রে বেছে নেন কোমল সব রং। ষষ্ঠী থেকে দশমী—পূজার একেক দিনে একেক রকম পোশাক পরেন মিম। কামিজ, শাড়ি, কুর্তি—সব ধরনের পোশাকই থাকে এই তালিকায়। সুতিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন মিম। জাঁকজমক হবে না গয়না। বদলে বেছে নেবেন পুরোনো ধাঁচের গয়না। চুল খোলা রাখতেই ভালোবাসেন। তবে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কখনো একটু টেনে হাতখোঁপা বাঁধেন চুলে। আর মেতে ওঠেন উৎসবের আনন্দে।

কুঁচি দেওয়া কামিজের সঙ্গে টেনে বাঁধা খোঁপায় স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে মিমের সাজ। কানে পরেছেন পুরোনো ধাঁচের পাশা দুল। কপালে ছোট্ট টিপ আর পায়ের নাগরায় পরিপূর্ণ মিমের পূজার সাজ। লাল-সাদা পোশাকের এই দুই রঙের ব্যবহার কেমন একটু পুজো পুজো আমেজ ছড়িয়ে দেয় মিমের মনে। হাতাকাটা কামিজের ওপর পরেছেন পাশ্চাত্য ঘরানার কটি। চুল খোলা রেখে সামনে পরেছেন রাউন্ড ব্যান্ড। এখানেও পায়ে নাগরা। এভাবেই সাধারণ ছিমছাম সাজে অনন্য মিম।

এ রকম পোশাক চলতি ধারার। খাদির এই পোশাকের গলায় চুমকির (সিকোয়েন্স) কাজে আনা হয়েছে অলংকারের আবহ। তার সঙ্গে মিলিয়ে ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক এবং চোখে সোনালি শ্যাডোর ব্যবহারে এনেছে উৎসবের আমেজ। টুইস্ট করে ফিতায় বাঁধা চুলে রঙিলা মিম। পূজার সময় যখন শাড়ি পরেন, তখন টেনে বাঁধা খোঁপাতেই স্বচ্ছন্দ মিম। এখানেও ব্যতিক্রম হয়নি। বাঁ দিকে সিঁথি কেটে পেছনে টেনে খোঁপা করেছেন। হালকা ছিমছাম গয়নার নকশায় সনাতনী আবহ। আবার স্টাইলিশ ব্লাউজে অভিজাত মিম।

Leave a Comment