যে বিষয় বাধ্যতামূলক স্কুল-কলেজের

দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলতে চলেছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজে নেওয়া হয়েছে সেই প্রস্তুতি।

আগামীকাল (রবিবার) থেকে শ্রেণিকক্ষে সশরীরের পাঠদানে অংশগ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে শিক্ষকরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা আসার পর থেকেই শিক্ষকরা ব্যস্ত ছিলেন পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে। একদিকে তারা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রুটিন তৈরির পাশাপাশি ক্লাসরুমে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বসানো, হাত ধোয়া, অসুস্থ হলে বিশেষ কক্ষে পরিচর্যা ইত্যাদি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকার অনেক স্কুল-কলেজে শুক্রবারও ধোয়ামোছার কাজ করতে দেখা গেছে। কোনো কোনো স্কুলের সামনে এখনও আগাছা ও জলাবদ্ধতা দেখা যায়। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হবে না। শুধু পিইসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দৈনিক ক্লাস করবে। বাকিদের একদিন সরাসরি পাঠদান হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো অনলাইনে বা টেলিভিশনে দূরশিক্ষণে পাঠদান চলবে।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুাযায়ী ১০টি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

১.চেকলিস্টের মাধ্যমে দৈনিক তদারকি করা হবে প্রতিষ্ঠান,এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে ঢাকায়।

২.শিক্ষার্থীদের দৈনিক সচেতন করা হবে।

৩.বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার; হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।

৪.দৈনিক প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা যাচাই- এজন্য গেটে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ।

৫.প্রয়োজনে পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা।

৬.লক্ষণ থাকলে শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত হিসাবে বিবেচনা না করা।

৭.স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাসরুমে বসানো।

৮.স্কুলে সমাবেশ না করা, তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে যার যার সিটে রেখে হালকা শারীরিক কসরত।

৯.পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

১০.হোস্টেলে বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণ।

Leave a Comment