প্রাচীনতম ওসানেরিয়াম কোথায় অবস্থিত?

প্রাচীনতম ওসানেরিয়াম কোথায় অবস্থিত?

তার আগে আমাদের জানা উচিত, ওসানেরিয়াম কথাটির অর্থ কী। ওসানেরিয়াম কথাটির অর্থ হলো নোনা
পানির মৎস্যাধার।

সমুদ্র থেকে পানি নিয়ে এসে বৃহৎ কৃত্রিম জলাশয় সৃষ্টি করা হয়। এরপর সেখানে রাখা হয় সামুদ্রিক মাছ। এভাবে মাছ রাখার পদ্ধতিটিই হলো ওসানেরিয়াম। সামুদ্রিক মাছ রাখার এমন ব্যবস্থা চালু হয়েছে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন যুগ পূর্বে।

মাছ রাখার এই ব্যবস্থা এখন বহু দেশে লক্ষণীয়। তবে প্রাচীনতম ওসানেরিয়ামটির দেখা পাওয়া যাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে ম্যারাইন ল্যান্ডের ১৮ মাইল দক্ষিণে একটি নোনা পানির মস্যাধার গড়ে তোলা হয়েছিল। সমুদ্র থেকে প্রতিদিন পাম্পের সাহায্যে পানি নিয়ে এসে জলাধারটি পূর্ণ করা হয়। আবার অন্য একটি পাম্পের মাধ্যমে জলাধারের পুরোনো পানি বের করে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দুটে জলাধারে সাত লক্ষ গ্যালন পানি ধরে। পাশাপাশি দুটো জলাধার তৈরি করা হয়। প্রত্যেকটির গভীরতা আঠার ফুট। আটর দৈর্ঘ্য এক শ’ ফুট এবং প্রস্থ চল্লিশ ফুট।
চৌবাচ্চা দুটোকে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ কৃত্রিম প্রবাল পাহাড় এবং একটি ভাঙা জাহাজ দিয়ে সাজানো।

আর সবচেয়ে বড় ওসানেরিয়ামটির দেখা পাওয়া যাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। এটি আবার প্রশান্ত মহাসাগরের নিকটবর্তী প্যালোস ভার্দেস উপদ্বীপে অবস্থিত। এরও নামকরণ করা হয়েছে ‘ম্যারাইন ল্যান্ড’। পৃথিবীতে যত ওসারেনিয়াম রয়েছে তাদের মধ্যে এটি বৃহত্তমের দাবীদার। এর একটি মাত্র জলাধারে বাইশ লক্ষ গ্যালন পানি ধরে। ভাবা যায়?!
জলাধারটির গভীরতা বাইশ ফুট আর পরিসীমা প্রায় দু’শ বাহান্ন ফুট।

এখানে ১৯৭১ সালে একটি অতিকায় ধুসর তিমি এনে ছাড়া হয়েছিল। ম্যাক্সিকো রাজ্যের স্কামনস লেগুন থেকে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে এই তিমিই বৃহত্তম। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘গিগি’। নাম ধরে ডাকলেই তিমিটি জলাধারে এসে দাঁড়িয়ে যায় এবং মনের আনন্দে পানি তোলপাড় করতে থাকে। তার ওজন প্রায় তিন শ’ পাউন্ড, আর দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে আঠার ফুট।

তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment