নিঃসঙ্গতার বছর

আমার অজান্তেই কথা দেওয়া-নেওয়া হবার পর প্রচলিত রীতি অনুসারে-

আপনি যখন প্রথম দেখতে এসেছিলেন আমাকে, একনজর আপনাকে দেখেই বুঝেছি আমার এবার অঙ্গার হবার পালা।

যখন দেখেছি টাখনু ঢাকা আপনার প্যান্টের কাপড়ে, তখনই বুঝেছি
আপনি লুন্ঠন করতে এসেছেন আমার সুপ্ত ইচ্ছের সমূদয় সুখ।

যখন মাথা তুলে দেখেছি আমার রাসূলের সুন্নাত নেই আপনার মুখে,
তখনই বুঝেছি আঁধার রাতে এবার আমার একলা পথ চলা।

আপনার বেপরোয়া জীবনে যখন আমাকে জোর করে ঠেলে দেয়া হলো,
আমি তখন নিরবে জায়নাম ভিজিয়েছি।
কষ্টের আতিশয্যে ঠোঁটে ফুটতো না কথা,
চোখে নামত শুধু শ্রাবণের ধারা।

সংসার জীবনে আপনাকে কখনই জোর করে নামাজে পাঠাতে পারিনি,
শুক্রবার বাদে সপ্তাহের আর কোনো দিন আপনি আল্লাহকে সিজদা করেছিলেন বলে মনে করতে পারি না।

তারপর কত দিন গড়ালো,
কতগুলো বছর এলো,
চুলের গোছায় পাক ধরলো দু’জনের,
কত দুআ কবুল হলো,
কেবল আপনার জন্য করা একটি দু’আয় কবুল হলো না।
আল্লাহর রঙে আপনি সজ্জিত হলেন না। হিদায়ার নূর আপনি পর্যন্ত পৌঁছালো না!
আপনি চলে গেলেন!
আর আমি একা একা ঘুরছি
বিষাদমাখা মনের কালো আকাশে নিঃসঙ্গ পানকৌড়ি হয়ে।

|| নিঃসঙ্গতার বছর ||
~মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment