৪ হাজার ছাড়িয়েছে রাজধানীতে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে শনাক্তের সংখ্যা । আজ শুক্রবার পর্যন্ত ৪ হাজার ১১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে চলতি বছরে । গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ২১৪ জনের এর মধ্যে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ।সর্বশেষ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২১১ জন রাজধানী ঢাকার আর বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী । ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ,সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১ হাজার ১০ জন । বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি তাদের মধ্যে ৩৮ জন বাদে বাকিরা রাজধানীর ।
আগস্ট মাসের প্রথম ৬ দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৪৫৭ জন এ ছাড়া চলতি । তবে ডেঙ্গু সন্দেহে মারা যাওয়া ১০ জন রোগীর তথ্য পর্যালোচনার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে জানা যায় । কোনো মৃত্যুর পর্যালোচনা শেষ হয়নি তবে গতকাল পর্যন্ত। তাই চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর ।
তবে রাজধানীর বড় সরকারি হাসপাতালের মধ্যে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না বলে জানা যায় । তবে ডেঙ্গু রোগী বেশি ভর্তি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে । ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত । ডেঙ্গুতে বেশি লোক আক্রান্ত হয় ,তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত । এডিস মশার বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলছে কয়েক দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কবর যে চলতি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে জানান তারা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে । তবে করোনা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাওয়া হাসপাতালগুলোর ওপর আরও চাপ বাড়বে তারা জানান ।
‘২০১৯ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল ,গত বুধবার নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন । তবে ২০২১ সালে এসে একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি পারি বলে আশঙ্কা করে তারা । তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এটি মোকাবিলা করা সম্ভব বলে জানান তারা ।’