ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলো করণীয়

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলো করণীয়  :

ডেঙ্গু একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা যা প্রতিবছরে আনুমানিকভাবে ২৫০ মিলিয়ন মানুষের ক্ষতি করে এবং বহুদিন থেকে অনেক দেশে দেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ডেঙ্গু একটি মশার প্রকোপ সম্পন্ন রোগ যা একটি সংক্রামক ভাইরাস (ডেঙ্গু ভাইরাস) এর কারণে হয়। এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলি মাঝে মাঝে শুরু হয় জ্বর, ঠান্ডা অনুভব, মাংসপেশি ব্যথা, শরীরের ব্যাথা, শুকনো ত্বক ও শরীরে লাল ছড়িয়ে দেয়।

যদি আপনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বা ডেঙ্গুর আকলন সন্দেহ করেন, তাহলে নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করতে পারেন:

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: ডেঙ্গুর সম্ভাব্য লক্ষণগুলি আপনি সমাধান করতে পারেন না এমন কিছু হলে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পানি: আপনার শরীরের উপযুক্ত আরাম নিন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ডেঙ্গুর আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পানি পান করার পাশাপাশি সবসময় পরিষ্কারভাবে পানি পরিষ্কার করুন এবং শরীর পরিষ্কার রাখুন।

উপযুক্ত খাদ্য: ডেঙ্গুর সময় আপনার খাদ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন যা আপনার শরীরকে শক্তি দেবে। পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী গ্রহণে মধ্যমবেলা হোলেও খুব কম খাবার গ্রহণ করবেন না।

সম্ভাব্য বিষয়ে সতর্ক থাকুন: ডেঙ্গুর আকলন হতে পারে এমন কোন সম্ভাব্য বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সন্দেহমত ডেঙ্গু ভাইরাসের সম্পর্কে জ্ঞাত বা সম্ভাব্য কোন জন্যে যাত্রা করতে হলে সাবধান থাকুন এবং পরামর্শ নিন।

এই কার্যক্রমগুলি পরিপালন করা ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাময় সেবা গ্রহণ করা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নিরাময় কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখা। ডেঙ্গু একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা যা সঠিক পরিচর্যা এবং সতর্কতার সাথে নিয়মিত অনুসরণ করে তা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

 

 

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বাচাঁর উপায়
ডেঙ্গু রোগের আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে এবং সম্ভাব্য বাচাঁর উপায় গুলি নিম্নরূপঃ

মশার নিয়ন্ত্রণ: ডেঙ্গু মশার সঙ্গে সংঘর্ষে আপনাকে সহজে আক্রান্ত হতে হয়। তাই মশার নিয়ন্ত্রণ করাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট মশার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করতে হবে যেন মশার উৎপাদন এবং বাস বিলম্ব হয়। এটির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, যেমন পানির জলাশয়ের কাঠি মোচন, নিরাপত্তা পরিষ্কারতা রক্ষা, মশার নিয়ন্ত্রণে কেটলাক কার্যক্রম ইত্যাদি।

জলস্রোত ও পানিভূষিত স্থানের ব্যবস্থাপনা: ডেঙ্গু মশার জন্য পানিভূষিত স্থান খুব উপযুক্ত বাসস্থান। এটি অবশ্যই ঠিকমত পরিষ্কারভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ক্ষুদ্র পানিভূষিত স্থানের পানি সংগ্রহ বন্ধ করুন এবং পানিভূষিত স্থানে সুষম নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা করুন।

মশার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সাবধানতা: মশার সংস্পর্শে আসার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাসা থেকে বের হলে একটি মশার প্রতিরোধী ছাতা ব্যবহার করুন, মশার সংস্পর্শে এসেলে আপনার শরীরে লাল চিত্রায়িত মশার অপারগ সরিয়ে ফেলুন। এছাড়াও মশার সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকুন, যেমন মশার উৎপাদন করার সময় দেখা সাপেক্ষে পানি রাখুন, মশার পাতলা পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা করুন, সপ্তাহে একবার পানি পুরন করবেন ইত্যাদি।

সঠিক পরিচর্যা: নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সঠিক পরিচর্যা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ভিত্তিতে হাত ধুয়ে সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখুন। কাপড় পরিষ্কার করতে হবে এবং এলাকার পরিষ্কারতা বজায় রাখতে হবে।

এছাড়াও, স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নিরাময় কর্মীদের সাথে সংযোগ বজায় রাখুন এবং তাদের দেওয়া নিরাময় পরামর্শ মেনে চলুন। ডেঙ্গু রোগের চিকিত্সা ও সঠিক পরামর্শ নিয়ে উচ্চারণ করবেন।

এই সমস্যাটি সমাধান করতে কেবলমাত্র উপরে উল্লিখিত কার্যক্রমগুলি পালন করলেও অনুগ্রহ করে প্রশাসনিক স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের দিকে যোগাযোগ করুন যেন ডেঙ্গুর প্রতিরোধ ও নিরাময় সেবার জন্য পূর্বসূচিত কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়।

Leave a Comment