গত শনিবার ৩ জুলাই জাতীয় সংসদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণীত এবং চলচ্চিত্রশিল্পীদের বহু প্রতীক্ষিত ‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১’ পাস হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। বিল পাসের সময় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্যের কিছু সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করেন তিনি।
এ আইন পাস হওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমাজ।আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে তারা এই কৃতজ্ঞতাপত্র হস্তান্তর করেন।
এতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহ-সভাপতি ডিপজল এবং রুবেলসহ চিত্রতারকা রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, তমা মির্জা, মিষ্টি জান্নাত, ববি প্রমুখ ছিলেন।
ট্রাস্টি বিলে বলা হয়েছে, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হবেন এর সচিব। ১৩ সদস্যের বোর্ডের কথা বিলে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার নিয়াগ করবে।
ট্রাস্টে তহবিল আসবে সরকারি অনুদান, দেশি-বিদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুদান, লভ্যাংশ, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ থেকে আয় হতে। কোনও চলচ্চিত্র শিল্পী মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরাও যাতে সহায়তা পায় বিলে সে ব্যবস্থার কথাও বলা আছে এই বিলে।
চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকারের যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ হলো সরকার সারাদেশে স্বল্পসুদে সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়াও টেলিভিশন অভিনয় শিল্পীরাও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১’ এ আইনের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ।
এছাড়াও ড. হাছান উল্লেখ করেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশের সকল শিল্পীর জন্য সবসময় উদারপ্রাণ, উদারহস্ত। তার কাছে আবেদন না করলেও কোনো বিষয় তার চোখে পড়লে, তিনি সবসময় সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন। চলচ্চিত্রশিল্পীদের কল্যাণকে একটি স্থায়ী কাঠামো দেবার জন্যই এই ট্রাস্ট’।