চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ বিজ্ঞানীরা

পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শীর্ষ জলবায়ু বিজ্ঞানীরা জার্মানির বন্যার তীব্রতা এবং উত্তর আমেরিকার হিট ডোম বিষয়ে । যে দ্রুত উষ্ণায়নের ফলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং আরও মারাত্মক দাবদাহের সৃষ্টি হবে তবে তাঁরা কয়েক দশক ধরে সঠিকভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন । এখন গবেষকেরা আরও শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন তারা । এ তথ্য জানানো হয় বিবিসির এক প্রতিবেদনে ।

এখন আবহাওয়ার এক চরম অবস্থা বিরাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিশ্বজুড়ে । আবার কোথাও অকাল বন্যায় ডুবছে দেশ ,কোথাও দাবানলে বাড়ছে উষ্ণতার তীব্রতা । চরম আবহাওয়ার তীব্রতা সম্পর্কে নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়ার মতো শক্তিশালী নয় তাঁদের কম্পিউটারগুলো এ অবস্থায় শীর্ষ জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন। তাঁরা জলবায়ু সুপার-কম্পিউটারের ওপর ব্যাপক বিনিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ।

কম্পিউটার মৌলিক বিষয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে । নতুন জলবায়ু বিজ্ঞানের অবলম্বন হিসেবে ধরে নেবে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) আগামী মাসে কম্পিউটিংকে । আইপিসিসির মডেলগুলো যথেষ্ট নয় তবে জলবায়ু বিজ্ঞানী ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মেট অফিসের প্রধান বিজ্ঞানী ডেম জুলিয়া স্লিংগো বিবিসিকে বলেন । তবে আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে । যাতে জলবায়ুর মডেলগুলোর ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করা যায় আমাদের আন্তর্জাতিক একটি কেন্দ্র দরকার।

বিজ্ঞানী জুলিয়া আরও বলেন আমরা কম্পিউটারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়া চরম আবহাওয়ার তীব্রতা বিষয়গুলোর মূল্য দেব না ।’ তবে জুলিয়ার মতে, কয়েক শ কোটি পাউন্ড খরচের এই কম্পিউটার সমাজকে অপ্রস্তুত করে তোলা চরম ঘটনাগুলোতে ব্যয়ের তুলনায় সামান্যই করা হয় । তাঁর এই উদ্যোগ প্রচারের চেষ্টা চালাবেন আগামী নভেম্বরে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সিওপি ২৬ সম্মেলনে ডেম জুলিয়া । তবে জুলিয়াসহ অন্য বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে জরুরি হিসেবে সম্মতি দিয়েছেন । আমরা কতটা জরুরি অবস্থায় আছি, তা বলা কঠিন কারণ আমাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সরঞ্জাম নেই তবে অক্সফোর্ডের অধ্যাপক টিম পালমার বলেন এমনটা ।’

তবে টিম পালমার আরও বলেন, ‘কানাডার দাবদাহের মতো নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে আমরা যদি ক্লাইমেট মডেল তৈরি করতে চাই, তবে এ ক্ষেত্রে ইউরোপের প্রধান পদার্থ গবেষণা কেন্দ্র সার্নের মতো লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি দরকার আছে । প্রতি ২০ বছর, ১০ বছর বা ৫ বছরে তাপ গম্বুজ এবং বন্যার মতো চূড়ান্ততার মুখোমুখি হবে কি না। এ ধরনের নিখুঁত পূর্বাভাস বর্তমানে সম্ভব নয় তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, গবেষকদের মূল্যায়ন করতে হবে যে উত্তর আমেরিকা বা জার্মানির মতো জায়গাগুলো ।’

Leave a Comment