খালেদা জিয়া ভালো আছেনঃ ডা. জাহিদ

ডা. জাহিদ বলেন, ‘গত সোমবার খালেদা জিয়ার অপারেশন করা হয়। এরপর রাতেই তাকে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি কেবিনে আছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড গতকাল (মঙ্গলবার) দেখে এসেছেন। সব রিপোর্ট ভালো আছে।’ 

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভালো আছেন। ছোট অপারেশনের পর কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। তাকে তরল জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে। বুধবার এসব জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের বায়োপসি রিপোর্ট আমাদের হাতে আসতে পারে।’

খালেদা জিয়া জ্বর অনুভব করায় এবং থেমে থেমে জ্বর আসার পর গত ১২ অক্টোবর তাকে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

জ্বরের কারণ বের করতে তার শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত গত সোমবার তার অপারেশন করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবারও খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান। তিনি নিজেই তার খাবার রান্না করে নিয়ে যান। খালেদা জিয়া পুত্রবধূর রান্না করা খাবার খেয়েছেন। শর্মিলা একাই দেশে এসেছেন।     

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। 

৭৬ বছর বয়েসী খালেদা জিয়া বহু বছর আর্থ্রাাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন।  

এর আগে গত এপ্রিল মাসে তিনি বাসায় থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। সেখানে ব্যক্তিগত বিশেষ চিকিৎসদের একটি মেডিকেল টিমের চিকিৎসায় সেরে উঠলেও পোস্ট কোভিড জটিলতায় গত ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯ জুন মেডিকেল বোর্ড বাসায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবাসের পর গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় সরকার তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানে তার ভাড়া করা বাসা ফিরোজা থাকছেন। 

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলো তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।

Leave a Comment