কয়েক ঘণ্টায় বজ্রপাতে নিহত ১৯

বজ্রপাতে দেশের ছয় জেলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ও দুপুরের মধ্যে বজ্রপাত হয়েছিল। নিহতদের বেশিরভাগই কৃষক ছিলেন। তারা জমিতে ফসল কাটার সময় বজ্রপাতে আঘাত পেয়েছিল।

বেশিরভাগ মারা গেছেন নেত্রকোনায়। এক ঘণ্টার মধ্যে জেলার চারটি উপজেলায় নয়জন মারা যান। এ ছাড়া ফরিদপুরে চারজন, কিশোরগঞ্জে দুজন, মানিকগঞ্জে দুজন, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহে প্রত্যেকে একজন মারা গেছেন।

আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে সংবাদ পাঠানো হয়েছে:

নেত্রকোনায় এক ঘণ্টার মধ্যে নয় জন মারা যান
এক ঘণ্টারও কম সময়ে নেত্রকোনার চারটি উপজেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে নয় জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলার কেন্দুয়া, খালিয়াজুরী, মদন ও পূর্বধলা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে কেন্দুয়ায় দুজন, খালিয়াজুড়িতে চারটি, মদন উপজেলায় দুজন এবং পূর্বধালায় একজন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া উপজেলার বৈরাটি গ্রামের আসান খানের ছেলে বায়েজিদ (৪২), কান্দিউড়া উপজেলার কুন্ডলি গ্রামের তারাব আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৫৫), ছেলু ফকিরের ছেলে ওয়াচেক মিয়া (৩৫)। খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রাম ও আমির সরকারের ছেলে বিপুল মিয়া (৩২)। মনির হোসেন (২৮) বাতুইয়েল গ্রামের মনজুরুল হকের ছেলে, আতাবুর (২১), মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আব্দুল মান্নাফের ছেলে, শরিফ (১৮), আবদুল কাদিরের ছেলে এবং জুনায়েদ, পূর্বধালার ধলামুলগাঁও গ্রামের স্কুলছাত্র।

দেড় ঘণ্টায় ফরিদপুরে নারীসহ ৪ জন নিহত
জেলায় বজ্রপাতে এক মহিলা সহ চারজন নিহত হয়েছেন। ফরিদপুর পৌরসভার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী, সন্ধ্যা 5 নং ওয়ার্ডের মোল্লা ডাঙ্গি মহল্লা, সদর উপজেলার উত্তর চ্যানেল ও মধুখালী উপজেলার চাঁদপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের মোল্লাদাঙ্গী মহল্লায় বজ্রপাতে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরতে আনোয়ারা বেগম (৪৫) নিহত হয়েছেন। আনোয়ারা বেগম মোল্লা ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কাবুল শেখের স্ত্রী।

ফরিদপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী মহল্লায় বেলা ১১ টার দিকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কৃষক কবির মোল্লা (৪৮) বজ্রপাতে পড়েছিলেন। এ ছাড়া বিকেলে সদর উপজেলার নাথ চ্যানেল ইউনিয়নে দুলাল খান (৫৮) নামে এক কৃষক মারা যান।

সন্ধ্যা সাড়ে at টায় মধুখালী উপজেলায় পাটের ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কবির শেখ (৪১) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার কমলদিয়া ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের নবীন শেখের ছেলে।

কিশোরগঞ্জে দুজন নিহত
কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দু’জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, নিকলী গুরুই ইউনিয়নের বিয়াটিচর গ্রামের আরিফুল ইসলাম (১৮) এবং বাজিতপুরের ৬০ বছর বয়সী শিশু সরদার।

স্থানীয়দের মতে, বিকেলে আরিফুল বিয়াটিচর হাওর থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে আরিফুল বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিকেলে বাজিতপুরের দিঘিরপাড়ায় বজ্রপাতে শিশু সরদার (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মানিকগঞ্জে দিনমজুর ও স্কুল শিশু নিহত

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাউলি ও গিল্যান্ড গ্রামে বজ্রপাতে এক দিনমজুর ও এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন আরও দুজন। নিহতরা হলেন- গিওর উপজেলার আজমত আলী (৫০) ও সদর উপজেলার গিল্যান্ড গ্রামের আসিফ মোল্লা (১৪)।

সুনামগঞ্জে যুবক নিহত
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বজ্রপাতে আবু তাহের নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বিকেলে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

তাহের দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের তেগঙ্গা গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে।

ময়মনসিংহে ফুটবল খেলতে গিয়ে যুবক নিহত হয়েছেন
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ফুটবল খেলতে বজ্রপাতে আতিকুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। দুপুর ২ টায় উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খালিশাজন গ্রামে একটি উন্মুক্ত মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আজমত আলী আজিজুল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খালিশাজন গ্রামের বাসিন্দা।

Leave a Comment